সম্পাদকীয়
গল্পটি নেপোলিয়ান বোনাপার্টের। তিনি একসময় ইংল্যান্ড আক্রমণ করবেন বলে ঠিক করেছিলেন। সে উদ্যোগ যখন চলছিল, তখন একদিন ফরাসি সৈন্যরা একটি ইংরেজ ছেলেকে সমুদ্রপথে ধরে এনে ফরাসি দেশের সমুদ্রতটে ছেড়ে দেয়। দেশের জন্য প্রাণ কাঁদত সেই ছেলের। সমুদ্র পার হলেই ইংল্যান্ড, কিন্তু কিছুতেই ফেরা যাচ্ছে না দেশে।
এক রাতে ঝড় হলে একটি খালি পিপে এসে আছাড় খেয়ে পড়ল সমুদ্রতটে। ছেলেটি সেটা নিয়ে লুকিয়ে রাখল পাহাড়ের গর্তে। তারপর সারা দিন ধরে সে পিপে ভেঙে নৌকা বানানোর চেষ্টা করতে লাগল। কিন্তু নৌকা বানানোর জন্যও তো সাজসরঞ্জাম লাগে, তার কিছুই নেই ছেলেটির কাছে। ভাঙা পিপের কাঠের চারদিকে নরম গাছের ডাল বুনে বুনে সে নৌকা বানানোর চেষ্টা করে যেতে লাগল। এই ভঙ্গুর, বাদামের খোলার মতো নৌকায় করে সে সমুদ্র পাড়ি দেবে! দেশ-যন্ত্রণা তার এতটাই তীব্র হয়ে উঠেছিল যে, সে ভেবেও দেখেনি–এই ছোট্ট নৌকা সমুদ্রে পড়লেই ভেঙে গুঁড়িয়ে যাবে।
যেদিন সে নৌকা ভাসানোর তোড়জোড় করছিল, সেদিন তা দেখে ফেলে ফরাসি সৈন্যরা তাকে ধরল। কষ্টের নৌকা আর ভাসানো হলো না।
কথাটা উঠল নেপোলিয়ানের কানে। তিনি ছেলেটিকে ডেকে পাঠালেন। জিজ্ঞেস করলেন, ‘তোমার এত সাহস! এই কাঠ বা ডালপালার নৌকায় করে সমুদ্র পার হতে চাও! দেশে তোমার কে আছে?’
‘মা আছে। মাকে কত দিন দেখি না!’ ছেলেটির চোখ ছলছল করে উঠল।
নেপোলিয়ান তখনই বললেন, ‘মায়ের সঙ্গে তোমার দেখা হবে। আমি নিজে তোমাকে দেশে যাওয়ার ব্যবস্থা করে দেব।’ নেপোলিয়ান ছেলেটার হাতে একটা মোহর দিলেন এবং নিজের জাহাজে করেই তাকে পাঠিয়ে দিলেন ইংল্যান্ডে। ভাবলেন, যে ছেলে এমন সাহসী, তার মা না-জানি কত মহৎ!
