আজকের পত্রিকা ডেস্ক
১৯৪২ সালে ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহকে প্রথম দেখেছিলেন সরদার ফজলুল করিম। এরপর দেখা হয় ১৯৬৩ সালে। সে সময় সরদার ফজলুল করিম যোগ দিয়েছেন বাংলা একাডেমির অনুবাদ বিভাগে। ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ তখন বাংলা একাডেমিতে ‘আঞ্চলিক ভাষার অভিধান’ এবং ‘ইসলামী বিশ্বকোষ’-এর প্রধান সম্পাদক।
ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহর জন্ম ১৮৮৫ সালে। বাংলা একাডেমিতে তখন যাঁরা কাজ করছিলেন, তাঁদের কারও জন্মই ১৯২৫ সালের আগে নয়। সাড়ে নয়টায় অফিস শুরু হতো। ড. শহীদুল্লাহ প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ের আগেই পৌঁছে যেতেন। দেরি করতেন না। একদিন দেরি হলো, একাডেমির পরিচালক সৈয়দ আলী আহসান দাঁড়িয়ে ছিলেন দরজার সামনে। শিক্ষককে দেখে সরে দাঁড়ালেন তিনি। ড. শহীদুল্লাহ কিন্তু নিজেকে ক্ষমা করেননি। নিজের ছাত্রকে মোবারকবাদ জানিয়ে তিনি বলেছিলেন, ‘দ্যাখ, আজ আমার আসতে একটু দেরি হয়ে গেছে।’ খুবই বিব্রতকর অবস্থায় পড়লেন পরিচালক। তিনি বললেন, ‘স্যার, আপনি আমার অপরাধ মাফ করবেন। আপনার জন্য বিলম্বের কোনো প্রশ্ন নেই। আপনি যখন আসা সম্ভব মনে করবেন, তখন আসবেন।’ এই আশ্বাসের পরও ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ কোনোদিন নিজের ইচ্ছেমতো অফিসে আসেননি। তিনি অফিস সময়ে এসেই অফিস করেছেন। কত মানুষ রাষ্ট্রীয় কত খেতাব পাচ্ছিল, তা দেখে একবার ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন। সরদার ফজলুল করিমকে ডেকে বলেছিলেন, ‘দ্যাখ, আমি কিছু পেলাম না।’
এ কথার জবাবে কিছু বলা যায় না।
কিন্তু সরদার বললেন তাঁর আন্তরিক অনুভূতির কথা। বললেন, ‘স্যার, আপনি যে পেলেন না, এটাই কিন্তু আমাদের কাছে ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহর একটা বড় পরিচয়। আর দশজনে যে খেতাব পেয়েছে, সেটা আপনি পাননি।’ এ কথায় আশ্বস্ত হয়েছিলেন এই ভাষাবিদ।
সূত্র: সরদার ফজলুল করিম স্মৃতি সমগ্র-২, পৃষ্ঠা: ১৩-১৫
১৯৪২ সালে ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহকে প্রথম দেখেছিলেন সরদার ফজলুল করিম। এরপর দেখা হয় ১৯৬৩ সালে। সে সময় সরদার ফজলুল করিম যোগ দিয়েছেন বাংলা একাডেমির অনুবাদ বিভাগে। ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ তখন বাংলা একাডেমিতে ‘আঞ্চলিক ভাষার অভিধান’ এবং ‘ইসলামী বিশ্বকোষ’-এর প্রধান সম্পাদক।
ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহর জন্ম ১৮৮৫ সালে। বাংলা একাডেমিতে তখন যাঁরা কাজ করছিলেন, তাঁদের কারও জন্মই ১৯২৫ সালের আগে নয়। সাড়ে নয়টায় অফিস শুরু হতো। ড. শহীদুল্লাহ প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ের আগেই পৌঁছে যেতেন। দেরি করতেন না। একদিন দেরি হলো, একাডেমির পরিচালক সৈয়দ আলী আহসান দাঁড়িয়ে ছিলেন দরজার সামনে। শিক্ষককে দেখে সরে দাঁড়ালেন তিনি। ড. শহীদুল্লাহ কিন্তু নিজেকে ক্ষমা করেননি। নিজের ছাত্রকে মোবারকবাদ জানিয়ে তিনি বলেছিলেন, ‘দ্যাখ, আজ আমার আসতে একটু দেরি হয়ে গেছে।’ খুবই বিব্রতকর অবস্থায় পড়লেন পরিচালক। তিনি বললেন, ‘স্যার, আপনি আমার অপরাধ মাফ করবেন। আপনার জন্য বিলম্বের কোনো প্রশ্ন নেই। আপনি যখন আসা সম্ভব মনে করবেন, তখন আসবেন।’ এই আশ্বাসের পরও ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ কোনোদিন নিজের ইচ্ছেমতো অফিসে আসেননি। তিনি অফিস সময়ে এসেই অফিস করেছেন। কত মানুষ রাষ্ট্রীয় কত খেতাব পাচ্ছিল, তা দেখে একবার ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন। সরদার ফজলুল করিমকে ডেকে বলেছিলেন, ‘দ্যাখ, আমি কিছু পেলাম না।’
এ কথার জবাবে কিছু বলা যায় না।
কিন্তু সরদার বললেন তাঁর আন্তরিক অনুভূতির কথা। বললেন, ‘স্যার, আপনি যে পেলেন না, এটাই কিন্তু আমাদের কাছে ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহর একটা বড় পরিচয়। আর দশজনে যে খেতাব পেয়েছে, সেটা আপনি পাননি।’ এ কথায় আশ্বস্ত হয়েছিলেন এই ভাষাবিদ।
সূত্র: সরদার ফজলুল করিম স্মৃতি সমগ্র-২, পৃষ্ঠা: ১৩-১৫
তারাপদ রায় দুই বাংলার প্রতিষ্ঠিত কবি হলেও তাঁর জন্ম ও শৈশব-কৈশোরের দিনগুলো কেটেছে বাংলাদেশের টাঙ্গাইল শহরে। তিনি ১৯৩৬ সালের ১৭ নভেম্বর টাঙ্গাইল শহরের পূর্ব আদালতপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। বাবা ছিলেন টাঙ্গাইল জজকোর্টের আইনজীবী।
১ দিন আগেআধুনিক আফ্রিকান সাহিত্যের পুরোধা ব্যক্তিত্ব চিনুয়া আচেবের জন্ম ১৯৩০ সালের ১৬ নভেম্বর নাইজেরিয়ার দক্ষিণ-পূর্ব অঞ্চল ওগিদিতে। তিনি ইবাদান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম স্নাতকদের একজন। লেখাপড়া শেষে নাইজেরিয়ান ব্রডকাস্টিং করপোরেশনে রেডিও প্রযোজক ও এক্সটারনাল ব্রডকাস্টিংয়ের পরিচালক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
২ দিন আগেবারী সিদ্দিকী সংগীতজীবনের প্রথম দিকে বংশীবাদক হিসেবে পরিচিত পেলেও পরবর্তী সময়ে তিনি একজন লোকসংগীতশিল্পী হিসেবে খ্যাতি লাভ করেন।
৩ দিন আগেতিনি ছিলেন একজন আদর্শবান শিক্ষক—অজিতকুমার গুহর এটাই সবচেয়ে বড় পরিচয়। নিজের জাগতিক উন্নতিকে কখনো বড় করে দেখেননি তিনি। শিক্ষার্থীদের আদর্শ জীবন উপহার দেওয়াই ছিল তাঁর ব্রত। তিনি সক্রিয় ছিলেন ঢাকার প্রগতিশীল সাহিত্য-সাংস্কৃতিক পরিসরেও। সুবক্তা হিসেবে তাঁর খ্যাতির কমতি ছিল না।
৬ দিন আগে