আজকের পত্রিকা ডেস্ক
পার্ল এস বাকের ‘গুড আর্থ’ বইটি কীভাবে পড়েছিলেন, তার বর্ণনা দিয়েছেন সরদার ফজলুল করিম। সে সময় তিনি আইএ পড়েন। ঢাকা কলেজের হোস্টেলে থাকেন। এখন যেটি ফজলুল হক হল, সেটাই তখন ছিল ঢাকা কলেজের হোস্টেল। হিন্দু-মুসলমান ছাত্ররা একসঙ্গে থাকত। একদিকে হিন্দু ছাত্ররা, অন্যদিকে মুসলিম ছাত্ররা।
রাত ১০টার সময় হোস্টেলের সব আলো নিভিয়ে দেওয়ার নির্দেশ ছিল। সারা রাত শুধু বাতি জ্বলত হোস্টেলের তিন দিকের তিন দালানের তিন সিঁড়িঘরে।
কেমন করে ‘গুড আর্থ’ বইটি সরদার ফজলুল করিমের হাতে এসেছিল, তিনি পরে আর মনে করতে পারেননি। তবে সেদিন সন্ধ্যায় পড়তে বসে বইটিতে এতটাই নিমগ্ন হয়ে পড়েন যে, তাঁর কাছে সময়ের আর কোনো মূল্য থাকে না। পুরো মনোযোগ বইয়ের দিকে। বইয়ে বর্ণিত যে দারিদ্র্যের কথা রয়েছে, তা তো শুধু চীনের নয়, বাংলাদেশের সর্বত্রই সেই দারিদ্র্যের চিহ্ন রয়েছে। ফলে বইটিকে খুব আপন মনে হচ্ছিল সরদারের।
চীনের পটভূমিতে লেখা বইটিতে বর্ণনা করা একমুঠো ভাতের জন্য হাহাকার, হাজার হাজার লাশ ইত্যাদি গ্রাস করে ফেলল সরদার ফজলুল করিমকে।
কখন রাত ১০টা পেরিয়ে গেছে, সেটা মনে করতে পারেন না তিনি। আলো নিভে গেলে সিঁড়ির গোড়ায় একটা চেয়ার পেতে বসলেন তিনি। পড়তে লাগলেন বইটি। বিশেষ করে যখন মুখ খুললেন, তখন ‘হোস্টেলের পূর্ব দালানে রেল ইঞ্জিনের শেডের মাথায় সকালবেলাকার সূর্যের লাল রং ছড়িয়ে পড়তে শুরু করেছে’। রাত জেগেছেন, কিন্তু ক্লান্তিবোধ নেই। বইটি শেষ করার পর সরদার ফজলুল করিম বুঝতে পারলেন, তিনি এক নতুন মানুষে পরিণত হয়েছেন।
সূত্র: সরদার ফজলুল করিম স্মৃতি সমগ্র-১, পৃষ্ঠা: ১৭-১৮
পার্ল এস বাকের ‘গুড আর্থ’ বইটি কীভাবে পড়েছিলেন, তার বর্ণনা দিয়েছেন সরদার ফজলুল করিম। সে সময় তিনি আইএ পড়েন। ঢাকা কলেজের হোস্টেলে থাকেন। এখন যেটি ফজলুল হক হল, সেটাই তখন ছিল ঢাকা কলেজের হোস্টেল। হিন্দু-মুসলমান ছাত্ররা একসঙ্গে থাকত। একদিকে হিন্দু ছাত্ররা, অন্যদিকে মুসলিম ছাত্ররা।
রাত ১০টার সময় হোস্টেলের সব আলো নিভিয়ে দেওয়ার নির্দেশ ছিল। সারা রাত শুধু বাতি জ্বলত হোস্টেলের তিন দিকের তিন দালানের তিন সিঁড়িঘরে।
