বরগুনা প্রতিনিধি
‘বরিশালে বিএনপি সমাবেশ করে, হেইয়ার লাইগ্যা বাস বন্ধ হইরা রাকছে। এহন মোরা যে কাজের লাইগ্যা যামু, হেইয়া পারতে আছি না। হ্যারা সমাবেশ করে হেইতে বাস বন্ধ রাকছে, মোরা কী দোষ করছি?’ এভাবেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বরগুনার এম বালিয়াতলী ইউনিয়নের মনসাতলী এলাকার বাসিন্দা নাসিমা বেগম।
নাসিমা বেগম ছেলেকে নিয়ে বরিশালে যাবেন চিকিৎসার জন্য। তবে আজ শনিবার বরগুনা টাউন হলে এসে জানতে পারেন, বরগুনা-বরিশাল রুটে বাস চলাচল বন্ধ। বরিশালে বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশের কারণে ধর্মঘট ডাকা হয়েছে। পরে ক্ষোভ প্রকাশ করে বাড়িতে ফিরে গেছেন তিনি।
বরগুনা সদরের টাউন হল জিরো পয়েন্ট ঘুরে দেখা গেছে, বরিশাল যাওয়ার জন্য আজ শনিবার সকাল থেকে যাত্রীরা ভিড় করছেন টাউন হল মোটরসাইকেল স্ট্যান্ডে। যেখানে বাসে করে ১৫০ টাকায় সরাসরি বরিশালে যাওয়া যেত, সেখানে ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেল নিয়ে বরিশালে যেতে খরচ হচ্ছে দেড় হাজার থেকে ১ হাজার ৬০০ টাকা। এতে বিপাকে পড়েছেন সাধারণ যাত্রীরা। তবে বরগুনা কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে গিয়ে কোনো যাত্রীর দেখা মেলেনি। সেখানে বাস সারি করে রাখা হয়েছে। অন্যদিকে, বরগুনা জেলা পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি সাহাবুদ্দিন সাবুসহ কয়েকজন টার্মিনালের অভ্যন্তরে চেয়ারে বসে গল্প করছেন।
শহরের বাসিন্দা ইমাম হোসেন বলেন, ‘আমার এক আত্মীয় হাসপাতালে ভর্তি। তাঁর সঙ্গে কেউ নাই। তাঁকে দেখভাল করতে বরিশাল যাওয়া খুবই জরুরি। কিন্তু বাস বন্ধ থাকায় দেড় হাজার টাকায় মোটরসাইকেল ভাড়া করে যেতে হচ্ছে। তাঁরা রাজনীতি করেন আর আমাদের দুর্ভোগ পোহাতে হয়।’
ফারুক আহমেদ নামে আরেক ব্যক্তি বলেন বলেন, ‘বরিশালে ট্রেনিং ছিল। আজ সকাল ৮টায় বরগুনা থেকে ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেলে করে বরিশাল গিয়েছিলাম। এক ঘণ্টার ট্রেনিং শেষে আবার ওই মোটরসাইকেলেই ফিরেছি। এতে চালককে মোট ২ হাজার টাকা দিতে হয়েছে। যেখানে আমি ৩০০ টাকায় বরিশাল যাওয়া-আসা করতে পারতাম, সেখানে অতিরিক্ত ১ হাজার ৭০০ টাকা দিতে হলো।’
বরগুনা জেলা বাস-মিনিবাস পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি সাহাবুদ্দিন সাবু বলেন, ‘আজ সন্ধ্যায় বিভাগীয় কার্যালয়ে নেতারা বৈঠকে বসে সিদ্ধান্ত নেবেন ধর্মঘট চলবে নাকি প্রত্যাহার করা হবে। তাঁরা যে সিদ্ধান্ত দেবেন, আমরা সেভাবেই ব্যবস্থা নেব।’
বরগুনা জেলা বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শাহিনুল কবির সগীর হোসেন বলেন, ‘আঞ্চলিক সড়ক-মহাসড়কে ইজিবাইক, অটোরিকশা, মাহেন্দ্রসহ থ্রি-হুইলার নিষিদ্ধের দাবিতে এই ধর্মঘট ডাকা হয়েছে। সড়কে অবৈধ গাড়ির দৌরাত্ম্য ঠেকাতে আমরা এই ধর্মঘট কর্মসূচি পালন করছি।’
