সম্পাদকীয়
নজরুলের সঙ্গে বুদ্ধদেব বসুর প্রথম পরিচয় হয়েছিল ঢাকা শহরে। ১৯২৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ঢাকা মুসলিম সাহিত্যসমাজের দ্বিতীয় বার্ষিক সম্মেলন হয়েছিল। এ উপলক্ষেই নজরুল এসেছিলেন ঢাকায়। বুদ্ধদেব বসু তখন জগন্নাথ হলের সাহিত্য সম্পাদক। নজরুলের সম্মানে তিনি জগন্নাথ হলে কবির একটি সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলেন। সেখানে ইডেন কলেজের অধ্যাপিকারাও এসেছিলেন।
নজরুলকে দেখেই তাঁকে ভালো বেসেছিলেন বুদ্ধদেব। নজরুলের চওড়া কাঁধ, বলিষ্ঠ দেহ, মাঝখান দিয়ে সোজা সিঁথি করা কোঁকড়া চুল, গায়ে গেরুয়া রঙের খদ্দর পাঞ্জাবি, কাঁধে চাদর, কণ্ঠে হাসি—এ এক মনোমুগ্ধকর মানুষ! নজরুলের গান আর আবৃত্তি শুনে উপস্থিত সবাই মুগ্ধ হয়েছিলেন।
সেবার নিজের পুরানা পল্টনের বাড়িতেও নজরুলকে নিয়ে গিয়েছিলেন বুদ্ধদেব। নজরুলের জীবনে গান কতটা সত্য ছিল, তা যাঁরা সামনে থেকে কবিকে দেখেছেন, শুধু তাঁরাই জানেন। বুদ্ধদেব সেই বিরল সৌভাগ্যবানদের একজন।
একটি হারমোনিয়াম, প্রচুর পরিমাণে পান আর ঘণ্টায় ঘণ্টায় চা—সারা দিন গান গেয়ে যাওয়ার জন্য এর চেয়ে বেশি কিছু চাইতেন না নজরুল। হারমোনিয়ামের ওপরে খোলা থাকত তাঁর গানের খাতা আর ফাউন্টেন পেন।
হারমোনিয়াম বাজাতে বাজাতেই তিনি গেয়ে ওঠেন একটা লাইন, তারপর বড় বড় অক্ষরে লিখে রাখেন খাতায়, এরপর দ্বিতীয় লাইন, তৃতীয় লাইন...। এভাবেই রচিত হতে থাকে গান। বুদ্ধদেবের সামনেই লেখা হয়ে গেল নজরুলের একটি গান, ‘নিশি ভোর হলো জাগিয়া, পরানপিয়া...’।
সাধারণত লেখার ব্যাপারে একটা কথা সব সময় শোনা যায়। মনোযোগ দেওয়ার জন্য দরকার নির্জনতা, নীরবতা। বুদ্ধদেব লক্ষ করলেন, সৃষ্টিকর্ম যে নির্জনতা দাবি করে, তার কোনো তোয়াক্কা করেন না নজরুল। ঘরভর্তি মানুষের উপস্থিতি তাঁকে বিব্রত করে না; বরং তাদের দিকে তাকিয়ে, হাসতে হাসতে, হাসির উত্তরে হাসি দিয়ে যেন অনুপ্রেরণা লাভ করেন। এরপরই তৈরি হয়ে যায় গান!
