সম্পাদকীয়
শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের নামকরা অধ্যাপক ছিলেন এডওয়ার্ড শিলস। সুধীন্দ্রনাথ দত্তের বন্ধু ছিলেন তিনি। সে সময় সুধীন্দ্রনাথ দত্ত মারা গেছেন। এডওয়ার্ড শিলস উদ্যোগ নিলেন সুধীন দত্তের ইংরেজি লেখার একটি সংকলন প্রকাশ করার। কিন্তু সুধীন দত্তের ইংরেজি লেখার যে সংখ্যা, তা দিয়ে একটা বই হয় না। তাহলে কী করা যায়?
শিলস অনুরোধ করলেন অধ্যাপক ডিমককে, সুধীন্দ্রনাথের কয়েকটা প্রবন্ধ ইংরেজিতে অনুবাদ করে দিতে। ডিমক একটু পিছিয়ে গেলেন। সুধীন্দ্রনাথের বাংলা ছিল একটু দুর্বোধ্য। চাইলেই অনুবাদ করা যায় না। ডিমক শিলসকে অবশ্য আশার আলো দেখালেন। বললেন, কাজটা হাতে নিতে পারেন, যদি বিশ্ববিদ্যালয়ে নবাগত আনিসুজ্জামান তাঁকে অনুবাদে সাহায্য করতে রাজি হন। সে সময় সুধীন্দ্রনাথ দত্তের স্ত্রী রাজেশ্বরী দত্ত ছিলেন শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ে। তিনিই ফোন করলেন আনিসুজ্জামানকে। অনুরোধ করলেন অনুবাদ করার জন্য। আনিসুজ্জামান রাজি হন।
যে প্রবন্ধ দুটি বেছে নেন আনিসুজ্জামান, তা ছিল ‘কাব্যের মুক্তি’ আর ‘ডব্লিউ বি ইয়েটস ও কলাকৈবল্য’।
কীভাবে তাঁরা অনুবাদ করতেন? প্রক্রিয়াটা ছিল মজার। প্রথমে আনিসুজ্জামান ইংরেজি বাক্যরীতিকে পরোয়া না করেই মূলের কাছাকাছি থেকে অনুবাদ করতেন। এরপর ডিমক তা ইংরেজি বাক্যরীতিতে ঠিকঠাক করে দিতেন। তারপর দুজন মিলে মিলিয়ে দেখতেন অনুবাদ ঠিক হলো কি না।
একটি বাক্যে ছিল, ‘লালবাতি জ্বালা’। এর অর্থ যে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ধ্বংস হয়ে যাওয়া, সেটা জানতে পেরে ডিমক যে কী উচ্ছ্বসিত হয়েছিলেন, তা আনিসুজ্জামান কোনো দিন ভোলেননি। অনেক পরে বইটি বের হয়েছিল অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস থেকে। বইটির নাম ছিল ‘দ্য ওয়ার্ল্ড অব টোয়াইলাইট’। এ দুটি প্রবন্ধের সঙ্গে সে বইতে সুধীন্দ্রনাথের আরও পাঁচটি প্রবন্ধের অনুবাদ করেছিলেন কেতকী কুশারী ডাইসন।
বইটি সুধীন্দ্রনাথ দত্তের নামেই প্রকাশিত হয়েছিল। প্রকাশ সাল ১৯৭০।
সূত্র: আনিসুজ্জামান, কাল নিরবধি, পৃষ্ঠা ৩৮৯-৩৯০
শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের নামকরা অধ্যাপক ছিলেন এডওয়ার্ড শিলস। সুধীন্দ্রনাথ দত্তের বন্ধু ছিলেন তিনি। সে সময় সুধীন্দ্রনাথ দত্ত মারা গেছেন। এডওয়ার্ড শিলস উদ্যোগ নিলেন সুধীন দত্তের ইংরেজি লেখার একটি সংকলন প্রকাশ করার। কিন্তু সুধীন দত্তের ইংরেজি লেখার যে সংখ্যা, তা দিয়ে একটা বই হয় না। তাহলে কী করা যায়?