বরগুনার জেলা প্রশাসক মো. হাবিবুর রহমান বলেন, ‘পরিবহন মালিক ও শ্রমিকদের ডাকা ধর্মঘটে সাধারণ মানুষ ভোগান্তিতে পড়েছে। বাস মালিক সমিতির নেতাদের সঙ্গে কথা বলে ধর্মঘট প্রত্যাহারে অনুরোধ করা হয়েছে।’
উল্লেখ্য, সড়কে অনুমোদনহীন থ্রি-হুইলার ও অটোরিকশা চলাচল বন্ধের দাবিতে গতকাল শুক্রবার ভোর ৬টা থেকে বাস ধর্মঘটের ডাক দেয় বরগুনা বাস ও মিনিবাস মালিক সমিতি। আজ দ্বিতীয় দিনের মতো পরিবহন ধর্মঘট চলছে।
‘বরিশালে বিএনপি সমাবেশ করে, হেইয়ার লাইগ্যা বাস বন্ধ হইরা রাকছে। এহন মোরা যে কাজের লাইগ্যা যামু, হেইয়া পারতে আছি না। হ্যারা সমাবেশ করে হেইতে বাস বন্ধ রাকছে, মোরা কী দোষ করছি?’ এভাবেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বরগুনার এম বালিয়াতলী ইউনিয়নের মনসাতলী এলাকার বাসিন্দা নাসিমা বেগম।
নাসিমা বেগম ছেলেকে নিয়ে বরিশালে যাবেন চিকিৎসার জন্য। তবে আজ শনিবার বরগুনা টাউন হলে এসে জানতে পারেন, বরগুনা-বরিশাল রুটে বাস চলাচল বন্ধ। বরিশালে বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশের কারণে ধর্মঘট ডাকা হয়েছে। পরে ক্ষোভ প্রকাশ করে বাড়িতে ফিরে গেছেন তিনি।
বরগুনা সদরের টাউন হল জিরো পয়েন্ট ঘুরে দেখা গেছে, বরিশাল যাওয়ার জন্য আজ শনিবার সকাল থেকে যাত্রীরা ভিড় করছেন টাউন হল মোটরসাইকেল স্ট্যান্ডে। যেখানে বাসে করে ১৫০ টাকায় সরাসরি বরিশালে যাওয়া যেত, সেখানে ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেল নিয়ে বরিশালে যেতে খরচ হচ্ছে দেড় হাজার থেকে ১ হাজার ৬০০ টাকা। এতে বিপাকে পড়েছেন সাধারণ যাত্রীরা। তবে বরগুনা কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে গিয়ে কোনো যাত্রীর দেখা মেলেনি। সেখানে বাস সারি করে রাখা হয়েছে। অন্যদিকে, বরগুনা জেলা পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি সাহাবুদ্দিন সাবুসহ কয়েকজন টার্মিনালের অভ্যন্তরে চেয়ারে বসে গল্প করছেন।
শহরের বাসিন্দা ইমাম হোসেন বলেন, ‘আমার এক আত্মীয় হাসপাতালে ভর্তি। তাঁর সঙ্গে কেউ নাই। তাঁকে দেখভাল করতে বরিশাল যাওয়া খুবই জরুরি। কিন্তু বাস বন্ধ থাকায় দেড় হাজার টাকায় মোটরসাইকেল ভাড়া করে যেতে হচ্ছে। তাঁরা রাজনীতি করেন আর আমাদের দুর্ভোগ পোহাতে হয়।’
ফারুক আহমেদ নামে আরেক ব্যক্তি বলেন বলেন, ‘বরিশালে ট্রেনিং ছিল। আজ সকাল ৮টায় বরগুনা থেকে ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেলে করে বরিশাল গিয়েছিলাম। এক ঘণ্টার ট্রেনিং শেষে আবার ওই মোটরসাইকেলেই ফিরেছি। এতে চালককে মোট ২ হাজার টাকা দিতে হয়েছে। যেখানে আমি ৩০০ টাকায় বরিশাল যাওয়া-আসা করতে পারতাম, সেখানে অতিরিক্ত ১ হাজার ৭০০ টাকা দিতে হলো।’
