আজকের পত্রিকা ডেস্ক
২০১৪ সালের অক্টোবর মাসের একটি দিনে শিল্পী অঞ্জন দত্তকে পাওয়া গেল ঢাকার এক গেস্টহাউসে। কত ধরনের কথা হলো! সে সময় প্রযুক্তিনির্ভরতা নিয়ে কিছু প্রশ্নের উত্তর দেন তিনি।
ফেসবুকে কারও বন্ধুসংখ্যা পাঁচ হাজার ছুঁলে তা নিয়ে মাতামাতি করার কিছু নেই। কারণ, সেটা সত্যিকারের বন্ধু নয়, ভার্চুয়াল বন্ধু। অঞ্জন বললেন, ‘আপনি আপনার স্ট্যাটাসে লিখছেন: “আমার খুব কষ্ট হচ্ছে।” অমনি ৫০০টা লাইক পড়ে যাবে। আপনাকে সে দেখেওনি, জানেও না। এটা শুধু ভার্চুয়াল বন্ধুত্ব। একজনের মুখ চে গুয়েভারার মতো, অন্যজনের রবীন্দ্রনাথের মতো। এদের সঙ্গে বন্ধুত্ব হবে কী করে?’ বন্ধুত্ব হতে হলে একসঙ্গে চা খেতে হবে, হাত ধরতে হবে। ইন্টারনেটের চ্যাটিংয়ে কি সব কথা বলা যায়? সেটা বলা গেলে সাংঘাতিক ব্যাপার হবে। তখন এই ফেসবুক মিডিয়ার চেয়ে শক্তিশালী হয়ে উঠবে। কিন্তু সেভাবে খুব কম মানুষই ফেসবুক ব্যবহার করেন।
এই ব্যাপারটা তিনি শেষ করলেন এভাবে: ‘আমরা কী করছি? খাওয়ার ছবি পোস্ট করে বলছি, ‘আই অ্যাম হ্যাভিং ব্রেকফাস্ট’’।’
তবে প্রযুক্তিকে কখনোই অগ্রাহ্য করতে নেই। সেলুলয়েডে ছবি হতো আগে, এখন ডিজিটাল। শুরুতে ডিজিটালের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া ছিল কঠিন। এখন তো জলবৎতরলং। প্রযুক্তিতে শেষ বলে কিছু নেই।
এরপর তিনি বলেছিলেন ভাবনার জন্ম দেওয়া একটি কথা: ‘অল্টারনেটিভ বা ব্যতিক্রমকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টাই করছে বিশ্বায়ন। কিন্তু ব্যতিক্রমকে বাঁচিয়ে রাখা জরুরি। বাদল সরকার মঞ্চের বাইরে রাস্তায় নাটক করতেন। তিনি ব্যতিক্রম। এই ব্যতিক্রমকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে। শুধু আনন্দবাজার আর দেশ পত্রিকা থাকলেই হবে না। লিটল ম্যাগাজিন থাকতে হবে। সমাজ যাঁরা চালাচ্ছেন, এস্টাবলিশমেন্ট ও প্রশাসনে যাঁরা আছেন, এই ব্যতিক্রমী জিনিসগুলো রেখে দেওয়া তাঁদের দায়িত্ব।’
সূত্র: জাহীদ রেজা নূর, ব্যতিক্রমদের বাঁচিয়ে রাখা জরুরি।
২০১৪ সালের অক্টোবর মাসের একটি দিনে শিল্পী অঞ্জন দত্তকে পাওয়া গেল ঢাকার এক গেস্টহাউসে। কত ধরনের কথা হলো! সে সময় প্রযুক্তিনির্ভরতা নিয়ে কিছু প্রশ্নের উত্তর দেন তিনি।
ফেসবুকে কারও বন্ধুসংখ্যা পাঁচ হাজার ছুঁলে তা নিয়ে মাতামাতি করার কিছু নেই। কারণ, সেটা সত্যিকারের বন্ধু নয়, ভার্চুয়াল বন্ধু। অঞ্জন বললেন, ‘আপনি আপনার স্ট্যাটাসে লিখছেন: “আমার খুব কষ্ট হচ্ছে।” অমনি ৫০০টা লাইক পড়ে যাবে। আপনাকে সে দেখেওনি, জানেও না। এটা শুধু ভার্চুয়াল বন্ধুত্ব। একজনের মুখ চে গুয়েভারার মতো, অন্যজনের রবীন্দ্রনাথের মতো। এদের সঙ্গে বন্ধুত্ব হবে কী করে?’ বন্ধুত্ব হতে হলে একসঙ্গে চা খেতে হবে, হাত ধরতে হবে। ইন্টারনেটের চ্যাটিংয়ে কি সব কথা বলা যায়? সেটা বলা গেলে সাংঘাতিক ব্যাপার হবে। তখন এই ফেসবুক মিডিয়ার চেয়ে শক্তিশালী হয়ে উঠবে। কিন্তু সেভাবে খুব কম মানুষই ফেসবুক ব্যবহার করেন।
