সম্পাদকীয়
ছেলেবেলায় জন কিটসের কবি প্রতিভার কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি; বরং সহপাঠীদের সঙ্গে লড়াই করার খবরটিই জানা যায়। সাত বছর বয়সে স্কুলে ভর্তি হওয়ার পর থেকেই দেখা গেল, যেকোনো ছুতো পেলেই উন্মাদের মতো প্রতিদ্বন্দ্বীর শরীরে কিল-ঘুষি চালাতে শুরু করেছে ছোট্ট কিটস।
কিটস লম্বায় ছিলেন মাত্র পাঁচ ফুট। কিন্তু শিশুদের মতো মায়াময় চেহারা ছিল তাঁর। মাথায় ছিল সোনালি চুলের গোছা, চোখ দুটো স্বপ্নময় বাদামি।
মৃত্যুর তিন বছর আগে কিটস লিখেছিলেন, ‘জীবনের প্রারম্ভে দুঃখের সঙ্গে আমার দেখা হয়েছে। ভেবেছিলাম তাকে পেছনে ফেলে আমি এগিয়ে যাব। কিন্তু আমার প্রতি একনিষ্ঠ তার ভালোবাসা, মমতা। গভীর ছলনায় ভুলিয়ে তার সঙ্গ ত্যাগ করতে চেয়েছি, কিন্তু হায়, সে সাধ্বী মমতাময়ী স্ত্রীর মতো কিছুতেই ছাড়বে না আমাকে।’
হ্যাঁ, দুঃখ ছিল কিটসের নিত্যসঙ্গী। একেবারে কম বয়সে বাবা মারা গেলেন, মা বিয়ে করলেন, তিনিও মারা গেলেন। দুই ছোট ভাইয়ের মধ্যে একজন মারা গেল। সব মিলিয়ে কী যে কষ্ট ছিল তাঁর!
পনেরো বছর বয়সে মাকে হারিয়ে নিজের মধ্যে ডুব দিয়েছিলেন কিটস। ডুবে গিয়েছিলেন বইয়ের রাজ্যে এবং তখনই সৃষ্টি হলো কবিতা। ‘একজামিনার’ পত্রিকার সম্পাদক লি হান্ট কিটসকে উৎসাহ জোগালেন। লিখলেন, ‘আজকের অখ্যাত কবি শেলি, কিটস, রেনল্ডস একদিন বিখ্যাত হবে।’
স্কুলের পড়া শেষে কিটস একজন চিকিৎসকের কাছে শিক্ষানবিশি শুরু করেছিলেন ডাক্তারি শিখবেন বলে। কিন্তু সে কাজ তাঁর ভালো লাগত না। হাসপাতালে কাজ করতে করতেই বেরিয়ে গেল কিটসের প্রথম বই। কিন্তু সে বই কাউকে আকর্ষণ করল না। অনেকেই গালাগাল করল কবিকে। কিন্তু কিটস দমে যাননি। লেখা চালিয়ে গেলেন। তাঁকে সমালোচনায় দগ্ধ করতে লাগল ‘ব্ল্যাকউড ম্যাগাজিন’ আর ‘কোয়ার্টার্লি রিভিউ’। সে আক্রমণ ছিল প্রচণ্ড। বায়রন, শেলি মনে করতেন, এই বিদ্রূপ সহ্য করতে না পেরেই কিটসের মৃত্যু হয়েছে। কিটসের মৃত্যুর পর বায়রন কবিতা লিখেছিলেন: কে মেরেছে কিটসকে/ ‘আমি, বলব কোয়ার্টার্লি।’
সূত্র: চিত্তরঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়, সোনার আলপনা, পৃষ্ঠা ৩০৮-৩১১
ছেলেবেলায় জন কিটসের কবি প্রতিভার কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি; বরং সহপাঠীদের সঙ্গে লড়াই করার খবরটিই জানা যায়। সাত বছর বয়সে স্কুলে ভর্তি হওয়ার পর থেকেই দেখা গেল, যেকোনো ছুতো পেলেই উন্মাদের মতো প্রতিদ্বন্দ্বীর শরীরে কিল-ঘুষি চালাতে শুরু করেছে ছোট্ট কিটস।
কিটস লম্বায় ছিলেন মাত্র পাঁচ ফুট। কিন্তু শিশুদের মতো মায়াময় চেহারা ছিল তাঁর। মাথায় ছিল সোনালি চুলের গোছা, চোখ দুটো স্বপ্নময় বাদামি।
মৃত্যুর তিন বছর আগে কিটস লিখেছিলেন, ‘জীবনের প্রারম্ভে দুঃখের সঙ্গে আমার দেখা হয়েছে। ভেবেছিলাম তাকে পেছনে ফেলে আমি এগিয়ে যাব। কিন্তু আমার প্রতি একনিষ্ঠ তার ভালোবাসা, মমতা। গভীর ছলনায় ভুলিয়ে তার সঙ্গ ত্যাগ করতে চেয়েছি, কিন্তু হায়, সে সাধ্বী মমতাময়ী স্ত্রীর মতো কিছুতেই ছাড়বে না আমাকে।’
হ্যাঁ, দুঃখ ছিল কিটসের নিত্যসঙ্গী। একেবারে কম বয়সে বাবা মারা গেলেন, মা বিয়ে করলেন, তিনিও মারা গেলেন। দুই ছোট ভাইয়ের মধ্যে একজন মারা গেল। সব মিলিয়ে কী যে কষ্ট ছিল তাঁর!