শিলস অনুরোধ করলেন অধ্যাপক ডিমককে, সুধীন্দ্রনাথের কয়েকটা প্রবন্ধ ইংরেজিতে অনুবাদ করে দিতে। ডিমক একটু পিছিয়ে গেলেন। সুধীন্দ্রনাথের বাংলা ছিল একটু দুর্বোধ্য। চাইলেই অনুবাদ করা যায় না। ডিমক শিলসকে অবশ্য আশার আলো দেখালেন। বললেন, কাজটা হাতে নিতে পারেন, যদি বিশ্ববিদ্যালয়ে নবাগত আনিসুজ্জামান তাঁকে অনুবাদে সাহায্য করতে রাজি হন। সে সময় সুধীন্দ্রনাথ দত্তের স্ত্রী রাজেশ্বরী দত্ত ছিলেন শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ে। তিনিই ফোন করলেন আনিসুজ্জামানকে। অনুরোধ করলেন অনুবাদ করার জন্য। আনিসুজ্জামান রাজি হন।
যে প্রবন্ধ দুটি বেছে নেন আনিসুজ্জামান, তা ছিল ‘কাব্যের মুক্তি’ আর ‘ডব্লিউ বি ইয়েটস ও কলাকৈবল্য’।
কীভাবে তাঁরা অনুবাদ করতেন? প্রক্রিয়াটা ছিল মজার। প্রথমে আনিসুজ্জামান ইংরেজি বাক্যরীতিকে পরোয়া না করেই মূলের কাছাকাছি থেকে অনুবাদ করতেন। এরপর ডিমক তা ইংরেজি বাক্যরীতিতে ঠিকঠাক করে দিতেন। তারপর দুজন মিলে মিলিয়ে দেখতেন অনুবাদ ঠিক হলো কি না।
একটি বাক্যে ছিল, ‘লালবাতি জ্বালা’। এর অর্থ যে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ধ্বংস হয়ে যাওয়া, সেটা জানতে পেরে ডিমক যে কী উচ্ছ্বসিত হয়েছিলেন, তা আনিসুজ্জামান কোনো দিন ভোলেননি। অনেক পরে বইটি বের হয়েছিল অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস থেকে। বইটির নাম ছিল ‘দ্য ওয়ার্ল্ড অব টোয়াইলাইট’। এ দুটি প্রবন্ধের সঙ্গে সে বইতে সুধীন্দ্রনাথের আরও পাঁচটি প্রবন্ধের অনুবাদ করেছিলেন কেতকী কুশারী ডাইসন।
বইটি সুধীন্দ্রনাথ দত্তের নামেই প্রকাশিত হয়েছিল। প্রকাশ সাল ১৯৭০।
সূত্র: আনিসুজ্জামান, কাল নিরবধি, পৃষ্ঠা ৩৮৯-৩৯০
তারাপদ রায় দুই বাংলার প্রতিষ্ঠিত কবি হলেও তাঁর জন্ম ও শৈশব-কৈশোরের দিনগুলো কেটেছে বাংলাদেশের টাঙ্গাইল শহরে। তিনি ১৯৩৬ সালের ১৭ নভেম্বর টাঙ্গাইল শহরের পূর্ব আদালতপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। বাবা ছিলেন টাঙ্গাইল জজকোর্টের আইনজীবী।
১৬ ঘণ্টা আগেআধুনিক আফ্রিকান সাহিত্যের পুরোধা ব্যক্তিত্ব চিনুয়া আচেবের জন্ম ১৯৩০ সালের ১৬ নভেম্বর নাইজেরিয়ার দক্ষিণ-পূর্ব অঞ্চল ওগিদিতে। তিনি ইবাদান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম স্নাতকদের একজন। লেখাপড়া শেষে নাইজেরিয়ান ব্রডকাস্টিং করপোরেশনে রেডিও প্রযোজক ও এক্সটারনাল ব্রডকাস্টিংয়ের পরিচালক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
২ দিন আগেবারী সিদ্দিকী সংগীতজীবনের প্রথম দিকে বংশীবাদক হিসেবে পরিচিত পেলেও পরবর্তী সময়ে তিনি একজন লোকসংগীতশিল্পী হিসেবে খ্যাতি লাভ করেন।
৩ দিন আগেতিনি ছিলেন একজন আদর্শবান শিক্ষক—অজিতকুমার গুহর এটাই সবচেয়ে বড় পরিচয়। নিজের জাগতিক উন্নতিকে কখনো বড় করে দেখেননি তিনি। শিক্ষার্থীদের আদর্শ জীবন উপহার দেওয়াই ছিল তাঁর ব্রত। তিনি সক্রিয় ছিলেন ঢাকার প্রগতিশীল সাহিত্য-সাংস্কৃতিক পরিসরেও। সুবক্তা হিসেবে তাঁর খ্যাতির কমতি ছিল না।
৬ দিন আগে