সূত্র: সমীর সেনগুপ্ত, বুদ্ধদেব বসুর জীবন, পৃষ্ঠা ৫৬-৫৭
নজরুলের সঙ্গে বুদ্ধদেব বসুর প্রথম পরিচয় হয়েছিল ঢাকা শহরে। ১৯২৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ঢাকা মুসলিম সাহিত্যসমাজের দ্বিতীয় বার্ষিক সম্মেলন হয়েছিল। এ উপলক্ষেই নজরুল এসেছিলেন ঢাকায়। বুদ্ধদেব বসু তখন জগন্নাথ হলের সাহিত্য সম্পাদক। নজরুলের সম্মানে তিনি জগন্নাথ হলে কবির একটি সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলেন। সেখানে ইডেন কলেজের অধ্যাপিকারাও এসেছিলেন।
নজরুলকে দেখেই তাঁকে ভালো বেসেছিলেন বুদ্ধদেব। নজরুলের চওড়া কাঁধ, বলিষ্ঠ দেহ, মাঝখান দিয়ে সোজা সিঁথি করা কোঁকড়া চুল, গায়ে গেরুয়া রঙের খদ্দর পাঞ্জাবি, কাঁধে চাদর, কণ্ঠে হাসি—এ এক মনোমুগ্ধকর মানুষ! নজরুলের গান আর আবৃত্তি শুনে উপস্থিত সবাই মুগ্ধ হয়েছিলেন।
সেবার নিজের পুরানা পল্টনের বাড়িতেও নজরুলকে নিয়ে গিয়েছিলেন বুদ্ধদেব। নজরুলের জীবনে গান কতটা সত্য ছিল, তা যাঁরা সামনে থেকে কবিকে দেখেছেন, শুধু তাঁরাই জানেন। বুদ্ধদেব সেই বিরল সৌভাগ্যবানদের একজন।
একটি হারমোনিয়াম, প্রচুর পরিমাণে পান আর ঘণ্টায় ঘণ্টায় চা—সারা দিন গান গেয়ে যাওয়ার জন্য এর চেয়ে বেশি কিছু চাইতেন না নজরুল। হারমোনিয়ামের ওপরে খোলা থাকত তাঁর গানের খাতা আর ফাউন্টেন পেন।
হারমোনিয়াম বাজাতে বাজাতেই তিনি গেয়ে ওঠেন একটা লাইন, তারপর বড় বড় অক্ষরে লিখে রাখেন খাতায়, এরপর দ্বিতীয় লাইন, তৃতীয় লাইন...। এভাবেই রচিত হতে থাকে গান। বুদ্ধদেবের সামনেই লেখা হয়ে গেল নজরুলের একটি গান, ‘নিশি ভোর হলো জাগিয়া, পরানপিয়া...’।
সাধারণত লেখার ব্যাপারে একটা কথা সব সময় শোনা যায়। মনোযোগ দেওয়ার জন্য দরকার নির্জনতা, নীরবতা। বুদ্ধদেব লক্ষ করলেন, সৃষ্টিকর্ম যে নির্জনতা দাবি করে, তার কোনো তোয়াক্কা করেন না নজরুল। ঘরভর্তি মানুষের উপস্থিতি তাঁকে বিব্রত করে না; বরং তাদের দিকে তাকিয়ে, হাসতে হাসতে, হাসির উত্তরে হাসি দিয়ে যেন অনুপ্রেরণা লাভ করেন। এরপরই তৈরি হয়ে যায় গান!
সূত্র: সমীর সেনগুপ্ত, বুদ্ধদেব বসুর জীবন, পৃষ্ঠা ৫৬-৫৭
তারাপদ রায় দুই বাংলার প্রতিষ্ঠিত কবি হলেও তাঁর জন্ম ও শৈশব-কৈশোরের দিনগুলো কেটেছে বাংলাদেশের টাঙ্গাইল শহরে। তিনি ১৯৩৬ সালের ১৭ নভেম্বর টাঙ্গাইল শহরের পূর্ব আদালতপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। বাবা ছিলেন টাঙ্গাইল জজকোর্টের আইনজীবী।
১৬ ঘণ্টা আগেআধুনিক আফ্রিকান সাহিত্যের পুরোধা ব্যক্তিত্ব চিনুয়া আচেবের জন্ম ১৯৩০ সালের ১৬ নভেম্বর নাইজেরিয়ার দক্ষিণ-পূর্ব অঞ্চল ওগিদিতে। তিনি ইবাদান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম স্নাতকদের একজন। লেখাপড়া শেষে নাইজেরিয়ান ব্রডকাস্টিং করপোরেশনে রেডিও প্রযোজক ও এক্সটারনাল ব্রডকাস্টিংয়ের পরিচালক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
২ দিন আগেবারী সিদ্দিকী সংগীতজীবনের প্রথম দিকে বংশীবাদক হিসেবে পরিচিত পেলেও পরবর্তী সময়ে তিনি একজন লোকসংগীতশিল্পী হিসেবে খ্যাতি লাভ করেন।
৩ দিন আগেতিনি ছিলেন একজন আদর্শবান শিক্ষক—অজিতকুমার গুহর এটাই সবচেয়ে বড় পরিচয়। নিজের জাগতিক উন্নতিকে কখনো বড় করে দেখেননি তিনি। শিক্ষার্থীদের আদর্শ জীবন উপহার দেওয়াই ছিল তাঁর ব্রত। তিনি সক্রিয় ছিলেন ঢাকার প্রগতিশীল সাহিত্য-সাংস্কৃতিক পরিসরেও। সুবক্তা হিসেবে তাঁর খ্যাতির কমতি ছিল না।
৬ দিন আগে