পনেরো বছর বয়সে মাকে হারিয়ে নিজের মধ্যে ডুব দিয়েছিলেন কিটস। ডুবে গিয়েছিলেন বইয়ের রাজ্যে এবং তখনই সৃষ্টি হলো কবিতা। ‘একজামিনার’ পত্রিকার সম্পাদক লি হান্ট কিটসকে উৎসাহ জোগালেন। লিখলেন, ‘আজকের অখ্যাত কবি শেলি, কিটস, রেনল্ডস একদিন বিখ্যাত হবে।’
স্কুলের পড়া শেষে কিটস একজন চিকিৎসকের কাছে শিক্ষানবিশি শুরু করেছিলেন ডাক্তারি শিখবেন বলে। কিন্তু সে কাজ তাঁর ভালো লাগত না। হাসপাতালে কাজ করতে করতেই বেরিয়ে গেল কিটসের প্রথম বই। কিন্তু সে বই কাউকে আকর্ষণ করল না। অনেকেই গালাগাল করল কবিকে। কিন্তু কিটস দমে যাননি। লেখা চালিয়ে গেলেন। তাঁকে সমালোচনায় দগ্ধ করতে লাগল ‘ব্ল্যাকউড ম্যাগাজিন’ আর ‘কোয়ার্টার্লি রিভিউ’। সে আক্রমণ ছিল প্রচণ্ড। বায়রন, শেলি মনে করতেন, এই বিদ্রূপ সহ্য করতে না পেরেই কিটসের মৃত্যু হয়েছে। কিটসের মৃত্যুর পর বায়রন কবিতা লিখেছিলেন: কে মেরেছে কিটসকে/ ‘আমি, বলব কোয়ার্টার্লি।’
সূত্র: চিত্তরঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়, সোনার আলপনা, পৃষ্ঠা ৩০৮-৩১১
আধুনিক আফ্রিকান সাহিত্যের পুরোধা ব্যক্তিত্ব চিনুয়া আচেবের জন্ম ১৯৩০ সালের ১৬ নভেম্বর নাইজেরিয়ার দক্ষিণ-পূর্ব অঞ্চল ওগিদিতে। তিনি ইবাদান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম স্নাতকদের একজন। লেখাপড়া শেষে নাইজেরিয়ান ব্রডকাস্টিং করপোরেশনে রেডিও প্রযোজক ও এক্সটারনাল ব্রডকাস্টিংয়ের পরিচালক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
১৯ ঘণ্টা আগেবারী সিদ্দিকী সংগীতজীবনের প্রথম দিকে বংশীবাদক হিসেবে পরিচিত পেলেও পরবর্তী সময়ে তিনি একজন লোকসংগীতশিল্পী হিসেবে খ্যাতি লাভ করেন।
২ দিন আগেতিনি ছিলেন একজন আদর্শবান শিক্ষক—অজিতকুমার গুহর এটাই সবচেয়ে বড় পরিচয়। নিজের জাগতিক উন্নতিকে কখনো বড় করে দেখেননি তিনি। শিক্ষার্থীদের আদর্শ জীবন উপহার দেওয়াই ছিল তাঁর ব্রত। তিনি সক্রিয় ছিলেন ঢাকার প্রগতিশীল সাহিত্য-সাংস্কৃতিক পরিসরেও। সুবক্তা হিসেবে তাঁর খ্যাতির কমতি ছিল না।
৫ দিন আগেআব্দুল করিম খাঁ ছিলেন হিন্দুস্তানি ধ্রুপদি সংগীতের অন্যতম কিংবদন্তি। কিরানা ঘরানারও তিনি কিংবদন্তি ছিলেন। তাঁর সম্পর্কে প্রচলিত—তিনি গান গাওয়ার সময় এমনভাবে ধ্যানমগ্ন হয়ে যেতেন যে, শ্রোতারাও সেই সুরের মায়াজালে আচ্ছন্ন হয়ে পড়তেন।
৬ দিন আগে