সম্পাদকীয়
অর্থনীতির শিক্ষক মো. আনিসুর রহমান হার্ভার্ড থেকে পিএইচডি করেন। তাঁর পিএইচডি থিসিসের পৃষ্ঠাসংখ্যা ছিল চল্লিশ। কিন্তু তাঁর পরামর্শক চাননি, এত ছোট কোনো থিসিসকে পিএইচডি ডিগ্রি দেওয়া হোক। তাই তাঁদের পরামর্শ মেনে থিসিসটা আশি পৃষ্ঠায় দাঁড় করিয়েছিলেন মো. আনিসুর রহমান। সেই থিসিসে ভাষার কারুকার্যের জন্য স্নেহপরায়ণ হয়ে কলম চালিয়েছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজির অধ্যাপক খান সরওয়ার মুরশিদ। তিনি তখন হার্ভার্ডেই ছিলেন। ‘হাউ এলিগেন্ট ইংলিশ’ বলে থিসিসটি প্রশংসিত হয়েছিল।
ঢাকায় ফিরে মো. আনিসুর রহমান যোগ দিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। পদ রিডার। সেখানে এক মজার ঘটনা ঘটেছিল। শ্রীলঙ্কায় একটা কনফারেন্সে যোগ দিয়ে ফেরার পথে কলম্বো এয়ারপোর্ট থেকে একটা সুদৃশ্য ব্রিফকেস কিনেছিলেন তিনি। ঢাকায় ফিরে ডিপার্টমেন্টের অফিস ঘরে টেবিলের ওপর ব্রিফকেসটা রেখে মাত্র পাঁচ মিনিটের জন্য বাইরে গিয়েছিলেন। ফিরে দেখেন, ব্রিফকেস উধাও! ব্রিফকেসের মধ্যে ছিল পাসপোর্টসহ জরুরি কাগজপত্র। এগুলো কীভাবে ফেরত পাওয়া যাবে?
নোটিশ বোর্ডে একটা নোটিশ লিখলেন তিনি। সেই নোটিশে লেখা ছিল, ‘আমি বুঝতে পারছি, আমি প্রলোভন দিয়েছি। কিন্তু ব্রিফকেসটার মধ্যে আমার কিছু দরকারি কাগজপত্র আছে, যেগুলো তোমার কিছু কাজে লাগবে না; কিন্তু না পেলে আমার বেজায় অসুবিধা হবে। তুমি ব্রিফকেসটা রেখে আমার কাগজপত্রগুলো ফেরত দিয়ে দাও। ধরা না পড়ে কেমন করে ফেরত দেবে, এটা একটা প্রশ্ন। রাতে আমার অফিসের দরজা বন্ধ দেখলে তলার ফাঁক দিয়ে সেগুলো ঢুকিয়ে দিতে পারো। আমি কথা দিচ্ছি, আমি আশপাশ থেকে উঁকি দেব না।’
পরদিন মো. আনিসুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে দেখেন, দরজার নিচ দিয়ে পাসপোর্টসহ জরুরি কাগজগুলো কেউ রেখে গেছে। এরপর তিনি আরেকটি নোটিশ লিখলেন, ‘অনেক ধন্যবাদ। আমি তোমার ওপর যে বিশ্বাস রেখেছিলাম, তাতে ভুল করিনি দেখে আমি আনন্দিত। ব্রিফকেসটা আমার উপহার হিসেবে তুমি রেখে দিও।’
সূত্র: মো. আনিসুর রহমান, পথে যা পেয়েছি, পৃষ্ঠা ৪৬-৫০
অর্থনীতির শিক্ষক মো. আনিসুর রহমান হার্ভার্ড থেকে পিএইচডি করেন। তাঁর পিএইচডি থিসিসের পৃষ্ঠাসংখ্যা ছিল চল্লিশ। কিন্তু তাঁর পরামর্শক চাননি, এত ছোট কোনো থিসিসকে পিএইচডি ডিগ্রি দেওয়া হোক। তাই তাঁদের পরামর্শ মেনে থিসিসটা আশি পৃষ্ঠায় দাঁড় করিয়েছিলেন মো. আনিসুর রহমান। সেই থিসিসে ভাষার কারুকার্যের জন্য স্নেহপরায়ণ হয়ে কলম চালিয়েছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজির অধ্যাপক খান সরওয়ার মুরশিদ। তিনি তখন হার্ভার্ডেই ছিলেন। ‘হাউ এলিগেন্ট ইংলিশ’ বলে থিসিসটি প্রশংসিত হয়েছিল।
ঢাকায় ফিরে মো. আনিসুর রহমান যোগ দিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। পদ রিডার। সেখানে এক মজার ঘটনা ঘটেছিল। শ্রীলঙ্কায় একটা কনফারেন্সে যোগ দিয়ে ফেরার পথে কলম্বো এয়ারপোর্ট থেকে একটা সুদৃশ্য ব্রিফকেস কিনেছিলেন তিনি। ঢাকায় ফিরে ডিপার্টমেন্টের অফিস ঘরে টেবিলের ওপর ব্রিফকেসটা রেখে মাত্র পাঁচ মিনিটের জন্য বাইরে গিয়েছিলেন। ফিরে দেখেন, ব্রিফকেস উধাও! ব্রিফকেসের মধ্যে ছিল পাসপোর্টসহ জরুরি কাগজপত্র। এগুলো কীভাবে ফেরত পাওয়া যাবে?
