খান রফিক, বরিশাল
দলীয় মনোনয়ন পাওয়া নিয়ে বরিশালে আওয়ামী লীগ নেতাদের মধ্যে বিভক্তি দেখা দিয়েছে। জেলার ৬টি আসনের মধ্যে সদরসহ ৩ টিতে আওয়ামী লীগ নেতাদের বিভক্তি প্রকাশ্য রূপ নিয়েছে। মর্যাদার আসন বরিশাল–৫ (সদর)। এখানের বর্তমান এমপি পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্নেল (অব.) জাহিদ ফারুকের মনোনয়ন নিয়ে অনুসারীরা বেশ আত্মবিশ্বাসী। তার সঙ্গে এককাট্টা হয়েছেন মেয়র খোকন।
অপরদিকে সাবেক মেয়র সাদিক এবার নীরবে লবিং করছেন। অবশ্য নতুন করে যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের এক নেতার ভাগিনার কথা জোরেশোরে শোনা যাচ্ছে।
এদিকে বরিশাল-৩ আসনে বর্তমান এমপি শাহে আলম অনুসারীরা সরব হলেও অন্তত ২০ জন মনোনয়ন প্রত্যাশী হওয়ায় নানা গুঞ্জন রয়েছে। দলে সবচেয়ে বিরোধ বরিশাল-৪ আসনে। এমপি পংকজের সঙ্গে দলটির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ড. শাম্মি আহমেদ এবার লড়াইয়ে নেমেছেন। আওয়ামী লীগের সংসদীয় বোর্ডের সভায় বরিশালে পুরোনো না কি প্রত্যাবর্তন তা জানা যেতে পারে।
বরিশাল-৫ (সদর) :
বিভাগের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ আসন বরিশাল-৫ এ আওয়ামী লীগের মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ৯ জন। এর মধ্যে মূল প্রতিযোগিতায় আছেন বর্তমান সংসদ সদস্য প্রতিমন্ত্রী কর্নেল (অব:) জাহিদ ফারুক, সাবেক মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ এবং আওয়ামী লীগ নেতা মশিউর রহমান খান।
জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুকের ঘনিষ্ঠজন মাহমুদুল হক খান মামুন বলেন, প্রতিমন্ত্রীর গত ৫ বছরে কোনো বদনাম নেই। জাহিদ ফারুকের এপিএসরা শত শত কোটির মালিক হননি। তিনি দলীয় গ্রুপিংয়েও ছিলেন না। যেকারনে জাহিদ ফারুকের ধারে কাছেও কেউ নেই।
অপরদিকে সাবেক মেয়র সাদিক আব্দুল্লাহর মূল শক্তি স্থানীয় আওয়ামী লীগ তার হাতের মুঠোয়। বাবা আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ পুত্রের মনোনয়ন নিশ্চিতে নানাভাবে তদবিরও চালাচ্ছেন। সাদিকের ঘনিষ্ঠজনরা জানিয়েছেন, সিটি ভোটের মত এবার আর তাদের কোনো আত্মীয় প্রার্থী নেই। তাই প্রধানমন্ত্রী ফুফু হওয়ায় সব আত্মীয়স্বজনদের দ্বারে দ্বারে অতি গোপনে ছুটছেন সাদিক। কিন্তু এ ক্ষেত্রেও প্রধান বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছেন আপন চাচা মেয়র খোকন। বরাদ্দ হওয়া ৮০০ কোটি টাকায় নগরের উন্নয়নে এমপি ও মেয়রের সুসম্পর্ক নিশ্চিত করতে মেয়র খোকন সর্বশক্তি প্রয়োগ করছেন জাহিদ ফারুকের পক্ষে।
মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আনোয়ার হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বরিশাল নগরে সাদিকের জন্য গত ৫ বছরে চাঁদাবাজি, দুর্নীতি ছিল না। এজন্য সাদিককে এমপি করা দরকার। প্রতিমন্ত্রীকে তো জনগণ চেনেন না।’
অপর মনোয়ন প্রত্যাশী আওয়ামী লীগ নেতা মশিউর রহমান খানের কথা শেষ মুহূর্তে বেশ শোনা যাচ্ছে। গুঞ্জন রয়েছে যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সভাপতি সুলতান শরিফের ভাগিনা হওয়ায় মশিউর এবার শেখ হাসিনার গুড বুকে রয়েছেন। মশিউর রহমান বলেন, ‘স্মার্ট বাংলাদেশ গড়াতে তিনি সদর আসনের এমপি হতে চান।’
বরিশাল-২ (বানারীপাড়া-উজিরপুর) :
এ আসনে দলীয় মনোনয়ন জমা দিয়েছেন রেকর্ড সংখ্যক ২০ জন। বর্তমান এমপি শাহে আলমের পাশাপাশি সাবেক এমপি ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. তালুকদার মো. ইউনুসের নাম শোনা যাচ্ছে। সাম্প্রতিক সময়ে এমপি শাহে আলমের সঙ্গে উজিরপুর ও বানারীপাড়া আওয়ামী লীগের দূরত্ব বেশ বেড়েছে। এ নিয়ে এমপিকে শোকজ, তার বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলনও হয়েছে। গুঞ্জন রয়েছে এর নেপথ্যে রয়েছেন সাবেক এমপি ইউনুস। তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ এমপির ঘনিষ্ঠজন। সংসদ সদস্য শাহে আলম এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘দুই উপজেলায় তার উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে ঈশ্বার্ন্বিত হয়ে একটি চক্র নির্বাচনের সময় নানা ষড়যন্ত্র করছে।’
