আজকের পত্রিকা ডেস্ক
স্কুলজীবনের কথা। কবিতা লেখার খুব শখ নির্মলেন্দু গুণের। কিন্তু লিখলে ছাপবে কে? বন্ধু মতি বাতলে দেয় পথ। গ্রাহক হতে বলে রংধনু পত্রিকার। ঠিকানা জোগাড় করে দেয়। নির্মলেন্দু গ্রাহক হয়ে যান। তারপর নতুন একটি সংখ্যার জন্য অপেক্ষা করতে থাকেন। কিছুদিনের মধ্যেই চলে আসে নতুন একটি ঝকঝকে পত্রিকা। পত্রিকার শেষের দিকে ছিল আসরের সভ্য হওয়ার কুপন। দ্রুত সেটা পূরণ করে নির্মলেন্দু পাঠিয়ে দেন পত্রিকা বরাবর। তারপর আবার প্রতীক্ষা।
পোস্টাপিসের জানালার শিক ধরে দাঁড়িয়ে থাকেন নির্মলেন্দু। অপেক্ষার পালা শেষ হয় না। তারপর একদিন সত্যিই সব অপেক্ষার অবসান ঘটে। একটি টাটকা পত্রিকা হাতে পান তিনি। সেখানে নতুন সভ্য হিসেবে তাঁর নাম উঠেছে। সভ্য নম্বর ৫২৫।
এরপর রংধনু পত্রিকায় একটা কবিতা ছাপানোর প্রাণান্তকর চেষ্টা চালিয়ে যান নির্মলেন্দু। বারবার তা পাঠাতে থাকেন। বুঝতে পারেন, মনোনীত হচ্ছে না। তার মানে তাঁকে দিয়ে কবিতা লেখা হবে না। কীভাবে কবি হওয়া যায়, তার সহজ পথ খুঁজতে থাকেন তিনি। একটা দুষ্টবুদ্ধি তাঁকে গ্রাস করে নেয়। বাড়ির পুরোনো পত্রিকা খুঁজতে গিয়ে পেয়ে যান একটি কবিতা। কবিতাটি লিখেছেন মধুসূদন দত্ত। তিনিই যে বিখ্যাত কবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত, সেটা বুঝতে পারেননি নির্মলেন্দু। সে কবিতাটি নকল করে তারপর নিচে ‘নির্মলেন্দু গুণ’ লিখে পাঠিয়ে দেন রংধনুর দপ্তরে। তারপর আবার প্রতীক্ষার শুরু।
রংধনুর সম্পাদক তখন মোসলেম উদ্দিন। একদিন সম্পাদকের কাছ থেকে নির্মলেন্দু গুণের কাছে চিঠি এল। চিঠিটা ছিল অনেকটা এই রকম:
স্নেহের নির্মলেন্দু
তুমি রংধনুতে ছাপার জন্য যে কবিতাটি পাঠিয়েছ, তা মাইকেল মধুসূদন দত্তের কবিতা–তুমি নিজের লেখা কবিতা পাঠাও। অন্যের লেখা কবিতা আর পাঠাবে না।
নিচে ছিল সম্পাদকের স্বাক্ষর।
জীবনের শুরুতেই কোনো লেখক সম্পাদকের কাছ থেকে চিঠি পায়? চিঠি পেলে তো গর্ব হওয়ার কথা! কিন্তু নির্মলেন্দুর জীবনে তা লজ্জা ডেকে এনেছিল। সুযোগ বুঝে তিনি তা ছিঁড়ে ফেলে দিয়েছিলেন খালের জলে।
সূত্র: আমার ছেলেবেলা, নির্মলেন্দু গুণ, পৃষ্ঠা ৬৫-৬৬
স্কুলজীবনের কথা। কবিতা লেখার খুব শখ নির্মলেন্দু গুণের। কিন্তু লিখলে ছাপবে কে? বন্ধু মতি বাতলে দেয় পথ। গ্রাহক হতে বলে রংধনু পত্রিকার। ঠিকানা জোগাড় করে দেয়। নির্মলেন্দু গ্রাহক হয়ে যান। তারপর নতুন একটি সংখ্যার জন্য অপেক্ষা করতে থাকেন। কিছুদিনের মধ্যেই চলে আসে নতুন একটি ঝকঝকে পত্রিকা। পত্রিকার শেষের দিকে ছিল আসরের সভ্য হওয়ার কুপন। দ্রুত সেটা পূরণ করে নির্মলেন্দু পাঠিয়ে দেন পত্রিকা বরাবর। তারপর আবার প্রতীক্ষা।