কেমন করে ‘গুড আর্থ’ বইটি সরদার ফজলুল করিমের হাতে এসেছিল, তিনি পরে আর মনে করতে পারেননি। তবে সেদিন সন্ধ্যায় পড়তে বসে বইটিতে এতটাই নিমগ্ন হয়ে পড়েন যে, তাঁর কাছে সময়ের আর কোনো মূল্য থাকে না। পুরো মনোযোগ বইয়ের দিকে। বইয়ে বর্ণিত যে দারিদ্র্যের কথা রয়েছে, তা তো শুধু চীনের নয়, বাংলাদেশের সর্বত্রই সেই দারিদ্র্যের চিহ্ন রয়েছে। ফলে বইটিকে খুব আপন মনে হচ্ছিল সরদারের।
চীনের পটভূমিতে লেখা বইটিতে বর্ণনা করা একমুঠো ভাতের জন্য হাহাকার, হাজার হাজার লাশ ইত্যাদি গ্রাস করে ফেলল সরদার ফজলুল করিমকে।
কখন রাত ১০টা পেরিয়ে গেছে, সেটা মনে করতে পারেন না তিনি। আলো নিভে গেলে সিঁড়ির গোড়ায় একটা চেয়ার পেতে বসলেন তিনি। পড়তে লাগলেন বইটি। বিশেষ করে যখন মুখ খুললেন, তখন ‘হোস্টেলের পূর্ব দালানে রেল ইঞ্জিনের শেডের মাথায় সকালবেলাকার সূর্যের লাল রং ছড়িয়ে পড়তে শুরু করেছে’। রাত জেগেছেন, কিন্তু ক্লান্তিবোধ নেই। বইটি শেষ করার পর সরদার ফজলুল করিম বুঝতে পারলেন, তিনি এক নতুন মানুষে পরিণত হয়েছেন।
সূত্র: সরদার ফজলুল করিম স্মৃতি সমগ্র-১, পৃষ্ঠা: ১৭-১৮
তারাপদ রায় দুই বাংলার প্রতিষ্ঠিত কবি হলেও তাঁর জন্ম ও শৈশব-কৈশোরের দিনগুলো কেটেছে বাংলাদেশের টাঙ্গাইল শহরে। তিনি ১৯৩৬ সালের ১৭ নভেম্বর টাঙ্গাইল শহরের পূর্ব আদালতপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। বাবা ছিলেন টাঙ্গাইল জজকোর্টের আইনজীবী।
১ দিন আগেআধুনিক আফ্রিকান সাহিত্যের পুরোধা ব্যক্তিত্ব চিনুয়া আচেবের জন্ম ১৯৩০ সালের ১৬ নভেম্বর নাইজেরিয়ার দক্ষিণ-পূর্ব অঞ্চল ওগিদিতে। তিনি ইবাদান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম স্নাতকদের একজন। লেখাপড়া শেষে নাইজেরিয়ান ব্রডকাস্টিং করপোরেশনে রেডিও প্রযোজক ও এক্সটারনাল ব্রডকাস্টিংয়ের পরিচালক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
২ দিন আগেবারী সিদ্দিকী সংগীতজীবনের প্রথম দিকে বংশীবাদক হিসেবে পরিচিত পেলেও পরবর্তী সময়ে তিনি একজন লোকসংগীতশিল্পী হিসেবে খ্যাতি লাভ করেন।
৩ দিন আগেতিনি ছিলেন একজন আদর্শবান শিক্ষক—অজিতকুমার গুহর এটাই সবচেয়ে বড় পরিচয়। নিজের জাগতিক উন্নতিকে কখনো বড় করে দেখেননি তিনি। শিক্ষার্থীদের আদর্শ জীবন উপহার দেওয়াই ছিল তাঁর ব্রত। তিনি সক্রিয় ছিলেন ঢাকার প্রগতিশীল সাহিত্য-সাংস্কৃতিক পরিসরেও। সুবক্তা হিসেবে তাঁর খ্যাতির কমতি ছিল না।
৬ দিন আগে