আজকের পত্রিকা ডেস্ক
রবীন্দ্রনাথের কৃষির বিষয়ে উৎসাহ দেখে শ্রীনিকেতনে ভর্তি হয়েছিলেন প্রেমেন্দ্র মিত্র। ভর্তির প্রক্রিয়াটি ছিল মজার।
সন্তোষ মজুমদারকে বলে ভর্তি হতে হয়, সে কথা জানা ছিল প্রেমেন্দ্রর। সন্তোষ মজুমদারও বিচিত্র পোঁটলাসহ তরুণকে দেখে প্রশ্ন করলেন আগমনের হেতু।
প্রেমেন্দ্র বললেন, এখানে ভর্তি হব।
কিন্তু ক্লাস যে মাস তিনেক আগে শুরু হয়ে গেছে, সে কথা বলে তরুণকে বিরত করতে চাইলেন সন্তোষ বাবু। প্রেমেন্দ্র শুধু বললেন, ঘরে পড়েই তিনি তা সামলে নেবেন। শুধু ভর্তি করে নেওয়াই হলো আর্জি।
উপস্থিত যাঁরা ছিলেন, তাঁদের মন গলল। তাঁরাও বললেন, ভর্তি করে নেওয়া হোক। এই টার্মের সব ফি জমা দিয়ে তবেই ভর্তি হতে হবে। তার পরিমাণও জানিয়ে দেওয়া হলো।
টাকা-পয়সার কথা শুনে এবার প্রেমেন্দ্র মিত্রের মাথায় হাত। তিনি বললেন, আজ্ঞে, আমি তো এসব ফি-টি দিতে পারব না।
সন্তোষবাবুও হতবাক হয়ে বললেন, ‘ফি দিতে পারবে না!’
‘আমি অমনি অমনি এখানে পড়তে চাই।’ বললেন প্রেমেন্দ্র মিত্র।
এই সমস্যার সমাধান কীভাবে হতে পারে, তা জানা ছিল না সন্তোষবাবুর। একজন যখন ঘটনা আরও বিশদে জানতে চাইলেন, প্রেমেন্দ্র মিত্র জানালেন: দিদিমার সঙ্গে ঝগড়া হয়েছে, মিটমাট হয়ে গেলে মাইনে দিতে পারবেন।
এ সময় একজন অফিসার আরও ভালো একটা পথ বাতলে দিলেন। বললেন, কিছুক্ষণ পর এলমহার্স্ট নামে একজন লম্বা সাহেব এ পথ দিয়ে যাবেন। তাকেই আর্জিটা জানাতে হবে।
সত্যিই একটু পর এলমহার্স্ট সাহেবের আগমন। তিনিই এখানে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান কর্তা। তিনি হাসি হাসি মুখে প্রেমেন্দ্রর দিকে তাকালেন; কিন্তু চিনতে পারলেন না। জানতে চাইলেন, কেন সে এসেছে এখানে।
গড়গড় করে নিজের কথা বলে গেলেন প্রেমেন্দ্র। কয়েক সেকেন্ড ভেবে এলমহার্স্ট সাহেব বললেন, ঠিক আছে, তোমার এখানকার খরচ লাগবে না।
সেদিন থেকেই প্রেমেন্দ্র মিত্র শ্রীনিকেতনের ছাত্র হয়ে গেলেন।
সূত্র: প্রেমেন্দ্র মিত্র, স্মৃতিকথা ও অন্যান্য, পৃষ্ঠা: ৮৮-৮৯
রবীন্দ্রনাথের কৃষির বিষয়ে উৎসাহ দেখে শ্রীনিকেতনে ভর্তি হয়েছিলেন প্রেমেন্দ্র মিত্র। ভর্তির প্রক্রিয়াটি ছিল মজার।
সন্তোষ মজুমদারকে বলে ভর্তি হতে হয়, সে কথা জানা ছিল প্রেমেন্দ্রর। সন্তোষ মজুমদারও বিচিত্র পোঁটলাসহ তরুণকে দেখে প্রশ্ন করলেন আগমনের হেতু।
প্রেমেন্দ্র বললেন, এখানে ভর্তি হব।
কিন্তু ক্লাস যে মাস তিনেক আগে শুরু হয়ে গেছে, সে কথা বলে তরুণকে বিরত করতে চাইলেন সন্তোষ বাবু। প্রেমেন্দ্র শুধু বললেন, ঘরে পড়েই তিনি তা সামলে নেবেন। শুধু ভর্তি করে নেওয়াই হলো আর্জি।
উপস্থিত যাঁরা ছিলেন, তাঁদের মন গলল। তাঁরাও বললেন, ভর্তি করে নেওয়া হোক। এই টার্মের সব ফি জমা দিয়ে তবেই ভর্তি হতে হবে। তার পরিমাণও জানিয়ে দেওয়া হলো।
টাকা-পয়সার কথা শুনে এবার প্রেমেন্দ্র মিত্রের মাথায় হাত। তিনি বললেন, আজ্ঞে, আমি তো এসব ফি-টি দিতে পারব না।
সন্তোষবাবুও হতবাক হয়ে বললেন, ‘ফি দিতে পারবে না!’
