সম্পাদকীয়
সৈয়দ শামসুল হকের ৮০ বছর পূর্তি উপলক্ষে তার পরের বছর একটি সম্মাননা গ্রন্থ বের হলো। এর আগে কখনোই তাঁকে নিয়ে এ ধরনের গ্রন্থ বের হয়নি। জন্মদিন উপলক্ষে বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় লেখা বেরিয়েছে, কিন্তু সম্মাননা গ্রন্থ নয়।
৮০তম জন্মদিন উপলক্ষে জাতীয় জাদুঘরের খোলা চত্বরের সামনে তাঁকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছিল। তারিক সুজাত চাইছিলেন, দিনটি উপলক্ষে সৈয়দ শামসুল হককে কিছু লিখতে হবে, সেটা তিনি প্রকাশ করবেন। শুধু তা-ই নয়, জন্মদিনে সেই লেখা তিনি পড়ে শোনাবেন।
কয়েক মাস ধরেই সৈয়দ হকের শরীর ভালো যাচ্ছিল না। কাশিটা বাড়ছিল। দরদর করে ঘামতেন। এরই মধ্যে লিখছিলেন, পড়ছিলেন, সভা-সমিতিতে যাচ্ছিলেন।
সম্মাননা গ্রন্থটি বের হলো যখন, দেখা গেল এর আগে সৈয়দ হককে নিয়ে কোনো ম্যাগাজিন বা বইয়ের একক সংখ্যাও হয়নি। পত্রপত্রিকায় তাঁকে নিয়ে লেখাগুলোই আনন্দ দিত সৈয়দ হককে। মনে ক্ষোভ ছিল কি না, সেটা এখন আর কেউ বলতে পারবে না।
একবার একজন বলেছিল, একটা লিটল ম্যাগাজিন সৈয়দ হকের নামে একক সংখ্যা বের করবে। তাতে খুবই খুশি হয়েছিলেন আনোয়ারা সৈয়দ হক। তখন লিটল ম্যাগের সেই ছেলেটি বলেছিল, ‘যদি হক ভাই নিজে একটা কোনো ব্যাংককে অনুরোধ করেন বা নিজে কয়েকটা বিজ্ঞাপন জোগাড় করে দেন, তাহলে আর কোনো চিন্তা নেই।’
তাঁর শেষ কথায় আনোয়ারা সৈয়দ হকের মন দমে গিয়েছিল। তিনি বুঝতে পেরেছিলেন, এই সব বিশেষ সংখ্যা এভাবেই তৈরি হয়। লেখকের নাম ভাঙিয়ে বিজ্ঞাপন জোগাড় করাই এদের লক্ষ্য। লেখক নিজেই কারও কাছে বিজ্ঞাপন চাইছেন নিজের জন্য, এর চেয়ে বড় অপমান আর কী হতে পারে?
মন খারাপ করে আনোয়ারা সৈয়দ হক বাড়ি ফিরলেন। তারপর সেই ছেলেটির বলা কথা জানালেন সৈয়দ হককে। সৈয়দ হক গম্ভীর মুখে বললেন, ‘গুলি মারো।’
সূত্র: আনোয়ারা সৈয়দ হক, বাসিত জীবন, পৃষ্ঠা ১৪০
সৈয়দ শামসুল হকের ৮০ বছর পূর্তি উপলক্ষে তার পরের বছর একটি সম্মাননা গ্রন্থ বের হলো। এর আগে কখনোই তাঁকে নিয়ে এ ধরনের গ্রন্থ বের হয়নি। জন্মদিন উপলক্ষে বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় লেখা বেরিয়েছে, কিন্তু সম্মাননা গ্রন্থ নয়।
৮০তম জন্মদিন উপলক্ষে জাতীয় জাদুঘরের খোলা চত্বরের সামনে তাঁকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছিল। তারিক সুজাত চাইছিলেন, দিনটি উপলক্ষে সৈয়দ শামসুল হককে কিছু লিখতে হবে, সেটা তিনি প্রকাশ করবেন। শুধু তা-ই নয়, জন্মদিনে সেই লেখা তিনি পড়ে শোনাবেন।