পোস্টাপিসের জানালার শিক ধরে দাঁড়িয়ে থাকেন নির্মলেন্দু। অপেক্ষার পালা শেষ হয় না। তারপর একদিন সত্যিই সব অপেক্ষার অবসান ঘটে। একটি টাটকা পত্রিকা হাতে পান তিনি। সেখানে নতুন সভ্য হিসেবে তাঁর নাম উঠেছে। সভ্য নম্বর ৫২৫।
এরপর রংধনু পত্রিকায় একটা কবিতা ছাপানোর প্রাণান্তকর চেষ্টা চালিয়ে যান নির্মলেন্দু। বারবার তা পাঠাতে থাকেন। বুঝতে পারেন, মনোনীত হচ্ছে না। তার মানে তাঁকে দিয়ে কবিতা লেখা হবে না। কীভাবে কবি হওয়া যায়, তার সহজ পথ খুঁজতে থাকেন তিনি। একটা দুষ্টবুদ্ধি তাঁকে গ্রাস করে নেয়। বাড়ির পুরোনো পত্রিকা খুঁজতে গিয়ে পেয়ে যান একটি কবিতা। কবিতাটি লিখেছেন মধুসূদন দত্ত। তিনিই যে বিখ্যাত কবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত, সেটা বুঝতে পারেননি নির্মলেন্দু। সে কবিতাটি নকল করে তারপর নিচে ‘নির্মলেন্দু গুণ’ লিখে পাঠিয়ে দেন রংধনুর দপ্তরে। তারপর আবার প্রতীক্ষার শুরু।
রংধনুর সম্পাদক তখন মোসলেম উদ্দিন। একদিন সম্পাদকের কাছ থেকে নির্মলেন্দু গুণের কাছে চিঠি এল। চিঠিটা ছিল অনেকটা এই রকম:
স্নেহের নির্মলেন্দু
তুমি রংধনুতে ছাপার জন্য যে কবিতাটি পাঠিয়েছ, তা মাইকেল মধুসূদন দত্তের কবিতা–তুমি নিজের লেখা কবিতা পাঠাও। অন্যের লেখা কবিতা আর পাঠাবে না।
নিচে ছিল সম্পাদকের স্বাক্ষর।
জীবনের শুরুতেই কোনো লেখক সম্পাদকের কাছ থেকে চিঠি পায়? চিঠি পেলে তো গর্ব হওয়ার কথা! কিন্তু নির্মলেন্দুর জীবনে তা লজ্জা ডেকে এনেছিল। সুযোগ বুঝে তিনি তা ছিঁড়ে ফেলে দিয়েছিলেন খালের জলে।
সূত্র: আমার ছেলেবেলা, নির্মলেন্দু গুণ, পৃষ্ঠা ৬৫-৬৬
তারাপদ রায় দুই বাংলার প্রতিষ্ঠিত কবি হলেও তাঁর জন্ম ও শৈশব-কৈশোরের দিনগুলো কেটেছে বাংলাদেশের টাঙ্গাইল শহরে। তিনি ১৯৩৬ সালের ১৭ নভেম্বর টাঙ্গাইল শহরের পূর্ব আদালতপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। বাবা ছিলেন টাঙ্গাইল জজকোর্টের আইনজীবী।
১ দিন আগেআধুনিক আফ্রিকান সাহিত্যের পুরোধা ব্যক্তিত্ব চিনুয়া আচেবের জন্ম ১৯৩০ সালের ১৬ নভেম্বর নাইজেরিয়ার দক্ষিণ-পূর্ব অঞ্চল ওগিদিতে। তিনি ইবাদান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম স্নাতকদের একজন। লেখাপড়া শেষে নাইজেরিয়ান ব্রডকাস্টিং করপোরেশনে রেডিও প্রযোজক ও এক্সটারনাল ব্রডকাস্টিংয়ের পরিচালক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
২ দিন আগেবারী সিদ্দিকী সংগীতজীবনের প্রথম দিকে বংশীবাদক হিসেবে পরিচিত পেলেও পরবর্তী সময়ে তিনি একজন লোকসংগীতশিল্পী হিসেবে খ্যাতি লাভ করেন।
৩ দিন আগেতিনি ছিলেন একজন আদর্শবান শিক্ষক—অজিতকুমার গুহর এটাই সবচেয়ে বড় পরিচয়। নিজের জাগতিক উন্নতিকে কখনো বড় করে দেখেননি তিনি। শিক্ষার্থীদের আদর্শ জীবন উপহার দেওয়াই ছিল তাঁর ব্রত। তিনি সক্রিয় ছিলেন ঢাকার প্রগতিশীল সাহিত্য-সাংস্কৃতিক পরিসরেও। সুবক্তা হিসেবে তাঁর খ্যাতির কমতি ছিল না।
৬ দিন আগে