সম্পাদকীয়
ছোটবেলা থেকেই সরযু দেবী নজরুলের গানের ভক্ত। বিশেষ করে ‘এত জল ও কাজল চোখে’, ‘শুকনো পাতার নূপুর পায়ে’ গানগুলো গুনগুন করে গাইতেন তিনি।
বড় হয়ে যখন তিনি নামকরা অভিনয়শিল্পী, তখন মনমোহন থিয়েটারে ডাক পেলেন অভিনয়ের। নাটকের নাম ‘রক্তকমল’। অভিনয়ে কোনো সমস্যা হওয়ার কথা নয়, কিন্তু যখন তিনি শুনলেন এই নাটকের নায়িকা মমতার কণ্ঠে থাকবে পাঁচটি গান, এবং সেই গানগুলোর রচয়িতা ও সুরকার কাজী নজরুল ইসলাম, তখন তাঁর হৃৎস্পন্দন বেড়ে গেল। কাজী সাহেবের কাছে গিয়ে গান শিখতে হবে, এটা ভাবতেই ভয়ে মুখটা শুকিয়ে গেল সরযু দেবীর। অভয় দিলেন প্রতিষ্ঠানের প্রবোধ গুহ ও অনাদি বসু। বললেন, বাইরে থেকেই এমন রাশভারী তিনি। ভেতরে নিরহংকার এক মানুষ। এক মিনিটের মধ্যেই আপনজন হয়ে উঠবেন নজরুল।
সেই ভরসার বিদ্রোহের প্রতিমূর্তি নজরুলের কাছে গেলেন সরযু। তখন সাঙ্গপাঙ্গ নিয়ে হারমোনিয়াম হাতে বসে আছেন গানপাগল নজরুল। এবং কী বিস্ময়ের ব্যাপার, এক ঘণ্টার মধ্যে কাজী নজরুল ইসলাম হয়ে গেলেন সরযুর কাজীদা। নজরুল নানা রসিকতা করছেন এবং ঘর ফাটিয়ে হাসছেন। সরযু ভুলেই গেলেন তিনি এখানে এসেছিলেন কাজীদার কাছে গান শিখতে।
আড্ডার এক ফাঁকে নজরুল ‘রক্তকমল’ নাটকের একটা গান গুনগুন করতে করতে বললেন, ‘একবার আমার সঙ্গে সঙ্গে গাও তো সরযু।’ নিতান্তই কথার ছলে গুনগুন করতে থাকা। সরযুও গাইতে শুরু করলেন। ভুলে গেলেন ভয়ের কথা। ভুলে গেলেন কাজীদা তাঁকে ‘রক্তকমল’ নাটকের গান শেখাচ্ছেন। বরং গান শেখার কথা ভুলে গিয়ে সহজভাবে গানের কথাগুলো গেয়ে গেলেন সরযু। এবার নজরুল বললেন, ‘তুমি তো চমৎকার গাও। এতক্ষণ ভয় পাচ্ছিলে কেন?’
লজ্জায় মুখ নিচু করা ছাড়া আর কোনো উপায় ছিল না সরযুর। নাটকে পাঁচটি গানই খুব দরদ দিয়ে গেয়েছিলেন তিনি।
সূত্র: ড. আনোয়ারুল করীম, নজরুল: তাঁর সমকালে, পৃষ্ঠা ২১৪-২১৫
ছোটবেলা থেকেই সরযু দেবী নজরুলের গানের ভক্ত। বিশেষ করে ‘এত জল ও কাজল চোখে’, ‘শুকনো পাতার নূপুর পায়ে’ গানগুলো গুনগুন করে গাইতেন তিনি।
বড় হয়ে যখন তিনি নামকরা অভিনয়শিল্পী, তখন মনমোহন থিয়েটারে ডাক পেলেন অভিনয়ের। নাটকের নাম ‘রক্তকমল’। অভিনয়ে কোনো সমস্যা হওয়ার কথা নয়, কিন্তু যখন তিনি শুনলেন এই নাটকের নায়িকা মমতার কণ্ঠে থাকবে পাঁচটি গান, এবং সেই গানগুলোর রচয়িতা ও সুরকার কাজী নজরুল ইসলাম, তখন তাঁর হৃৎস্পন্দন বেড়ে গেল। কাজী সাহেবের কাছে গিয়ে গান শিখতে হবে, এটা ভাবতেই ভয়ে মুখটা শুকিয়ে গেল সরযু দেবীর। অভয় দিলেন প্রতিষ্ঠানের প্রবোধ গুহ ও অনাদি বসু। বললেন, বাইরে থেকেই এমন রাশভারী তিনি। ভেতরে নিরহংকার এক মানুষ। এক মিনিটের মধ্যেই আপনজন হয়ে উঠবেন নজরুল।
