সম্পাদকীয়
হার্ভার্ডে পড়তে গেছেন অর্থনীতির অধ্যাপক মো. আনিসুর রহমান। সমাজ ও উন্নয়নদর্শন নিয়ে কাজ করেছেন তিনি। রবীন্দ্রসংগীতের একনিষ্ঠ ভক্ত, নিজেও করেন রবীন্দ্রনাথের গান। যে সময়ের কথা বলা হচ্ছে, সে সময় পর্যন্ত তিনি অভ্যস্ত ছিলেন আমাদের দেশের পরীক্ষা প্রক্রিয়ায়। বেশি বেশি লিখলে বেশি বেশি নম্বর পাওয়া যাবে।
ভাসিলি লিওন্তিয়েভ নামে এক রুশ ছিলেন তাঁর শিক্ষক। ছোটখাটো মানুষ। পরে নোবেল বিজয়ী হয়েছিলেন। তিনি শুরুতেই বলে দিয়েছিলেন, যে প্রশ্নই মনে আসবে, তা করে ফেলতে হবে, সে প্রশ্ন যতই বোকা বোকা হোক না কেন!
ক্লাসের মাঝামাঝি সময়ে ভাসিলি লিওন্তিয়েভ একটি ট্রায়াল টেস্ট নিলেন। আনিসুর রহমান খুব ভালো পরীক্ষা দিলেন। উত্তর সবই জানা ছিল। তিনি পৃষ্ঠার পর পৃষ্ঠা লিখে ফেললেন। এক একটা প্রশ্নের উত্তরে লিখলেন চৌদ্দ পৃষ্ঠা, ষোলো পৃষ্ঠা। ভালো নম্বর পাবেন, সে ব্যাপারে কোনো সন্দেহ ছিল না। কিন্তু ফলাফল জানার সময় অবাক হয়ে দেখলেন, তিনি পেয়েছেন বি+। কেন নম্বরের এ রকম হীন দশা, তার ব্যাখ্যা করলেন ভাসিলি, ‘চিন্তা করার জন্য বেশি সময় দেবে, লেখার জন্য কম। চিন্তা করবে পঞ্চাশ মিনিট, লিখবে পাঁচ মিনিট।’ তারপর চৌদ্দ আর ষোলো পৃষ্ঠার উত্তরের জায়গায় লিওন্তিয়েভ প্রথমটার উত্তর লিখলেন এক বাক্যে, দ্বিতীয়টার দুই বাক্যে। বললেন, ‘এটুকু লিখলেই আমি বুঝব, তুমি পেরেছ!’
ফাইনাল পরীক্ষার সময় আনিসুর রহমান অধ্যাপক লিওন্তিয়েভের কথা মনে রেখেছিলেন। তিনটি প্রশ্ন ছিল তাঁর। প্রথমটায় লেখা ছিল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। প্রশ্নটি ছিল চাষিদের সঙ্গে শিল্পপতিদের সম্পর্কের ব্যাপারে। বহুক্ষণ ভেবে আনিসুর রহমান একটা ডায়াগ্রাম আঁকলেন, তারপর এক বাক্যে লিখলেন উত্তর। সে পরীক্ষায় আনিসুর রহমান পুরো নম্বরই পেয়েছিলেন। তিনি তাঁর প্রিয় শিক্ষককে বলেছিলেন, ‘তুমি যে কী করে আমাকে ক্রমান্বয়ে উন্নত করেছ, তা আমি প্রতিনিয়ত অনুভব করি।’
সূত্র: মো. আনিসুর রহমান, পথে যা পেয়েছি, প্রথম পর্ব, পৃষ্ঠা ৩৬–৩৭
হার্ভার্ডে পড়তে গেছেন অর্থনীতির অধ্যাপক মো. আনিসুর রহমান। সমাজ ও উন্নয়নদর্শন নিয়ে কাজ করেছেন তিনি। রবীন্দ্রসংগীতের একনিষ্ঠ ভক্ত, নিজেও করেন রবীন্দ্রনাথের গান। যে সময়ের কথা বলা হচ্ছে, সে সময় পর্যন্ত তিনি অভ্যস্ত ছিলেন আমাদের দেশের পরীক্ষা প্রক্রিয়ায়। বেশি বেশি লিখলে বেশি বেশি নম্বর পাওয়া যাবে।
ভাসিলি লিওন্তিয়েভ নামে এক রুশ ছিলেন তাঁর শিক্ষক। ছোটখাটো মানুষ। পরে নোবেল বিজয়ী হয়েছিলেন। তিনি শুরুতেই বলে দিয়েছিলেন, যে প্রশ্নই মনে আসবে, তা করে ফেলতে হবে, সে প্রশ্ন যতই বোকা বোকা হোক না কেন!