এই ব্যাপারটা তিনি শেষ করলেন এভাবে: ‘আমরা কী করছি? খাওয়ার ছবি পোস্ট করে বলছি, ‘আই অ্যাম হ্যাভিং ব্রেকফাস্ট’’।’
তবে প্রযুক্তিকে কখনোই অগ্রাহ্য করতে নেই। সেলুলয়েডে ছবি হতো আগে, এখন ডিজিটাল। শুরুতে ডিজিটালের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া ছিল কঠিন। এখন তো জলবৎতরলং। প্রযুক্তিতে শেষ বলে কিছু নেই।
এরপর তিনি বলেছিলেন ভাবনার জন্ম দেওয়া একটি কথা: ‘অল্টারনেটিভ বা ব্যতিক্রমকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টাই করছে বিশ্বায়ন। কিন্তু ব্যতিক্রমকে বাঁচিয়ে রাখা জরুরি। বাদল সরকার মঞ্চের বাইরে রাস্তায় নাটক করতেন। তিনি ব্যতিক্রম। এই ব্যতিক্রমকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে। শুধু আনন্দবাজার আর দেশ পত্রিকা থাকলেই হবে না। লিটল ম্যাগাজিন থাকতে হবে। সমাজ যাঁরা চালাচ্ছেন, এস্টাবলিশমেন্ট ও প্রশাসনে যাঁরা আছেন, এই ব্যতিক্রমী জিনিসগুলো রেখে দেওয়া তাঁদের দায়িত্ব।’
সূত্র: জাহীদ রেজা নূর, ব্যতিক্রমদের বাঁচিয়ে রাখা জরুরি।
তারাপদ রায় দুই বাংলার প্রতিষ্ঠিত কবি হলেও তাঁর জন্ম ও শৈশব-কৈশোরের দিনগুলো কেটেছে বাংলাদেশের টাঙ্গাইল শহরে। তিনি ১৯৩৬ সালের ১৭ নভেম্বর টাঙ্গাইল শহরের পূর্ব আদালতপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। বাবা ছিলেন টাঙ্গাইল জজকোর্টের আইনজীবী।
১ দিন আগেআধুনিক আফ্রিকান সাহিত্যের পুরোধা ব্যক্তিত্ব চিনুয়া আচেবের জন্ম ১৯৩০ সালের ১৬ নভেম্বর নাইজেরিয়ার দক্ষিণ-পূর্ব অঞ্চল ওগিদিতে। তিনি ইবাদান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম স্নাতকদের একজন। লেখাপড়া শেষে নাইজেরিয়ান ব্রডকাস্টিং করপোরেশনে রেডিও প্রযোজক ও এক্সটারনাল ব্রডকাস্টিংয়ের পরিচালক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
২ দিন আগেবারী সিদ্দিকী সংগীতজীবনের প্রথম দিকে বংশীবাদক হিসেবে পরিচিত পেলেও পরবর্তী সময়ে তিনি একজন লোকসংগীতশিল্পী হিসেবে খ্যাতি লাভ করেন।
৩ দিন আগেতিনি ছিলেন একজন আদর্শবান শিক্ষক—অজিতকুমার গুহর এটাই সবচেয়ে বড় পরিচয়। নিজের জাগতিক উন্নতিকে কখনো বড় করে দেখেননি তিনি। শিক্ষার্থীদের আদর্শ জীবন উপহার দেওয়াই ছিল তাঁর ব্রত। তিনি সক্রিয় ছিলেন ঢাকার প্রগতিশীল সাহিত্য-সাংস্কৃতিক পরিসরেও। সুবক্তা হিসেবে তাঁর খ্যাতির কমতি ছিল না।
৬ দিন আগে