সম্পাদকীয়
দেশভাগের পর যখন শুনলেন, ভারত আর পাকিস্তানের মধ্যে পাসপোর্ট চালু হচ্ছে, তখন কলকাতার পাট চুকিয়ে দেওয়ার মনস্থ করলেন এম আর আখতার মুকুল। কমরেড সুলতান আর তিনি শুরু করলেন ‘পুঁথিপত্র’ নামে একটি বইয়ের দোকান। সে সময়ের ঢাকা ছিল একেবারে অন্য রকম। পুঁথিপত্রের পেছনের অংশ বেড়া দিয়ে কাঠের একটা চৌকি পেতে দুজন ঘুমাতেন। মসজিদ থেকে বালতিতে করে পানি এনে গোসল। কাছের একটা সাধারণ রেস্তোরাঁ থেকে মাসিক চুক্তিতে খাওয়ার বন্দোবস্ত।
সে সময় সংবাদে একটা চাকরি জুটলে পুঁথিপত্র কমরেড সুলতানের কাছে সমর্পণ করে চাকরিতে লেগে গেলেন। দৈনিক সংবাদের বিজ্ঞাপন বিভাগে সহকারী বিজ্ঞাপন ম্যানেজারের চাকরি। উঠলেন মাসিক ‘অগত্যা’ অফিসে। মুস্তাফা নূর-উল ইসলাম আর ফজলে লোহানী থাকতেন সেখানে। এটা ছিল তাঁতীবাজার-লাগোয়া, একদিকে রায়সাহেব বাজার, অন্যদিকে শাঁখারীবাজার।
এই ‘অগত্যা’ অফিসে সেকালের তরুণ সাহিত্যিকেরা আড্ডা দিতে আসতেন। আড্ডায় দেশি ও বিশ্বসাহিত্য, শিল্প, দর্শন ইত্যাদির আলাপ হতো। আড্ডার মধ্যমণি ছিলেন ফজলে লোহানী।
অগত্যায় ব্যঙ্গ, রসিকতা ইত্যাদি চলত খুব জোরেশোরে। ৩ নম্বর রামাকান্ত নন্দী লেনের পাইওনিয়ার প্রিন্টিং প্রেস থেকে তা ছাপা হতো। ছাপা হতো অনিয়মিতভাবে। কারণ, সব সময় বকেয়া বিল পরিশোধ করা হতো না।
অগত্যার ‘চিঠিপত্র’ কলামটি খুব আকর্ষণীয় ছিল। চিঠিপত্র না বলে একে প্রশ্ন ও উত্তর বলা হলেই আসলে ঠিক বলা হবে। সে রকম একটি চিঠির নমুনা, ‘প্রশ্ন: আমি মুসলিম লীগের প্রেসিডেন্ট এবং দৈনিক আজাদের মালিক মওলানা আকরম খাঁকে একটা চিঠি লিখতে চাই। কী বলে তাঁকে সম্বোধন করব?’
উত্তর: ‘আয় মেরে জান, পেয়ারে দামান, নূর-এ চামান, আসমান কি চাঁদ, আঁখো-কা-তারা, পেয়ারে মাওলানা মোহাম্মদ ফাঁকরাম খাঁ সমীপেষু।’
বলা বাহুল্য, এই চিঠিপত্রের প্রশ্ন এবং উত্তর—দুটোই অফিস থেকেই প্রস্তুতকৃত। বাইরে থেকে যে চিঠিপত্র আসত ডাকে, তা খোলাও হতো না।
সূত্র: কাজল ঘোষ সম্পাদিত ‘স্মৃতির ঢাকা’, পৃষ্ঠা ৮৬-৮৭
দেশভাগের পর যখন শুনলেন, ভারত আর পাকিস্তানের মধ্যে পাসপোর্ট চালু হচ্ছে, তখন কলকাতার পাট চুকিয়ে দেওয়ার মনস্থ করলেন এম আর আখতার মুকুল। কমরেড সুলতান আর তিনি শুরু করলেন ‘পুঁথিপত্র’ নামে একটি বইয়ের দোকান। সে সময়ের ঢাকা ছিল একেবারে অন্য রকম। পুঁথিপত্রের পেছনের অংশ বেড়া দিয়ে কাঠের একটা চৌকি পেতে দুজন ঘুমাতেন। মসজিদ থেকে বালতিতে করে পানি এনে গোসল। কাছের একটা সাধারণ রেস্তোরাঁ থেকে মাসিক চুক্তিতে খাওয়ার বন্দোবস্ত।