ক্লাসের মাঝামাঝি সময়ে ভাসিলি লিওন্তিয়েভ একটি ট্রায়াল টেস্ট নিলেন। আনিসুর রহমান খুব ভালো পরীক্ষা দিলেন। উত্তর সবই জানা ছিল। তিনি পৃষ্ঠার পর পৃষ্ঠা লিখে ফেললেন। এক একটা প্রশ্নের উত্তরে লিখলেন চৌদ্দ পৃষ্ঠা, ষোলো পৃষ্ঠা। ভালো নম্বর পাবেন, সে ব্যাপারে কোনো সন্দেহ ছিল না। কিন্তু ফলাফল জানার সময় অবাক হয়ে দেখলেন, তিনি পেয়েছেন বি+। কেন নম্বরের এ রকম হীন দশা, তার ব্যাখ্যা করলেন ভাসিলি, ‘চিন্তা করার জন্য বেশি সময় দেবে, লেখার জন্য কম। চিন্তা করবে পঞ্চাশ মিনিট, লিখবে পাঁচ মিনিট।’ তারপর চৌদ্দ আর ষোলো পৃষ্ঠার উত্তরের জায়গায় লিওন্তিয়েভ প্রথমটার উত্তর লিখলেন এক বাক্যে, দ্বিতীয়টার দুই বাক্যে। বললেন, ‘এটুকু লিখলেই আমি বুঝব, তুমি পেরেছ!’
ফাইনাল পরীক্ষার সময় আনিসুর রহমান অধ্যাপক লিওন্তিয়েভের কথা মনে রেখেছিলেন। তিনটি প্রশ্ন ছিল তাঁর। প্রথমটায় লেখা ছিল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। প্রশ্নটি ছিল চাষিদের সঙ্গে শিল্পপতিদের সম্পর্কের ব্যাপারে। বহুক্ষণ ভেবে আনিসুর রহমান একটা ডায়াগ্রাম আঁকলেন, তারপর এক বাক্যে লিখলেন উত্তর। সে পরীক্ষায় আনিসুর রহমান পুরো নম্বরই পেয়েছিলেন। তিনি তাঁর প্রিয় শিক্ষককে বলেছিলেন, ‘তুমি যে কী করে আমাকে ক্রমান্বয়ে উন্নত করেছ, তা আমি প্রতিনিয়ত অনুভব করি।’
সূত্র: মো. আনিসুর রহমান, পথে যা পেয়েছি, প্রথম পর্ব, পৃষ্ঠা ৩৬–৩৭
তারাপদ রায় দুই বাংলার প্রতিষ্ঠিত কবি হলেও তাঁর জন্ম ও শৈশব-কৈশোরের দিনগুলো কেটেছে বাংলাদেশের টাঙ্গাইল শহরে। তিনি ১৯৩৬ সালের ১৭ নভেম্বর টাঙ্গাইল শহরের পূর্ব আদালতপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। বাবা ছিলেন টাঙ্গাইল জজকোর্টের আইনজীবী।
১৬ ঘণ্টা আগেআধুনিক আফ্রিকান সাহিত্যের পুরোধা ব্যক্তিত্ব চিনুয়া আচেবের জন্ম ১৯৩০ সালের ১৬ নভেম্বর নাইজেরিয়ার দক্ষিণ-পূর্ব অঞ্চল ওগিদিতে। তিনি ইবাদান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম স্নাতকদের একজন। লেখাপড়া শেষে নাইজেরিয়ান ব্রডকাস্টিং করপোরেশনে রেডিও প্রযোজক ও এক্সটারনাল ব্রডকাস্টিংয়ের পরিচালক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
২ দিন আগেবারী সিদ্দিকী সংগীতজীবনের প্রথম দিকে বংশীবাদক হিসেবে পরিচিত পেলেও পরবর্তী সময়ে তিনি একজন লোকসংগীতশিল্পী হিসেবে খ্যাতি লাভ করেন।
৩ দিন আগেতিনি ছিলেন একজন আদর্শবান শিক্ষক—অজিতকুমার গুহর এটাই সবচেয়ে বড় পরিচয়। নিজের জাগতিক উন্নতিকে কখনো বড় করে দেখেননি তিনি। শিক্ষার্থীদের আদর্শ জীবন উপহার দেওয়াই ছিল তাঁর ব্রত। তিনি সক্রিয় ছিলেন ঢাকার প্রগতিশীল সাহিত্য-সাংস্কৃতিক পরিসরেও। সুবক্তা হিসেবে তাঁর খ্যাতির কমতি ছিল না।
৬ দিন আগে