নিজস্ব প্রতিবেদক
চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত তিন মাসে সড়ক-মহাসড়কে ৩৯৮টি দুর্ঘটনায় ৪০৯ জন পথচারী নিহত হয়েছে। নিহত পথচারীর মধ্যে পুরুষ ২৪৬, নারী ৬৬ এবং শিশু ৯৭ জন।
সোমবার রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের সড়ক দুর্ঘটনায় পথচারী নিহতের (জানুয়ারি-মার্চ ২০২১) প্রতিবেদন এই তথ্য জানানো হয়।
দুর্ঘটনায় পথচারী নিহতের ধরন:
গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, রাস্তায় হাঁটার সময় দুর্ঘটনা ঘটেছে ২১৩টি (৫৩.৫১ শতাংশ) এবং রাস্তা পারাপারের সময় দুর্ঘটনা ঘটেছে ১৮৫টি (৪৬.৪৮ শতাংশ)। দুর্ঘটনাসমূহের মধ্যে পথচারীকে যানবাহনের ধাক্কা দেয়ার ঘটনা ঘটেছে ১৭৯টি (৪৪.৯৭ শতাংশ), এতে নিহত হয়েছে ১৮৩ জন (৪৪.৭৪ শতাংশ)। পথচারীকে যানবাহনের চাপা দেয়ার ঘটনা ঘটেছে ২১৯ টি (৫৫ শতাংশ), এতে নিহত হয়েছে ২২৫ জন (৫৫ শতাংশ)। কয়েকটি দুর্ঘটনায় একাধিক প্রাণহানি ঘটেছে।
দুর্ঘটনায় পথচারী নিহতের কারণ:
দুর্ঘটনার কারণ বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৬১.৮০ শতাংশ দুর্ঘটনা ঘটেছে যানবাহনের বেপরোয়া গতির কারণে এবং ৩৮.১৯ শতাংশ দুর্ঘটনা ঘটেছে পথচারীদের অসতর্কতার কারণে।
যানবাহন দ্বারা পথচারী নিহতের চিত্র:
যানবাহন দ্বারা পথচারী নিহতের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, বাস ১৮.০৯%, ট্রাক ৩২.৫১%, কাভার্ডভ্যান-পিকআপ-ট্রাক্টর-ট্রলি-লরি ১৯.৮০%, মোটরসাইকেল ১০.৭৫%, প্রাইভেটকার-মাইক্রোবাস-জীপ ৩.১৭%, থ্রি-হুইলার (সিএনজি-ইজিবাইক-অটোরিকশা) ১০.০২%, নসিমন-আলমসাধু-অটোভ্যান-মাহিন্দ্র-টমটম-বোরাক ৪.৪০% এবং অন্যান্য যানবাহন দ্বারা (পাওয়ারটিলার-ডাম্পার-ঠেসার) ১.২২% পথচারী নিহত হয়েছে।
নিহত পথচারীদের বয়স বিশ্লেষণ:
প্রাপ্ত তথ্যের আলোকে নিহত পথচারীদের বয়স বিশ্লেষণ বলছে, ৩-১০ বছর বয়সী নিহত হয়েছে ২৩.৪৬ শতাংশ, ১১-২৫ বছর বয়সী নিহত হয়েছে ১৯.২৩ শতাংশ, ২৬-৫০ বছর বয়সী নিহত হয়েছে ৩২.৩০ শতাংশ, ৫১-৭০ বছর বয়সী ২১.৯২ শতাংশ এবং ৭১-তদুর্ধ বয়সী নিহত হয়েছে ৩.০৭ শতাংশ।
দুর্ঘটনা সংঘটিত সড়কের ধরন:
রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণ বলছে, পথচারী নিহতের ঘটনা মহাসড়কে ঘটেছে ১২৩টি (৩০.৯০%), আঞ্চলিক সড়কে ঘটেছে ৯৫টি (২৩.৮৬%), গ্রামীণ সড়কে ঘটেছে ১১৯টি (২৯.৮৯%), শহরের সড়কে ঘটেছে ৫৭টি (১৪.৩২%) এবং অন্যান্য স্থানে ৪টি (১%)ঘটেছে।
দায়ী যানবাহনসমূহ:
