সম্পাদকীয়
ভারতবর্ষ থেকে ব্রিটিশ শাসকগোষ্ঠীকে উচ্ছেদ করতে ফাঁসিকাষ্ঠে জীবন দিয়েছিলেন ক্ষুদিরাম বসু। তাঁর এই আত্ম বলিদান পরে অসংখ্য তরুণ-যুবককে ব্রিটিশবিরোধী স্বাধীনতাসংগ্রামে যুক্ত হতে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছিল। প্রায় দুই শ বছর ব্রিটিশদের শাসন, শোষণ ও অত্যাচারে জর্জরিত ভারতবর্ষের মানুষ একসময় তাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করে, যা স্বদেশি আন্দোলন নামে পরিচিত।
ছোটবেলা থেকে ক্ষুদিরাম সাহসী, ডানপিটে ও বাউন্ডুলে ছিলেন। স্কুলে পড়ার সময়ই মেদিনীপুরে এসেছিলেন বিপ্লবী নেতা অরবিন্দ ও বোন নিবেদিতা। তাঁরা ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে জনগণকে সচেতন করার জন্য প্রচারকাজে এসেছিলেন। তাঁদের বক্তৃতা শুনে অনুপ্রাণিত হয়ে ক্ষুদিরাম স্বদেশি আন্দোলনে যুক্ত হন। তখন তাঁর বয়স মাত্র ১৩ কি ১৪ বছর। ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে জনমত গঠন করতে ইশতেহার বিলি করা এবং ইংরেজদের লক্ষ্য করে বোমা হামলাসহ বিভিন্ন কারণে তিনি পুলিশের খাতায় দাগি আসামি হয়ে ওঠেন।
১৯০৮ সালের ৩০ এপ্রিল বিহারের মুজাফফরপুরে রাতের বেলায় তিনি ও তাঁর সহযোদ্ধা প্রফুল্ল চাকি যৌথভাবে ইউরোপিয়ান ক্লাবের সামনে কিংসফোর্ডকে হত্যার উদ্দেশ্যে বোমা নিক্ষেপ করেন। এতে গাড়িতে থাকা কিংসফোর্ডসহ একজন ব্রিটিশ নারী ও তাঁর কন্যা মারা যান। এই হত্যাকাণ্ডের দায়ে অভিযুক্ত ক্ষুদিরামের বিচার শুরু হয় একই বছরের ২১ মে, ইতিহাসে যা আলীপুর বোমা মামলা নামে পরিচিত। বিচারে তাঁর ফাঁসির রায় ঘোষিত হয়। ১৯০৮ সালের ১১ আগস্ট ছিল তাঁর ফাঁসি কার্যকরের দিন। ওই দিন তিনি হাসিমুখে ফাঁসির মঞ্চে দাঁড়ালে জনৈক ইংরেজ বিচারক ক্ষুদিরামকে প্রশ্ন করেন, তাঁকে যে ফাঁসিতে মরতে হবে, সেটা তিনি বুঝতে পেরেছেন কি না। ফাঁসির মঞ্চে দাঁড়িয়েও তিনি ছিলেন নির্ভীক। হাসিমুখে ফাঁসির দড়ি গলায় দিয়ে তিনি মৃত্যুকে বরণ করেছিলেন।
মৃত্যুভয়কে তুচ্ছ করে দেশমাতৃকার স্বাধীনতার জন্য প্রাণ দিয়ে অমর হয়ে আছেন ক্ষুদিরাম। এই মহান বিপ্লবীর জন্ম ১৮৮৯ সালের ৩ ডিসেম্বর পশ্চিমবঙ্গের মেদিনীপুরের হাবিবপুর গ্রামে।
ভারতবর্ষ থেকে ব্রিটিশ শাসকগোষ্ঠীকে উচ্ছেদ করতে ফাঁসিকাষ্ঠে জীবন দিয়েছিলেন ক্ষুদিরাম বসু। তাঁর এই আত্ম বলিদান পরে অসংখ্য তরুণ-যুবককে ব্রিটিশবিরোধী স্বাধীনতাসংগ্রামে যুক্ত হতে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছিল। প্রায় দুই শ বছর ব্রিটিশদের শাসন, শোষণ ও অত্যাচারে জর্জরিত ভারতবর্ষের মানুষ একসময় তাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করে, যা স্বদেশি আন্দোলন নামে পরিচিত।