‘আমি অমনি অমনি এখানে পড়তে চাই।’ বললেন প্রেমেন্দ্র মিত্র।
এই সমস্যার সমাধান কীভাবে হতে পারে, তা জানা ছিল না সন্তোষবাবুর। একজন যখন ঘটনা আরও বিশদে জানতে চাইলেন, প্রেমেন্দ্র মিত্র জানালেন: দিদিমার সঙ্গে ঝগড়া হয়েছে, মিটমাট হয়ে গেলে মাইনে দিতে পারবেন।
এ সময় একজন অফিসার আরও ভালো একটা পথ বাতলে দিলেন। বললেন, কিছুক্ষণ পর এলমহার্স্ট নামে একজন লম্বা সাহেব এ পথ দিয়ে যাবেন। তাকেই আর্জিটা জানাতে হবে।
সত্যিই একটু পর এলমহার্স্ট সাহেবের আগমন। তিনিই এখানে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান কর্তা। তিনি হাসি হাসি মুখে প্রেমেন্দ্রর দিকে তাকালেন; কিন্তু চিনতে পারলেন না। জানতে চাইলেন, কেন সে এসেছে এখানে।
গড়গড় করে নিজের কথা বলে গেলেন প্রেমেন্দ্র। কয়েক সেকেন্ড ভেবে এলমহার্স্ট সাহেব বললেন, ঠিক আছে, তোমার এখানকার খরচ লাগবে না।
সেদিন থেকেই প্রেমেন্দ্র মিত্র শ্রীনিকেতনের ছাত্র হয়ে গেলেন।
সূত্র: প্রেমেন্দ্র মিত্র, স্মৃতিকথা ও অন্যান্য, পৃষ্ঠা: ৮৮-৮৯
তারাপদ রায় দুই বাংলার প্রতিষ্ঠিত কবি হলেও তাঁর জন্ম ও শৈশব-কৈশোরের দিনগুলো কেটেছে বাংলাদেশের টাঙ্গাইল শহরে। তিনি ১৯৩৬ সালের ১৭ নভেম্বর টাঙ্গাইল শহরের পূর্ব আদালতপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। বাবা ছিলেন টাঙ্গাইল জজকোর্টের আইনজীবী।
১ দিন আগেআধুনিক আফ্রিকান সাহিত্যের পুরোধা ব্যক্তিত্ব চিনুয়া আচেবের জন্ম ১৯৩০ সালের ১৬ নভেম্বর নাইজেরিয়ার দক্ষিণ-পূর্ব অঞ্চল ওগিদিতে। তিনি ইবাদান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম স্নাতকদের একজন। লেখাপড়া শেষে নাইজেরিয়ান ব্রডকাস্টিং করপোরেশনে রেডিও প্রযোজক ও এক্সটারনাল ব্রডকাস্টিংয়ের পরিচালক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
২ দিন আগেবারী সিদ্দিকী সংগীতজীবনের প্রথম দিকে বংশীবাদক হিসেবে পরিচিত পেলেও পরবর্তী সময়ে তিনি একজন লোকসংগীতশিল্পী হিসেবে খ্যাতি লাভ করেন।
৩ দিন আগেতিনি ছিলেন একজন আদর্শবান শিক্ষক—অজিতকুমার গুহর এটাই সবচেয়ে বড় পরিচয়। নিজের জাগতিক উন্নতিকে কখনো বড় করে দেখেননি তিনি। শিক্ষার্থীদের আদর্শ জীবন উপহার দেওয়াই ছিল তাঁর ব্রত। তিনি সক্রিয় ছিলেন ঢাকার প্রগতিশীল সাহিত্য-সাংস্কৃতিক পরিসরেও। সুবক্তা হিসেবে তাঁর খ্যাতির কমতি ছিল না।
৬ দিন আগে