দুর্ঘটনায় পথচারী নিহতের ক্ষেত্রে দায়ী যানবাহনের সংখ্যা ৪০৩টি। (বাস-৭২, ট্রাক-১৩১, কাভার্ডভ্যান-১৭, পিকআপ-২৬, ট্রাক্টর-১৫, ট্রলি-১৩, লরি-৮, তেলবাহী লরি-২, মোটরসাইকেল-৪৪, প্রাইভেটকার-৪, মাইক্রোবাস-৮, জীপ-১, সিএনজি-৩, ইজিবাইক-৫, অটোরিকশা-৩৩, নসিমন-৬, আলমসাধু-৩, অটোভ্যান-২, মাহিন্দ্র-৪, টমটম-২, বোরাক-১, ঠেসার-১, এবং ডাম্পার-২টি।
দুর্ঘটনার সময় বিশ্লেষণ:
দুর্ঘটনায় পথচারী নিহতের সময় বিশ্লেষণে দেখা যায়, ভোরে ৩%, সকালে ২৮.৩৯%, দুপুরে ২০.১০%, বিকালে ২২.১১%, সন্ধ্যায় ১১.৫৫% এবং রাতে ১৪.৮২% দুর্ঘটনা ঘটেছে।
বিভাগওয়ারী পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ঢাকা বিভাগে ৩৩.৭২%, রাজশাহী বিভাগে ১৫.২৯%, চট্টগ্রাম বিভাগে ১৪.৯০%, খুলনা বিভাগে ৯.৮০%, বরিশাল বিভাগে ৬.২৭%, সিলেট বিভাগে ৪.৭০%, রংপুর বিভাগে ৬.৬৬% এবং ময়মনসিংহ বিভাগে ৮.৬২% পথচারী নিহত হয়েছে। সবচেয়ে বেশি ঢাকা বিভাগে এবং সবচেয়ে কম সিলেট বিভাগে। ঢাকা মহানগরে সবচেয়ে বেশি পথচারী নিহতের ঘটনা ঘটেছে।
রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক সাইদুর রহমান বলেন,'ইদানিং সড়ক দুর্ঘটনায় পথচারী নিহতের হার চরমভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। গত তিন মাসে থ্রি-হুইলার এবং স্থানীয়ভাবে তৈরি যানবাহনের চেয়ে দ্রুতগতির ভারী যানবাহন দ্বারা পথচারী বেশি নিহত হয়েছে। মোটরসাইকেলের ধাক্কায় পথচারী নিহতের ঘটনার অধিকাংশই ঘটেছে গ্রামীণ সড়কে। রাস্তা পারাপারে নারী, শিশু ও বৃদ্ধরা বেশি নিহত হয়েছে। বেশ কিছু দুর্ঘটনা ঘটেছে সড়ক ঘেঁষা হাট-বাজারে এবং বসতবাড়ির সন্নিকটে। এই প্রতিবেদন তিন মাসের হলেও এটাই মূলত দেশে সড়ক দুর্ঘটনায় পথচারী নিহতের সামগ্রিক প্রকৃত চিত্র। অতএব এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ জরুরি'।
চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত তিন মাসে সড়ক-মহাসড়কে ৩৯৮টি দুর্ঘটনায় ৪০৯ জন পথচারী নিহত হয়েছে। নিহত পথচারীর মধ্যে পুরুষ ২৪৬, নারী ৬৬ এবং শিশু ৯৭ জন।
সোমবার রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের সড়ক দুর্ঘটনায় পথচারী নিহতের (জানুয়ারি-মার্চ ২০২১) প্রতিবেদন এই তথ্য জানানো হয়।
দুর্ঘটনায় পথচারী নিহতের ধরন:
গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, রাস্তায় হাঁটার সময় দুর্ঘটনা ঘটেছে ২১৩টি (৫৩.৫১ শতাংশ) এবং রাস্তা পারাপারের সময় দুর্ঘটনা ঘটেছে ১৮৫টি (৪৬.৪৮ শতাংশ)। দুর্ঘটনাসমূহের মধ্যে পথচারীকে যানবাহনের ধাক্কা দেয়ার ঘটনা ঘটেছে ১৭৯টি (৪৪.৯৭ শতাংশ), এতে নিহত হয়েছে ১৮৩ জন (৪৪.৭৪ শতাংশ)। পথচারীকে যানবাহনের চাপা দেয়ার ঘটনা ঘটেছে ২১৯ টি (৫৫ শতাংশ), এতে নিহত হয়েছে ২২৫ জন (৫৫ শতাংশ)। কয়েকটি দুর্ঘটনায় একাধিক প্রাণহানি ঘটেছে।