বরিশাল-৪ (হিজলা-মেহেন্দীগঞ্জ) :
বরিশালের ৬টি আসনের মধ্যে আওয়ামী লীগে সবচেয়ে বেশি বিরোধ মেঘনা ঘেরা হিজলা ও মেহেন্দীগঞ্জে মনোনয়ন সংগ্রহ করেছেন ৭ জন। এ আসনে এমপি পংকজ নাথের সঙ্গে আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ড. শাম্মি আহমেদের বিরোধ তুঙ্গে।
স্থানীয় আওয়ামী লীগ সূত্রে জানা গেছে, গত বছর হঠাৎ ড. শাম্মির উত্থান ঘটে এখানে। এরপর তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সহযোগিতায় ভাইকে মেহেন্দীগঞ্জ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক করেন। এখন দুই উপজেলায়ই শাম্মির দখলে। অপরদিকে এমপি পংকজ বহিষ্কার হয়ে বেকায়দায় পড়লেও এলাকায় তার জনপ্রিয়তা ব্যাপক। এই দুই নেতার সঙ্গে বিরোধ এতটাই যে কোনো কর্মসূচি কিংবা অনুষ্ঠানে তারা এক সঙ্গে যান না। এ ব্যাপারে এমপি পংকজ নাথ বলেন, ‘৭৫ ট্র্যাজেডির পর যারা বঙ্গবন্ধুর ছবি ভেঙে উল্লাস করেছিল তারাই মেহেন্দিগঞ্জ-হিজলায় আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।’
দলীয় মনোনয়ন পাওয়া নিয়ে বরিশালে আওয়ামী লীগ নেতাদের মধ্যে বিভক্তি দেখা দিয়েছে। জেলার ৬টি আসনের মধ্যে সদরসহ ৩ টিতে আওয়ামী লীগ নেতাদের বিভক্তি প্রকাশ্য রূপ নিয়েছে। মর্যাদার আসন বরিশাল–৫ (সদর)। এখানের বর্তমান এমপি পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্নেল (অব.) জাহিদ ফারুকের মনোনয়ন নিয়ে অনুসারীরা বেশ আত্মবিশ্বাসী। তার সঙ্গে এককাট্টা হয়েছেন মেয়র খোকন।
অপরদিকে সাবেক মেয়র সাদিক এবার নীরবে লবিং করছেন। অবশ্য নতুন করে যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের এক নেতার ভাগিনার কথা জোরেশোরে শোনা যাচ্ছে।
এদিকে বরিশাল-৩ আসনে বর্তমান এমপি শাহে আলম অনুসারীরা সরব হলেও অন্তত ২০ জন মনোনয়ন প্রত্যাশী হওয়ায় নানা গুঞ্জন রয়েছে। দলে সবচেয়ে বিরোধ বরিশাল-৪ আসনে। এমপি পংকজের সঙ্গে দলটির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ড. শাম্মি আহমেদ এবার লড়াইয়ে নেমেছেন। আওয়ামী লীগের সংসদীয় বোর্ডের সভায় বরিশালে পুরোনো না কি প্রত্যাবর্তন তা জানা যেতে পারে।
বরিশাল-৫ (সদর) :
বিভাগের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ আসন বরিশাল-৫ এ আওয়ামী লীগের মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ৯ জন। এর মধ্যে মূল প্রতিযোগিতায় আছেন বর্তমান সংসদ সদস্য প্রতিমন্ত্রী কর্নেল (অব:) জাহিদ ফারুক, সাবেক মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ এবং আওয়ামী লীগ নেতা মশিউর রহমান খান।
জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুকের ঘনিষ্ঠজন মাহমুদুল হক খান মামুন বলেন, প্রতিমন্ত্রীর গত ৫ বছরে কোনো বদনাম নেই। জাহিদ ফারুকের এপিএসরা শত শত কোটির মালিক হননি। তিনি দলীয় গ্রুপিংয়েও ছিলেন না। যেকারনে জাহিদ ফারুকের ধারে কাছেও কেউ নেই।
অপরদিকে সাবেক মেয়র সাদিক আব্দুল্লাহর মূল শক্তি স্থানীয় আওয়ামী লীগ তার হাতের মুঠোয়। বাবা আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ পুত্রের মনোনয়ন নিশ্চিতে নানাভাবে তদবিরও চালাচ্ছেন। সাদিকের ঘনিষ্ঠজনরা জানিয়েছেন, সিটি ভোটের মত এবার আর তাদের কোনো আত্মীয় প্রার্থী নেই। তাই প্রধানমন্ত্রী ফুফু হওয়ায় সব আত্মীয়স্বজনদের দ্বারে দ্বারে অতি গোপনে ছুটছেন সাদিক। কিন্তু এ ক্ষেত্রেও প্রধান বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছেন আপন চাচা মেয়র খোকন। বরাদ্দ হওয়া ৮০০ কোটি টাকায় নগরের উন্নয়নে এমপি ও মেয়রের সুসম্পর্ক নিশ্চিত করতে মেয়র খোকন সর্বশক্তি প্রয়োগ করছেন জাহিদ ফারুকের পক্ষে।
মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আনোয়ার হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বরিশাল নগরে সাদিকের জন্য গত ৫ বছরে চাঁদাবাজি, দুর্নীতি ছিল না। এজন্য সাদিককে এমপি করা দরকার। প্রতিমন্ত্রীকে তো জনগণ চেনেন না।’
অপর মনোয়ন প্রত্যাশী আওয়ামী লীগ নেতা মশিউর রহমান খানের কথা শেষ মুহূর্তে বেশ শোনা যাচ্ছে। গুঞ্জন রয়েছে যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সভাপতি সুলতান শরিফের ভাগিনা হওয়ায় মশিউর এবার শেখ হাসিনার গুড বুকে রয়েছেন। মশিউর রহমান বলেন, ‘স্মার্ট বাংলাদেশ গড়াতে তিনি সদর আসনের এমপি হতে চান।’
বরিশাল-২ (বানারীপাড়া-উজিরপুর) :
এ আসনে দলীয় মনোনয়ন জমা দিয়েছেন রেকর্ড সংখ্যক ২০ জন। বর্তমান এমপি শাহে আলমের পাশাপাশি সাবেক এমপি ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. তালুকদার মো. ইউনুসের নাম শোনা যাচ্ছে। সাম্প্রতিক সময়ে এমপি শাহে আলমের সঙ্গে উজিরপুর ও বানারীপাড়া আওয়ামী লীগের দূরত্ব বেশ বেড়েছে। এ নিয়ে এমপিকে শোকজ, তার বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলনও হয়েছে। গুঞ্জন রয়েছে এর নেপথ্যে রয়েছেন সাবেক এমপি ইউনুস। তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ এমপির ঘনিষ্ঠজন। সংসদ সদস্য শাহে আলম এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘দুই উপজেলায় তার উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে ঈশ্বার্ন্বিত হয়ে একটি চক্র নির্বাচনের সময় নানা ষড়যন্ত্র করছে।’
বরিশাল-৪ (হিজলা-মেহেন্দীগঞ্জ) :
বরিশালের ৬টি আসনের মধ্যে আওয়ামী লীগে সবচেয়ে বেশি বিরোধ মেঘনা ঘেরা হিজলা ও মেহেন্দীগঞ্জে মনোনয়ন সংগ্রহ করেছেন ৭ জন। এ আসনে এমপি পংকজ নাথের সঙ্গে আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ড. শাম্মি আহমেদের বিরোধ তুঙ্গে।
স্থানীয় আওয়ামী লীগ সূত্রে জানা গেছে, গত বছর হঠাৎ ড. শাম্মির উত্থান ঘটে এখানে। এরপর তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সহযোগিতায় ভাইকে মেহেন্দীগঞ্জ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক করেন। এখন দুই উপজেলায়ই শাম্মির দখলে। অপরদিকে এমপি পংকজ বহিষ্কার হয়ে বেকায়দায় পড়লেও এলাকায় তার জনপ্রিয়তা ব্যাপক। এই দুই নেতার সঙ্গে বিরোধ এতটাই যে কোনো কর্মসূচি কিংবা অনুষ্ঠানে তারা এক সঙ্গে যান না। এ ব্যাপারে এমপি পংকজ নাথ বলেন, ‘৭৫ ট্র্যাজেডির পর যারা বঙ্গবন্ধুর ছবি ভেঙে উল্লাস করেছিল তারাই মেহেন্দিগঞ্জ-হিজলায় আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।’
আরামদায়ক ও যানজটমুক্ত ভ্রমণের জন্য এখনো অনেকের কাছে পছন্দ ঢাকা-চাঁদপুর নৌপথ। তবে চাঁদপুর টার্মিনালে যাত্রীদের জন্য নেই তেমন সুযোগ-সুবিধা। স্থানীয়দের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে চাঁদপুর আধুনিক নৌবন্দর নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল।
৪২ মিনিট আগেশরীয়তপুরের জাজিরায় পদ্মা সেতু রক্ষা বাঁধের ১০০ মিটার ধসে পদ্মায় বিলীন হয়েছে। এতে ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে পদ্মা সেতু কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ডসহ আশপাশের বাড়িঘর, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও অন্যান্য স্থাপনা।
১ ঘণ্টা আগেনারায়ণগঞ্জ সোনারগাঁয়ে মেঘনা গ্রুপের টিস্যু কারখানায় আগুন লেগেছে। আজ সোমবার ভোরে এ আগুন লাগে। নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ১৪টি ইউনিট কাজ করছে।
২ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দুই পক্ষে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের ১০ জন আহত হয়েছেন। রোববার (১৭ নভেম্বর) সকাল ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং দুজনকে আটক করে
৯ ঘণ্টা আগে