আজকের পত্রিকা ডেস্ক
পাকিস্তান লেখক সংঘের পূর্বাঞ্চল শাখার উদ্যোগে পাঁচ দিনব্যাপী মহাকবি স্মরণোৎসব হয়েছিল ১৯৬৮ সালের জুলাই মাসে। ৫ জুলাই ছিল রবীন্দ্র দিবস, ৬ জুলাই ইকবাল দিবস, ৭ জুলাই গালিব দিবস, ৮ জুলাই মাইকেল দিবস, ৯ জুলাই ছিল নজরুল দিবস।
প্রথম দিন সভা হয়েছিল ইসলামিক একাডেমির পরিচালক আবুল হাশিমের সভাপতিত্বে। সেখানে প্রবন্ধ পাঠ করেছিলেন আনিসুজ্জামান। আনিসুজ্জামান তাঁর প্রবন্ধে বলেন, ‘চলতে চলতে রবীন্দ্রনাথ তাঁর মত বদলেছেন। পথ বদলেছেন; ক্রমেই সকল সংকীর্ণতার গণ্ডি ভেদ করে তিনি মানুষের পৃথিবীর নাগরিক হতে চেয়েছেন।’ প্রথম দিনের অনুষ্ঠানে কবিতাপাঠের আসরে অংশ নেন গোলাম মুস্তাফা, মো. মনিরুজ্জামান ও সিকান্দার আবু জাফর।শেষ দিন নজরুল দিবসে সভাপতি ছিলেন আবদুল কাদির। প্রবন্ধ পড়েন বোরহান উদ্দিন খান জাহাঙ্গীর ও রফিকুল ইসলাম।
টেলিভিশনে তখন নানা ধরনের অনুষ্ঠান হয়। আনিসুজ্জামানও কয়েকটি অনুষ্ঠান করেছেন। মহাকবি স্মরণোৎসবের অনুষ্ঠানগুলোর পরিচিতিমূলক অনুষ্ঠান করতে বলা হলো তাঁকে। তিনি প্রস্তুত হচ্ছিলেন। নির্ধারিত দিনে টিভি ভবনে হাজির হয়ে আনিসুজ্জামান দেখলেন অনুষ্ঠান-অধ্যক্ষ মনিরুল আলম বসে আছেন বিষণ্ন মুখে। কারণ জিজ্ঞাসা করা হলে জানা গেল, যেই পাঁচ কবিকে নিয়ে উৎসব হয়েছে, তার চারজনকে নিয়ে আলোচনা করা যাবে; কিন্তু রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে কোনো কথা বলা যাবে না।
আনিসুজ্জামান বললেন, ‘আমি আলোচনা করব না।’
এ তো মহাবিপদ! অনুষ্ঠানসূচিতে আনিসুজ্জামানের নাম ঘোষিত হয়ে গেছে। এখন অনুষ্ঠান না করলে চলবে কী করে? কী করা যায়? পরে আলোচনা করে ঠিক করা হলো, মহাকবি স্মরণোৎসব নিয়ে অনুষ্ঠানটা হবে না, আনিসুজ্জামান কথা বলবেন ‘বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে আরবি-ফারসি শব্দের ব্যবহার’ সম্পর্কে।
সেভাবেই তৈরি হলেন আনিসুজ্জামান। রবীন্দ্রনাথকে অবজ্ঞা করার নির্দেশ তিনি মানলেন না।
সূত্র: আনিসুজ্জামান, ‘বাংলাদেশ টেলিভিশনের ২৫ বছর’ বই থেকে। পৃষ্ঠা: ৩৯
পাকিস্তান লেখক সংঘের পূর্বাঞ্চল শাখার উদ্যোগে পাঁচ দিনব্যাপী মহাকবি স্মরণোৎসব হয়েছিল ১৯৬৮ সালের জুলাই মাসে। ৫ জুলাই ছিল রবীন্দ্র দিবস, ৬ জুলাই ইকবাল দিবস, ৭ জুলাই গালিব দিবস, ৮ জুলাই মাইকেল দিবস, ৯ জুলাই ছিল নজরুল দিবস।
প্রথম দিন সভা হয়েছিল ইসলামিক একাডেমির পরিচালক আবুল হাশিমের সভাপতিত্বে। সেখানে প্রবন্ধ পাঠ করেছিলেন আনিসুজ্জামান। আনিসুজ্জামান তাঁর প্রবন্ধে বলেন, ‘চলতে চলতে রবীন্দ্রনাথ তাঁর মত বদলেছেন। পথ বদলেছেন; ক্রমেই সকল সংকীর্ণতার গণ্ডি ভেদ করে তিনি মানুষের পৃথিবীর নাগরিক হতে চেয়েছেন।’ প্রথম দিনের অনুষ্ঠানে কবিতাপাঠের আসরে অংশ নেন গোলাম মুস্তাফা, মো. মনিরুজ্জামান ও সিকান্দার আবু জাফর।শেষ দিন নজরুল দিবসে সভাপতি ছিলেন আবদুল কাদির। প্রবন্ধ পড়েন বোরহান উদ্দিন খান জাহাঙ্গীর ও রফিকুল ইসলাম।