দুর্ঘটনায় পথচারী নিহতের কারণ:
দুর্ঘটনার কারণ বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৬১.৮০ শতাংশ দুর্ঘটনা ঘটেছে যানবাহনের বেপরোয়া গতির কারণে এবং ৩৮.১৯ শতাংশ দুর্ঘটনা ঘটেছে পথচারীদের অসতর্কতার কারণে।
যানবাহন দ্বারা পথচারী নিহতের চিত্র:
যানবাহন দ্বারা পথচারী নিহতের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, বাস ১৮.০৯%, ট্রাক ৩২.৫১%, কাভার্ডভ্যান-পিকআপ-ট্রাক্টর-ট্রলি-লরি ১৯.৮০%, মোটরসাইকেল ১০.৭৫%, প্রাইভেটকার-মাইক্রোবাস-জীপ ৩.১৭%, থ্রি-হুইলার (সিএনজি-ইজিবাইক-অটোরিকশা) ১০.০২%, নসিমন-আলমসাধু-অটোভ্যান-মাহিন্দ্র-টমটম-বোরাক ৪.৪০% এবং অন্যান্য যানবাহন দ্বারা (পাওয়ারটিলার-ডাম্পার-ঠেসার) ১.২২% পথচারী নিহত হয়েছে।
নিহত পথচারীদের বয়স বিশ্লেষণ:
প্রাপ্ত তথ্যের আলোকে নিহত পথচারীদের বয়স বিশ্লেষণ বলছে, ৩-১০ বছর বয়সী নিহত হয়েছে ২৩.৪৬ শতাংশ, ১১-২৫ বছর বয়সী নিহত হয়েছে ১৯.২৩ শতাংশ, ২৬-৫০ বছর বয়সী নিহত হয়েছে ৩২.৩০ শতাংশ, ৫১-৭০ বছর বয়সী ২১.৯২ শতাংশ এবং ৭১-তদুর্ধ বয়সী নিহত হয়েছে ৩.০৭ শতাংশ।
দুর্ঘটনা সংঘটিত সড়কের ধরন:
রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণ বলছে, পথচারী নিহতের ঘটনা মহাসড়কে ঘটেছে ১২৩টি (৩০.৯০%), আঞ্চলিক সড়কে ঘটেছে ৯৫টি (২৩.৮৬%), গ্রামীণ সড়কে ঘটেছে ১১৯টি (২৯.৮৯%), শহরের সড়কে ঘটেছে ৫৭টি (১৪.৩২%) এবং অন্যান্য স্থানে ৪টি (১%)ঘটেছে।
দায়ী যানবাহনসমূহ:
দুর্ঘটনায় পথচারী নিহতের ক্ষেত্রে দায়ী যানবাহনের সংখ্যা ৪০৩টি। (বাস-৭২, ট্রাক-১৩১, কাভার্ডভ্যান-১৭, পিকআপ-২৬, ট্রাক্টর-১৫, ট্রলি-১৩, লরি-৮, তেলবাহী লরি-২, মোটরসাইকেল-৪৪, প্রাইভেটকার-৪, মাইক্রোবাস-৮, জীপ-১, সিএনজি-৩, ইজিবাইক-৫, অটোরিকশা-৩৩, নসিমন-৬, আলমসাধু-৩, অটোভ্যান-২, মাহিন্দ্র-৪, টমটম-২, বোরাক-১, ঠেসার-১, এবং ডাম্পার-২টি।
দুর্ঘটনার সময় বিশ্লেষণ:
দুর্ঘটনায় পথচারী নিহতের সময় বিশ্লেষণে দেখা যায়, ভোরে ৩%, সকালে ২৮.৩৯%, দুপুরে ২০.১০%, বিকালে ২২.১১%, সন্ধ্যায় ১১.৫৫% এবং রাতে ১৪.৮২% দুর্ঘটনা ঘটেছে।