সেই ভরসার বিদ্রোহের প্রতিমূর্তি নজরুলের কাছে গেলেন সরযু। তখন সাঙ্গপাঙ্গ নিয়ে হারমোনিয়াম হাতে বসে আছেন গানপাগল নজরুল। এবং কী বিস্ময়ের ব্যাপার, এক ঘণ্টার মধ্যে কাজী নজরুল ইসলাম হয়ে গেলেন সরযুর কাজীদা। নজরুল নানা রসিকতা করছেন এবং ঘর ফাটিয়ে হাসছেন। সরযু ভুলেই গেলেন তিনি এখানে এসেছিলেন কাজীদার কাছে গান শিখতে।
আড্ডার এক ফাঁকে নজরুল ‘রক্তকমল’ নাটকের একটা গান গুনগুন করতে করতে বললেন, ‘একবার আমার সঙ্গে সঙ্গে গাও তো সরযু।’ নিতান্তই কথার ছলে গুনগুন করতে থাকা। সরযুও গাইতে শুরু করলেন। ভুলে গেলেন ভয়ের কথা। ভুলে গেলেন কাজীদা তাঁকে ‘রক্তকমল’ নাটকের গান শেখাচ্ছেন। বরং গান শেখার কথা ভুলে গিয়ে সহজভাবে গানের কথাগুলো গেয়ে গেলেন সরযু। এবার নজরুল বললেন, ‘তুমি তো চমৎকার গাও। এতক্ষণ ভয় পাচ্ছিলে কেন?’
লজ্জায় মুখ নিচু করা ছাড়া আর কোনো উপায় ছিল না সরযুর। নাটকে পাঁচটি গানই খুব দরদ দিয়ে গেয়েছিলেন তিনি।
সূত্র: ড. আনোয়ারুল করীম, নজরুল: তাঁর সমকালে, পৃষ্ঠা ২১৪-২১৫
আধুনিক আফ্রিকান সাহিত্যের পুরোধা ব্যক্তিত্ব চিনুয়া আচেবের জন্ম ১৯৩০ সালের ১৬ নভেম্বর নাইজেরিয়ার দক্ষিণ-পূর্ব অঞ্চল ওগিদিতে। তিনি ইবাদান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম স্নাতকদের একজন। লেখাপড়া শেষে নাইজেরিয়ান ব্রডকাস্টিং করপোরেশনে রেডিও প্রযোজক ও এক্সটারনাল ব্রডকাস্টিংয়ের পরিচালক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
১৪ ঘণ্টা আগেবারী সিদ্দিকী সংগীতজীবনের প্রথম দিকে বংশীবাদক হিসেবে পরিচিত পেলেও পরবর্তী সময়ে তিনি একজন লোকসংগীতশিল্পী হিসেবে খ্যাতি লাভ করেন।
২ দিন আগেতিনি ছিলেন একজন আদর্শবান শিক্ষক—অজিতকুমার গুহর এটাই সবচেয়ে বড় পরিচয়। নিজের জাগতিক উন্নতিকে কখনো বড় করে দেখেননি তিনি। শিক্ষার্থীদের আদর্শ জীবন উপহার দেওয়াই ছিল তাঁর ব্রত। তিনি সক্রিয় ছিলেন ঢাকার প্রগতিশীল সাহিত্য-সাংস্কৃতিক পরিসরেও। সুবক্তা হিসেবে তাঁর খ্যাতির কমতি ছিল না।
৫ দিন আগেআব্দুল করিম খাঁ ছিলেন হিন্দুস্তানি ধ্রুপদি সংগীতের অন্যতম কিংবদন্তি। কিরানা ঘরানারও তিনি কিংবদন্তি ছিলেন। তাঁর সম্পর্কে প্রচলিত—তিনি গান গাওয়ার সময় এমনভাবে ধ্যানমগ্ন হয়ে যেতেন যে, শ্রোতারাও সেই সুরের মায়াজালে আচ্ছন্ন হয়ে পড়তেন।
৬ দিন আগে