সম্পাদকীয়
নৃপেন্দ্রকৃষ্ণ চট্টোপাধ্যায় তখন রুশ সাহিত্য নিয়ে মেতে আছেন। পড়েন সিটি কলেজে আইএ, আর পুলে লেনের একটি বাড়িতে মাস্টারি করেন। এর দু-তিন বাড়ি পরেই যতীন্দ্রমোহন বাগচীর বাড়ি। বাগচী-কবির বাড়িতে সে সময় কলকাতার সেরা সান্ধ্য মজলিশ বসত। নৃপেন শুধু ভাবেন এই মজলিশে ঢোকার সুযোগ কি কোনো দিন হবে তাঁর!
একদিন নৃপেনের ছাত্র বলল, ‘বাগচীবাড়িতে আজ “বিদ্রোহী”র কবি নজরুল আসবেন!’ সে কথা শুনে নিজের অলক্ষ্যেই নৃপেন ঢুকে পড়েছেন বাগচীবাড়িতে। নজরুলের গানে ভেসে যাচ্ছে আসর। এরপর পুশকিন, তলস্তয়, গোগল, দস্তয়ভস্কিকে নিয়ে আলোচনা! কেউ কোনো নামে ভুল করলে নৃপেন তা সবিনয়ে সংশোধন করে দিতে লাগলেন। নজরুলের চোখ পড়ল নৃপেনের দিকে।
আসর শেষে ঘর থেকে বের হয়েছেন নৃপেন। পেছন থেকে কে যেন ডাকল তাঁকে। আরে! স্বয়ং নজরুল! সঙ্গে মোসলেম ভারতের কর্ণধার আফজালুল হক।
নজরুল বললেন, ‘আপনার সঙ্গে আলাপ
করতে চাই।’
‘তাহলে আসুন, হাঁটি।’
নৃপেন থাকতেন কলকাতার উপান্তে চিংড়িঘাটায়। গল্প করতে করতে একেবারে চিংড়িঘাটা পর্যন্ত চলে গেলেন নজরুল আর আফজাল। এবার নৃপেন বললেন, ‘আপনারা পথ চিনে ফিরতে পারবেন না। চলুন, এগিয়ে দিই।’ এ কথা বলে নজরুলের আস্তানা কলেজ স্ট্রিট পর্যন্ত চলে এলেন নৃপেন। তখন নজরুল বললেন, ‘চলুন, এবার আপনাকে এগিয়ে দিই। পথ তো চিনে ফেলেছি।’ সেখানেই নজরুল নৃপেনকে বললেন, ধূমকেতু নামে একটি সাপ্তাহিক বের করছেন। নজরুল নৃপেনকে চাইলেন পত্রিকায়। বললেন, ‘আসুন, দেশের ঘুম ভাঙাই, ভয় ভাঙাই।’
নৃপেন উৎসাহিত হয়ে বললেন, ‘শুভ কাজে দেবতার কাছে আশীর্বাদ ভিক্ষা করবেন না?’
নজরুল টেলিগ্রাম করলেন রবীন্দ্রনাথকে। রবীন্দ্রনাথ কবে কাকে প্রত্যাখ্যান করেছেন? ধূমকেতুর জন্য তিনি লিখে দিলেন, ‘আয় চলে আয়রে ধূমকেতু, আঁধারে বাঁধ অগ্নিসেতু...’।
সূত্র: অচিন্ত্যকুমার সেন, কল্লোল যুগ, পৃষ্ঠা ৩৩–৩৫
নৃপেন্দ্রকৃষ্ণ চট্টোপাধ্যায় তখন রুশ সাহিত্য নিয়ে মেতে আছেন। পড়েন সিটি কলেজে আইএ, আর পুলে লেনের একটি বাড়িতে মাস্টারি করেন। এর দু-তিন বাড়ি পরেই যতীন্দ্রমোহন বাগচীর বাড়ি। বাগচী-কবির বাড়িতে সে সময় কলকাতার সেরা সান্ধ্য মজলিশ বসত। নৃপেন শুধু ভাবেন এই মজলিশে ঢোকার সুযোগ কি কোনো দিন হবে তাঁর!