বিভাগওয়ারী পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ঢাকা বিভাগে ৩৩.৭২%, রাজশাহী বিভাগে ১৫.২৯%, চট্টগ্রাম বিভাগে ১৪.৯০%, খুলনা বিভাগে ৯.৮০%, বরিশাল বিভাগে ৬.২৭%, সিলেট বিভাগে ৪.৭০%, রংপুর বিভাগে ৬.৬৬% এবং ময়মনসিংহ বিভাগে ৮.৬২% পথচারী নিহত হয়েছে। সবচেয়ে বেশি ঢাকা বিভাগে এবং সবচেয়ে কম সিলেট বিভাগে। ঢাকা মহানগরে সবচেয়ে বেশি পথচারী নিহতের ঘটনা ঘটেছে।
রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক সাইদুর রহমান বলেন,'ইদানিং সড়ক দুর্ঘটনায় পথচারী নিহতের হার চরমভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। গত তিন মাসে থ্রি-হুইলার এবং স্থানীয়ভাবে তৈরি যানবাহনের চেয়ে দ্রুতগতির ভারী যানবাহন দ্বারা পথচারী বেশি নিহত হয়েছে। মোটরসাইকেলের ধাক্কায় পথচারী নিহতের ঘটনার অধিকাংশই ঘটেছে গ্রামীণ সড়কে। রাস্তা পারাপারে নারী, শিশু ও বৃদ্ধরা বেশি নিহত হয়েছে। বেশ কিছু দুর্ঘটনা ঘটেছে সড়ক ঘেঁষা হাট-বাজারে এবং বসতবাড়ির সন্নিকটে। এই প্রতিবেদন তিন মাসের হলেও এটাই মূলত দেশে সড়ক দুর্ঘটনায় পথচারী নিহতের সামগ্রিক প্রকৃত চিত্র। অতএব এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ জরুরি'।
ছাত্র আন্দোলনে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে গুলিতে আহত শিক্ষার্থীর দায়ের করা হত্যাচেষ্টা মামলায় এক ছাত্রদল নেতাকে আসামি করা হয়েছে। মামলার প্রধান আসামি নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শামীম ওসমান। এ নিয়ে ছাত্রদল নেতা কর্মীদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।
২৩ মিনিট আগেবরগুনার বেতাগীতে প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীকে কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে। আজ মঙ্গলবার বেলা আড়াইটার দিকে উপজেলার বিবিচিনি ইউনিয়নের পুটিয়াখালী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ সময় এক তরুণকে আটক করা হয়েছে।
৩৪ মিনিট আগেচট্টগ্রাম পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের দুটি ছাত্রাবাস খোলার কথা থাকলেও নির্দিষ্ট সময়ে তা না খোলা হয়নি। এর প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
১ ঘণ্টা আগেসাবেক তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রীর ব্যক্তিগত সহকারী (এপিএস) নাজমুল হক বকুলকে ‘অপহরণের’ দুই ঘণ্টার পর বাড়ির সামনে রেখে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। তার পরিবারের পক্ষ থেকে এমন দাবি করা হয়েছে। পরে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে বকুল জানান, তিনি ভালো আছেন।
১ ঘণ্টা আগে