নোটিশ বোর্ডে একটা নোটিশ লিখলেন তিনি। সেই নোটিশে লেখা ছিল, ‘আমি বুঝতে পারছি, আমি প্রলোভন দিয়েছি। কিন্তু ব্রিফকেসটার মধ্যে আমার কিছু দরকারি কাগজপত্র আছে, যেগুলো তোমার কিছু কাজে লাগবে না; কিন্তু না পেলে আমার বেজায় অসুবিধা হবে। তুমি ব্রিফকেসটা রেখে আমার কাগজপত্রগুলো ফেরত দিয়ে দাও। ধরা না পড়ে কেমন করে ফেরত দেবে, এটা একটা প্রশ্ন। রাতে আমার অফিসের দরজা বন্ধ দেখলে তলার ফাঁক দিয়ে সেগুলো ঢুকিয়ে দিতে পারো। আমি কথা দিচ্ছি, আমি আশপাশ থেকে উঁকি দেব না।’
পরদিন মো. আনিসুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে দেখেন, দরজার নিচ দিয়ে পাসপোর্টসহ জরুরি কাগজগুলো কেউ রেখে গেছে। এরপর তিনি আরেকটি নোটিশ লিখলেন, ‘অনেক ধন্যবাদ। আমি তোমার ওপর যে বিশ্বাস রেখেছিলাম, তাতে ভুল করিনি দেখে আমি আনন্দিত। ব্রিফকেসটা আমার উপহার হিসেবে তুমি রেখে দিও।’
সূত্র: মো. আনিসুর রহমান, পথে যা পেয়েছি, পৃষ্ঠা ৪৬-৫০
তারাপদ রায় দুই বাংলার প্রতিষ্ঠিত কবি হলেও তাঁর জন্ম ও শৈশব-কৈশোরের দিনগুলো কেটেছে বাংলাদেশের টাঙ্গাইল শহরে। তিনি ১৯৩৬ সালের ১৭ নভেম্বর টাঙ্গাইল শহরের পূর্ব আদালতপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। বাবা ছিলেন টাঙ্গাইল জজকোর্টের আইনজীবী।
৯ ঘণ্টা আগেআধুনিক আফ্রিকান সাহিত্যের পুরোধা ব্যক্তিত্ব চিনুয়া আচেবের জন্ম ১৯৩০ সালের ১৬ নভেম্বর নাইজেরিয়ার দক্ষিণ-পূর্ব অঞ্চল ওগিদিতে। তিনি ইবাদান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম স্নাতকদের একজন। লেখাপড়া শেষে নাইজেরিয়ান ব্রডকাস্টিং করপোরেশনে রেডিও প্রযোজক ও এক্সটারনাল ব্রডকাস্টিংয়ের পরিচালক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
১ দিন আগেবারী সিদ্দিকী সংগীতজীবনের প্রথম দিকে বংশীবাদক হিসেবে পরিচিত পেলেও পরবর্তী সময়ে তিনি একজন লোকসংগীতশিল্পী হিসেবে খ্যাতি লাভ করেন।
২ দিন আগেতিনি ছিলেন একজন আদর্শবান শিক্ষক—অজিতকুমার গুহর এটাই সবচেয়ে বড় পরিচয়। নিজের জাগতিক উন্নতিকে কখনো বড় করে দেখেননি তিনি। শিক্ষার্থীদের আদর্শ জীবন উপহার দেওয়াই ছিল তাঁর ব্রত। তিনি সক্রিয় ছিলেন ঢাকার প্রগতিশীল সাহিত্য-সাংস্কৃতিক পরিসরেও। সুবক্তা হিসেবে তাঁর খ্যাতির কমতি ছিল না।
৫ দিন আগে