একদিন নৃপেনের ছাত্র বলল, ‘বাগচীবাড়িতে আজ “বিদ্রোহী”র কবি নজরুল আসবেন!’ সে কথা শুনে নিজের অলক্ষ্যেই নৃপেন ঢুকে পড়েছেন বাগচীবাড়িতে। নজরুলের গানে ভেসে যাচ্ছে আসর। এরপর পুশকিন, তলস্তয়, গোগল, দস্তয়ভস্কিকে নিয়ে আলোচনা! কেউ কোনো নামে ভুল করলে নৃপেন তা সবিনয়ে সংশোধন করে দিতে লাগলেন। নজরুলের চোখ পড়ল নৃপেনের দিকে।
আসর শেষে ঘর থেকে বের হয়েছেন নৃপেন। পেছন থেকে কে যেন ডাকল তাঁকে। আরে! স্বয়ং নজরুল! সঙ্গে মোসলেম ভারতের কর্ণধার আফজালুল হক।
নজরুল বললেন, ‘আপনার সঙ্গে আলাপ
করতে চাই।’
‘তাহলে আসুন, হাঁটি।’
নৃপেন থাকতেন কলকাতার উপান্তে চিংড়িঘাটায়। গল্প করতে করতে একেবারে চিংড়িঘাটা পর্যন্ত চলে গেলেন নজরুল আর আফজাল। এবার নৃপেন বললেন, ‘আপনারা পথ চিনে ফিরতে পারবেন না। চলুন, এগিয়ে দিই।’ এ কথা বলে নজরুলের আস্তানা কলেজ স্ট্রিট পর্যন্ত চলে এলেন নৃপেন। তখন নজরুল বললেন, ‘চলুন, এবার আপনাকে এগিয়ে দিই। পথ তো চিনে ফেলেছি।’ সেখানেই নজরুল নৃপেনকে বললেন, ধূমকেতু নামে একটি সাপ্তাহিক বের করছেন। নজরুল নৃপেনকে চাইলেন পত্রিকায়। বললেন, ‘আসুন, দেশের ঘুম ভাঙাই, ভয় ভাঙাই।’
নৃপেন উৎসাহিত হয়ে বললেন, ‘শুভ কাজে দেবতার কাছে আশীর্বাদ ভিক্ষা করবেন না?’
নজরুল টেলিগ্রাম করলেন রবীন্দ্রনাথকে। রবীন্দ্রনাথ কবে কাকে প্রত্যাখ্যান করেছেন? ধূমকেতুর জন্য তিনি লিখে দিলেন, ‘আয় চলে আয়রে ধূমকেতু, আঁধারে বাঁধ অগ্নিসেতু...’।
সূত্র: অচিন্ত্যকুমার সেন, কল্লোল যুগ, পৃষ্ঠা ৩৩–৩৫
তারাপদ রায় দুই বাংলার প্রতিষ্ঠিত কবি হলেও তাঁর জন্ম ও শৈশব-কৈশোরের দিনগুলো কেটেছে বাংলাদেশের টাঙ্গাইল শহরে। তিনি ১৯৩৬ সালের ১৭ নভেম্বর টাঙ্গাইল শহরের পূর্ব আদালতপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। বাবা ছিলেন টাঙ্গাইল জজকোর্টের আইনজীবী।
১৬ ঘণ্টা আগেআধুনিক আফ্রিকান সাহিত্যের পুরোধা ব্যক্তিত্ব চিনুয়া আচেবের জন্ম ১৯৩০ সালের ১৬ নভেম্বর নাইজেরিয়ার দক্ষিণ-পূর্ব অঞ্চল ওগিদিতে। তিনি ইবাদান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম স্নাতকদের একজন। লেখাপড়া শেষে নাইজেরিয়ান ব্রডকাস্টিং করপোরেশনে রেডিও প্রযোজক ও এক্সটারনাল ব্রডকাস্টিংয়ের পরিচালক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
২ দিন আগেবারী সিদ্দিকী সংগীতজীবনের প্রথম দিকে বংশীবাদক হিসেবে পরিচিত পেলেও পরবর্তী সময়ে তিনি একজন লোকসংগীতশিল্পী হিসেবে খ্যাতি লাভ করেন।
৩ দিন আগেতিনি ছিলেন একজন আদর্শবান শিক্ষক—অজিতকুমার গুহর এটাই সবচেয়ে বড় পরিচয়। নিজের জাগতিক উন্নতিকে কখনো বড় করে দেখেননি তিনি। শিক্ষার্থীদের আদর্শ জীবন উপহার দেওয়াই ছিল তাঁর ব্রত। তিনি সক্রিয় ছিলেন ঢাকার প্রগতিশীল সাহিত্য-সাংস্কৃতিক পরিসরেও। সুবক্তা হিসেবে তাঁর খ্যাতির কমতি ছিল না।
৬ দিন আগে