সে সময় সংবাদে একটা চাকরি জুটলে পুঁথিপত্র কমরেড সুলতানের কাছে সমর্পণ করে চাকরিতে লেগে গেলেন। দৈনিক সংবাদের বিজ্ঞাপন বিভাগে সহকারী বিজ্ঞাপন ম্যানেজারের চাকরি। উঠলেন মাসিক ‘অগত্যা’ অফিসে। মুস্তাফা নূর-উল ইসলাম আর ফজলে লোহানী থাকতেন সেখানে। এটা ছিল তাঁতীবাজার-লাগোয়া, একদিকে রায়সাহেব বাজার, অন্যদিকে শাঁখারীবাজার।
এই ‘অগত্যা’ অফিসে সেকালের তরুণ সাহিত্যিকেরা আড্ডা দিতে আসতেন। আড্ডায় দেশি ও বিশ্বসাহিত্য, শিল্প, দর্শন ইত্যাদির আলাপ হতো। আড্ডার মধ্যমণি ছিলেন ফজলে লোহানী।
অগত্যায় ব্যঙ্গ, রসিকতা ইত্যাদি চলত খুব জোরেশোরে। ৩ নম্বর রামাকান্ত নন্দী লেনের পাইওনিয়ার প্রিন্টিং প্রেস থেকে তা ছাপা হতো। ছাপা হতো অনিয়মিতভাবে। কারণ, সব সময় বকেয়া বিল পরিশোধ করা হতো না।
অগত্যার ‘চিঠিপত্র’ কলামটি খুব আকর্ষণীয় ছিল। চিঠিপত্র না বলে একে প্রশ্ন ও উত্তর বলা হলেই আসলে ঠিক বলা হবে। সে রকম একটি চিঠির নমুনা, ‘প্রশ্ন: আমি মুসলিম লীগের প্রেসিডেন্ট এবং দৈনিক আজাদের মালিক মওলানা আকরম খাঁকে একটা চিঠি লিখতে চাই। কী বলে তাঁকে সম্বোধন করব?’
উত্তর: ‘আয় মেরে জান, পেয়ারে দামান, নূর-এ চামান, আসমান কি চাঁদ, আঁখো-কা-তারা, পেয়ারে মাওলানা মোহাম্মদ ফাঁকরাম খাঁ সমীপেষু।’
বলা বাহুল্য, এই চিঠিপত্রের প্রশ্ন এবং উত্তর—দুটোই অফিস থেকেই প্রস্তুতকৃত। বাইরে থেকে যে চিঠিপত্র আসত ডাকে, তা খোলাও হতো না।
সূত্র: কাজল ঘোষ সম্পাদিত ‘স্মৃতির ঢাকা’, পৃষ্ঠা ৮৬-৮৭
তারাপদ রায় দুই বাংলার প্রতিষ্ঠিত কবি হলেও তাঁর জন্ম ও শৈশব-কৈশোরের দিনগুলো কেটেছে বাংলাদেশের টাঙ্গাইল শহরে। তিনি ১৯৩৬ সালের ১৭ নভেম্বর টাঙ্গাইল শহরের পূর্ব আদালতপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। বাবা ছিলেন টাঙ্গাইল জজকোর্টের আইনজীবী।
৩ ঘণ্টা আগেআধুনিক আফ্রিকান সাহিত্যের পুরোধা ব্যক্তিত্ব চিনুয়া আচেবের জন্ম ১৯৩০ সালের ১৬ নভেম্বর নাইজেরিয়ার দক্ষিণ-পূর্ব অঞ্চল ওগিদিতে। তিনি ইবাদান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম স্নাতকদের একজন। লেখাপড়া শেষে নাইজেরিয়ান ব্রডকাস্টিং করপোরেশনে রেডিও প্রযোজক ও এক্সটারনাল ব্রডকাস্টিংয়ের পরিচালক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
১ দিন আগেবারী সিদ্দিকী সংগীতজীবনের প্রথম দিকে বংশীবাদক হিসেবে পরিচিত পেলেও পরবর্তী সময়ে তিনি একজন লোকসংগীতশিল্পী হিসেবে খ্যাতি লাভ করেন।
২ দিন আগেতিনি ছিলেন একজন আদর্শবান শিক্ষক—অজিতকুমার গুহর এটাই সবচেয়ে বড় পরিচয়। নিজের জাগতিক উন্নতিকে কখনো বড় করে দেখেননি তিনি। শিক্ষার্থীদের আদর্শ জীবন উপহার দেওয়াই ছিল তাঁর ব্রত। তিনি সক্রিয় ছিলেন ঢাকার প্রগতিশীল সাহিত্য-সাংস্কৃতিক পরিসরেও। সুবক্তা হিসেবে তাঁর খ্যাতির কমতি ছিল না।
৫ দিন আগে