টেলিভিশনে তখন নানা ধরনের অনুষ্ঠান হয়। আনিসুজ্জামানও কয়েকটি অনুষ্ঠান করেছেন। মহাকবি স্মরণোৎসবের অনুষ্ঠানগুলোর পরিচিতিমূলক অনুষ্ঠান করতে বলা হলো তাঁকে। তিনি প্রস্তুত হচ্ছিলেন। নির্ধারিত দিনে টিভি ভবনে হাজির হয়ে আনিসুজ্জামান দেখলেন অনুষ্ঠান-অধ্যক্ষ মনিরুল আলম বসে আছেন বিষণ্ন মুখে। কারণ জিজ্ঞাসা করা হলে জানা গেল, যেই পাঁচ কবিকে নিয়ে উৎসব হয়েছে, তার চারজনকে নিয়ে আলোচনা করা যাবে; কিন্তু রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে কোনো কথা বলা যাবে না।
আনিসুজ্জামান বললেন, ‘আমি আলোচনা করব না।’
এ তো মহাবিপদ! অনুষ্ঠানসূচিতে আনিসুজ্জামানের নাম ঘোষিত হয়ে গেছে। এখন অনুষ্ঠান না করলে চলবে কী করে? কী করা যায়? পরে আলোচনা করে ঠিক করা হলো, মহাকবি স্মরণোৎসব নিয়ে অনুষ্ঠানটা হবে না, আনিসুজ্জামান কথা বলবেন ‘বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে আরবি-ফারসি শব্দের ব্যবহার’ সম্পর্কে।
সেভাবেই তৈরি হলেন আনিসুজ্জামান। রবীন্দ্রনাথকে অবজ্ঞা করার নির্দেশ তিনি মানলেন না।
সূত্র: আনিসুজ্জামান, ‘বাংলাদেশ টেলিভিশনের ২৫ বছর’ বই থেকে। পৃষ্ঠা: ৩৯
তারাপদ রায় দুই বাংলার প্রতিষ্ঠিত কবি হলেও তাঁর জন্ম ও শৈশব-কৈশোরের দিনগুলো কেটেছে বাংলাদেশের টাঙ্গাইল শহরে। তিনি ১৯৩৬ সালের ১৭ নভেম্বর টাঙ্গাইল শহরের পূর্ব আদালতপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। বাবা ছিলেন টাঙ্গাইল জজকোর্টের আইনজীবী।
২০ ঘণ্টা আগেআধুনিক আফ্রিকান সাহিত্যের পুরোধা ব্যক্তিত্ব চিনুয়া আচেবের জন্ম ১৯৩০ সালের ১৬ নভেম্বর নাইজেরিয়ার দক্ষিণ-পূর্ব অঞ্চল ওগিদিতে। তিনি ইবাদান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম স্নাতকদের একজন। লেখাপড়া শেষে নাইজেরিয়ান ব্রডকাস্টিং করপোরেশনে রেডিও প্রযোজক ও এক্সটারনাল ব্রডকাস্টিংয়ের পরিচালক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
২ দিন আগেবারী সিদ্দিকী সংগীতজীবনের প্রথম দিকে বংশীবাদক হিসেবে পরিচিত পেলেও পরবর্তী সময়ে তিনি একজন লোকসংগীতশিল্পী হিসেবে খ্যাতি লাভ করেন।
৩ দিন আগেতিনি ছিলেন একজন আদর্শবান শিক্ষক—অজিতকুমার গুহর এটাই সবচেয়ে বড় পরিচয়। নিজের জাগতিক উন্নতিকে কখনো বড় করে দেখেননি তিনি। শিক্ষার্থীদের আদর্শ জীবন উপহার দেওয়াই ছিল তাঁর ব্রত। তিনি সক্রিয় ছিলেন ঢাকার প্রগতিশীল সাহিত্য-সাংস্কৃতিক পরিসরেও। সুবক্তা হিসেবে তাঁর খ্যাতির কমতি ছিল না।
৬ দিন আগে