কয়েক মাস ধরেই সৈয়দ হকের শরীর ভালো যাচ্ছিল না। কাশিটা বাড়ছিল। দরদর করে ঘামতেন। এরই মধ্যে লিখছিলেন, পড়ছিলেন, সভা-সমিতিতে যাচ্ছিলেন।
সম্মাননা গ্রন্থটি বের হলো যখন, দেখা গেল এর আগে সৈয়দ হককে নিয়ে কোনো ম্যাগাজিন বা বইয়ের একক সংখ্যাও হয়নি। পত্রপত্রিকায় তাঁকে নিয়ে লেখাগুলোই আনন্দ দিত সৈয়দ হককে। মনে ক্ষোভ ছিল কি না, সেটা এখন আর কেউ বলতে পারবে না।
একবার একজন বলেছিল, একটা লিটল ম্যাগাজিন সৈয়দ হকের নামে একক সংখ্যা বের করবে। তাতে খুবই খুশি হয়েছিলেন আনোয়ারা সৈয়দ হক। তখন লিটল ম্যাগের সেই ছেলেটি বলেছিল, ‘যদি হক ভাই নিজে একটা কোনো ব্যাংককে অনুরোধ করেন বা নিজে কয়েকটা বিজ্ঞাপন জোগাড় করে দেন, তাহলে আর কোনো চিন্তা নেই।’
তাঁর শেষ কথায় আনোয়ারা সৈয়দ হকের মন দমে গিয়েছিল। তিনি বুঝতে পেরেছিলেন, এই সব বিশেষ সংখ্যা এভাবেই তৈরি হয়। লেখকের নাম ভাঙিয়ে বিজ্ঞাপন জোগাড় করাই এদের লক্ষ্য। লেখক নিজেই কারও কাছে বিজ্ঞাপন চাইছেন নিজের জন্য, এর চেয়ে বড় অপমান আর কী হতে পারে?
মন খারাপ করে আনোয়ারা সৈয়দ হক বাড়ি ফিরলেন। তারপর সেই ছেলেটির বলা কথা জানালেন সৈয়দ হককে। সৈয়দ হক গম্ভীর মুখে বললেন, ‘গুলি মারো।’
সূত্র: আনোয়ারা সৈয়দ হক, বাসিত জীবন, পৃষ্ঠা ১৪০
আধুনিক আফ্রিকান সাহিত্যের পুরোধা ব্যক্তিত্ব চিনুয়া আচেবের জন্ম ১৯৩০ সালের ১৬ নভেম্বর নাইজেরিয়ার দক্ষিণ-পূর্ব অঞ্চল ওগিদিতে। তিনি ইবাদান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম স্নাতকদের একজন। লেখাপড়া শেষে নাইজেরিয়ান ব্রডকাস্টিং করপোরেশনে রেডিও প্রযোজক ও এক্সটারনাল ব্রডকাস্টিংয়ের পরিচালক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
১৬ ঘণ্টা আগেবারী সিদ্দিকী সংগীতজীবনের প্রথম দিকে বংশীবাদক হিসেবে পরিচিত পেলেও পরবর্তী সময়ে তিনি একজন লোকসংগীতশিল্পী হিসেবে খ্যাতি লাভ করেন।
২ দিন আগেতিনি ছিলেন একজন আদর্শবান শিক্ষক—অজিতকুমার গুহর এটাই সবচেয়ে বড় পরিচয়। নিজের জাগতিক উন্নতিকে কখনো বড় করে দেখেননি তিনি। শিক্ষার্থীদের আদর্শ জীবন উপহার দেওয়াই ছিল তাঁর ব্রত। তিনি সক্রিয় ছিলেন ঢাকার প্রগতিশীল সাহিত্য-সাংস্কৃতিক পরিসরেও। সুবক্তা হিসেবে তাঁর খ্যাতির কমতি ছিল না।
৫ দিন আগেআব্দুল করিম খাঁ ছিলেন হিন্দুস্তানি ধ্রুপদি সংগীতের অন্যতম কিংবদন্তি। কিরানা ঘরানারও তিনি কিংবদন্তি ছিলেন। তাঁর সম্পর্কে প্রচলিত—তিনি গান গাওয়ার সময় এমনভাবে ধ্যানমগ্ন হয়ে যেতেন যে, শ্রোতারাও সেই সুরের মায়াজালে আচ্ছন্ন হয়ে পড়তেন।
৬ দিন আগে