ছোটবেলা থেকে ক্ষুদিরাম সাহসী, ডানপিটে ও বাউন্ডুলে ছিলেন। স্কুলে পড়ার সময়ই মেদিনীপুরে এসেছিলেন বিপ্লবী নেতা অরবিন্দ ও বোন নিবেদিতা। তাঁরা ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে জনগণকে সচেতন করার জন্য প্রচারকাজে এসেছিলেন। তাঁদের বক্তৃতা শুনে অনুপ্রাণিত হয়ে ক্ষুদিরাম স্বদেশি আন্দোলনে যুক্ত হন। তখন তাঁর বয়স মাত্র ১৩ কি ১৪ বছর। ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে জনমত গঠন করতে ইশতেহার বিলি করা এবং ইংরেজদের লক্ষ্য করে বোমা হামলাসহ বিভিন্ন কারণে তিনি পুলিশের খাতায় দাগি আসামি হয়ে ওঠেন।
১৯০৮ সালের ৩০ এপ্রিল বিহারের মুজাফফরপুরে রাতের বেলায় তিনি ও তাঁর সহযোদ্ধা প্রফুল্ল চাকি যৌথভাবে ইউরোপিয়ান ক্লাবের সামনে কিংসফোর্ডকে হত্যার উদ্দেশ্যে বোমা নিক্ষেপ করেন। এতে গাড়িতে থাকা কিংসফোর্ডসহ একজন ব্রিটিশ নারী ও তাঁর কন্যা মারা যান। এই হত্যাকাণ্ডের দায়ে অভিযুক্ত ক্ষুদিরামের বিচার শুরু হয় একই বছরের ২১ মে, ইতিহাসে যা আলীপুর বোমা মামলা নামে পরিচিত। বিচারে তাঁর ফাঁসির রায় ঘোষিত হয়। ১৯০৮ সালের ১১ আগস্ট ছিল তাঁর ফাঁসি কার্যকরের দিন। ওই দিন তিনি হাসিমুখে ফাঁসির মঞ্চে দাঁড়ালে জনৈক ইংরেজ বিচারক ক্ষুদিরামকে প্রশ্ন করেন, তাঁকে যে ফাঁসিতে মরতে হবে, সেটা তিনি বুঝতে পেরেছেন কি না। ফাঁসির মঞ্চে দাঁড়িয়েও তিনি ছিলেন নির্ভীক। হাসিমুখে ফাঁসির দড়ি গলায় দিয়ে তিনি মৃত্যুকে বরণ করেছিলেন।
মৃত্যুভয়কে তুচ্ছ করে দেশমাতৃকার স্বাধীনতার জন্য প্রাণ দিয়ে অমর হয়ে আছেন ক্ষুদিরাম। এই মহান বিপ্লবীর জন্ম ১৮৮৯ সালের ৩ ডিসেম্বর পশ্চিমবঙ্গের মেদিনীপুরের হাবিবপুর গ্রামে।
আধুনিক আফ্রিকান সাহিত্যের পুরোধা ব্যক্তিত্ব চিনুয়া আচেবের জন্ম ১৯৩০ সালের ১৬ নভেম্বর নাইজেরিয়ার দক্ষিণ-পূর্ব অঞ্চল ওগিদিতে। তিনি ইবাদান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম স্নাতকদের একজন। লেখাপড়া শেষে নাইজেরিয়ান ব্রডকাস্টিং করপোরেশনে রেডিও প্রযোজক ও এক্সটারনাল ব্রডকাস্টিংয়ের পরিচালক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
৫ ঘণ্টা আগেবারী সিদ্দিকী সংগীতজীবনের প্রথম দিকে বংশীবাদক হিসেবে পরিচিত পেলেও পরবর্তী সময়ে তিনি একজন লোকসংগীতশিল্পী হিসেবে খ্যাতি লাভ করেন।
১ দিন আগেতিনি ছিলেন একজন আদর্শবান শিক্ষক—অজিতকুমার গুহর এটাই সবচেয়ে বড় পরিচয়। নিজের জাগতিক উন্নতিকে কখনো বড় করে দেখেননি তিনি। শিক্ষার্থীদের আদর্শ জীবন উপহার দেওয়াই ছিল তাঁর ব্রত। তিনি সক্রিয় ছিলেন ঢাকার প্রগতিশীল সাহিত্য-সাংস্কৃতিক পরিসরেও। সুবক্তা হিসেবে তাঁর খ্যাতির কমতি ছিল না।
৪ দিন আগেআব্দুল করিম খাঁ ছিলেন হিন্দুস্তানি ধ্রুপদি সংগীতের অন্যতম কিংবদন্তি। কিরানা ঘরানারও তিনি কিংবদন্তি ছিলেন। তাঁর সম্পর্কে প্রচলিত—তিনি গান গাওয়ার সময় এমনভাবে ধ্যানমগ্ন হয়ে যেতেন যে, শ্রোতারাও সেই সুরের মায়াজালে আচ্ছন্ন হয়ে পড়তেন।
৫ দিন আগে