বরগুনা জেলা বাস-মিনিবাস পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি সাহাবুদ্দিন সাবু বলেন, ‘আজ সন্ধ্যায় বিভাগীয় কার্যালয়ে নেতারা বৈঠকে বসে সিদ্ধান্ত নেবেন ধর্মঘট চলবে নাকি প্রত্যাহার করা হবে। তাঁরা যে সিদ্ধান্ত দেবেন, আমরা সেভাবেই ব্যবস্থা নেব।’
বরগুনা জেলা বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শাহিনুল কবির সগীর হোসেন বলেন, ‘আঞ্চলিক সড়ক-মহাসড়কে ইজিবাইক, অটোরিকশা, মাহেন্দ্রসহ থ্রি-হুইলার নিষিদ্ধের দাবিতে এই ধর্মঘট ডাকা হয়েছে। সড়কে অবৈধ গাড়ির দৌরাত্ম্য ঠেকাতে আমরা এই ধর্মঘট কর্মসূচি পালন করছি।’
বরগুনার জেলা প্রশাসক মো. হাবিবুর রহমান বলেন, ‘পরিবহন মালিক ও শ্রমিকদের ডাকা ধর্মঘটে সাধারণ মানুষ ভোগান্তিতে পড়েছে। বাস মালিক সমিতির নেতাদের সঙ্গে কথা বলে ধর্মঘট প্রত্যাহারে অনুরোধ করা হয়েছে।’
উল্লেখ্য, সড়কে অনুমোদনহীন থ্রি-হুইলার ও অটোরিকশা চলাচল বন্ধের দাবিতে গতকাল শুক্রবার ভোর ৬টা থেকে বাস ধর্মঘটের ডাক দেয় বরগুনা বাস ও মিনিবাস মালিক সমিতি। আজ দ্বিতীয় দিনের মতো পরিবহন ধর্মঘট চলছে।
বারপাইকা গ্রামের জহরলাল রবি দাস তাঁর ছেলে আকাশের বিয়ের নিমন্ত্রণ দিতে চাচাতো ভাই বাবুল রবি দাসের বাড়ি যান। আগের একটি ঘটনায় ক্ষোভের কারণে বাবুল ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা নিমন্ত্রণ গ্রহণে অস্বীকৃতি জানান। এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে কথাকাটাকাটি শুরু হয়। একপর্যায়ে জহরলাল ও তাঁর ছেলে আকাশ বাবুলের পরিবারের সদস্যদের
৫ মিনিট আগেটাকার বিনিময়ে মামলার অভিযোগপত্র থেকে নাম বাদ দেওয়া হবে, আসামির সঙ্গে এমন ফোনালাপ ফাঁস হওয়ার পর রাজশাহীর এক ছাত্রদল নেতাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। অব্যাহতি পাওয়া এই নেতার নাম সাইমন রেজা। তিনি নগরের বোয়ালিয়া (পূর্ব) থানা ছাত্রদলের সদস্য ছিলেন।
১৫ মিনিট আগেদুই সপ্তাহ ধরে ফাতেমা আক্তার শাপলা (২৮) নামের এক নারীর সঙ্গে সুসম্পর্ক হয় শিশুটির মা ফারজানা আক্তারের। সাবলেটের কথা বলে গত বৃহস্পতিবার তিনি আজিমপুরের ওই বাসায় ওঠেন।
২৫ মিনিট আগেমুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে মো. আলাউদ্দিন (৩৫) নামের এক অটোরিকশাচালকের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ শনিবার সকালে উপজেলার কেয়াইন ইউনিয়নের নিমতলা এলাকার ফুট ওভার ব্রিজের পশ্চিম পাশে তালুকদার পেট্রল পাম্পের কাছ থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। লাশের পাশে একটি রক্তমাখা চাকু পড়ে ছিল।
৩২ মিনিট আগে