ছেলেটি কিন্তু সেই মোহরটি কখনো ভাঙায়নি। চিরদিন রেখে দিয়েছিল কাছে।
সূত্র: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, গুটিকত গল্প, বালক, পৃষ্ঠা: ৩৬-৩৭
গল্পটি নেপোলিয়ান বোনাপার্টের। তিনি একসময় ইংল্যান্ড আক্রমণ করবেন বলে ঠিক করেছিলেন। সে উদ্যোগ যখন চলছিল, তখন একদিন ফরাসি সৈন্যরা একটি ইংরেজ ছেলেকে সমুদ্রপথে ধরে এনে ফরাসি দেশের সমুদ্রতটে ছেড়ে দেয়। দেশের জন্য প্রাণ কাঁদত সেই ছেলের। সমুদ্র পার হলেই ইংল্যান্ড, কিন্তু কিছুতেই ফেরা যাচ্ছে না দেশে।
এক রাতে ঝড় হলে একটি খালি পিপে এসে আছাড় খেয়ে পড়ল সমুদ্রতটে। ছেলেটি সেটা নিয়ে লুকিয়ে রাখল পাহাড়ের গর্তে। তারপর সারা দিন ধরে সে পিপে ভেঙে নৌকা বানানোর চেষ্টা করতে লাগল। কিন্তু নৌকা বানানোর জন্যও তো সাজসরঞ্জাম লাগে, তার কিছুই নেই ছেলেটির কাছে। ভাঙা পিপের কাঠের চারদিকে নরম গাছের ডাল বুনে বুনে সে নৌকা বানানোর চেষ্টা করে যেতে লাগল। এই ভঙ্গুর, বাদামের খোলার মতো নৌকায় করে সে সমুদ্র পাড়ি দেবে! দেশ-যন্ত্রণা তার এতটাই তীব্র হয়ে উঠেছিল যে, সে ভেবেও দেখেনি–এই ছোট্ট নৌকা সমুদ্রে পড়লেই ভেঙে গুঁড়িয়ে যাবে।
যেদিন সে নৌকা ভাসানোর তোড়জোড় করছিল, সেদিন তা দেখে ফেলে ফরাসি সৈন্যরা তাকে ধরল। কষ্টের নৌকা আর ভাসানো হলো না।
কথাটা উঠল নেপোলিয়ানের কানে। তিনি ছেলেটিকে ডেকে পাঠালেন। জিজ্ঞেস করলেন, ‘তোমার এত সাহস! এই কাঠ বা ডালপালার নৌকায় করে সমুদ্র পার হতে চাও! দেশে তোমার কে আছে?’
‘মা আছে। মাকে কত দিন দেখি না!’ ছেলেটির চোখ ছলছল করে উঠল।
নেপোলিয়ান তখনই বললেন, ‘মায়ের সঙ্গে তোমার দেখা হবে। আমি নিজে তোমাকে দেশে যাওয়ার ব্যবস্থা করে দেব।’ নেপোলিয়ান ছেলেটার হাতে একটা মোহর দিলেন এবং নিজের জাহাজে করেই তাকে পাঠিয়ে দিলেন ইংল্যান্ডে। ভাবলেন, যে ছেলে এমন সাহসী, তার মা না-জানি কত মহৎ!
ছেলেটি কিন্তু সেই মোহরটি কখনো ভাঙায়নি। চিরদিন রেখে দিয়েছিল কাছে।
সূত্র: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, গুটিকত গল্প, বালক, পৃষ্ঠা: ৩৬-৩৭
তারাপদ রায় দুই বাংলার প্রতিষ্ঠিত কবি হলেও তাঁর জন্ম ও শৈশব-কৈশোরের দিনগুলো কেটেছে বাংলাদেশের টাঙ্গাইল শহরে। তিনি ১৯৩৬ সালের ১৭ নভেম্বর টাঙ্গাইল শহরের পূর্ব আদালতপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। বাবা ছিলেন টাঙ্গাইল জজকোর্টের আইনজীবী।
১৮ ঘণ্টা আগেআধুনিক আফ্রিকান সাহিত্যের পুরোধা ব্যক্তিত্ব চিনুয়া আচেবের জন্ম ১৯৩০ সালের ১৬ নভেম্বর নাইজেরিয়ার দক্ষিণ-পূর্ব অঞ্চল ওগিদিতে। তিনি ইবাদান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম স্নাতকদের একজন। লেখাপড়া শেষে নাইজেরিয়ান ব্রডকাস্টিং করপোরেশনে রেডিও প্রযোজক ও এক্সটারনাল ব্রডকাস্টিংয়ের পরিচালক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
২ দিন আগেবারী সিদ্দিকী সংগীতজীবনের প্রথম দিকে বংশীবাদক হিসেবে পরিচিত পেলেও পরবর্তী সময়ে তিনি একজন লোকসংগীতশিল্পী হিসেবে খ্যাতি লাভ করেন।
৩ দিন আগেতিনি ছিলেন একজন আদর্শবান শিক্ষক—অজিতকুমার গুহর এটাই সবচেয়ে বড় পরিচয়। নিজের জাগতিক উন্নতিকে কখনো বড় করে দেখেননি তিনি। শিক্ষার্থীদের আদর্শ জীবন উপহার দেওয়াই ছিল তাঁর ব্রত। তিনি সক্রিয় ছিলেন ঢাকার প্রগতিশীল সাহিত্য-সাংস্কৃতিক পরিসরেও। সুবক্তা হিসেবে তাঁর খ্যাতির কমতি ছিল না।
৬ দিন আগে