সম্পাদকীয়
কিছু মানুষ থাকেন, যাঁদের ভেতরে যে আগুনের ফুলকি থাকে, তার প্রকাশ ঘটে শৈশবেই। ইলা মিত্র নামের যে নারী এখন অন্যায়ের বিরুদ্ধে ন্যায্য অধিকার আদায়ের সংগ্রামে অসংখ্য মানুষের কাছে অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে আছেন, তিনিও ছোটবেলা থেকেই ছিলেন ভিন্ন প্রকৃতির। পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধুলায়ও ছিলেন সেরা। ১৫ বছর বয়সে প্রথম বাঙালি মেয়ে হিসেবে অলিম্পিকের জন্য নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি। কলকাতার বেথুন কলেজের ছাত্রী থাকাকালীন নিজেকে সম্পৃক্ত করেন ‘মহিলা আত্মরক্ষা সমিতি’ নামের সংগঠনের সঙ্গে। সেখানে নারীদের অধিকার নিয়ে শুরু হয় তাঁর আন্দোলন এবং খুব দ্রুতই ভারতীয় কমিউনিস্ট পার্টির সক্রিয় কর্মী হয়ে ওঠেন।
১৯৪৫ সালে কমিউনিস্ট রমেন্দ্র (রমেন) মিত্রের সঙ্গে বিবাহের সূত্রে রাজশাহী অঞ্চলের জমিদার পরিবারের পুত্রবধূ হন ইলা মিত্র। মেয়েদের একটি স্কুলে শিক্ষকতার মাধ্যমে এলাকাবাসীর সঙ্গে পরিচিত হন। জড়িয়ে পড়েন ‘তেভাগা আন্দোলনে’। অচিরেই এলাকার কৃষক ও দরিদ্র জনগোষ্ঠীর কাছে তিনি হয়ে ওঠেন তাঁদের ‘রাণীমা’।
তেভাগা আন্দোলন দমনে পাকিস্তানি রাষ্ট্রযন্ত্র মরিয়া হয়ে উঠলে অন্য অনেক নেতার মতো ইলা মিত্রকেও আত্মগোপনে চলে যেতে হয়। ১৯৫০ সালের ৭ জানুয়ারি সাঁওতাল রমণীর ছদ্মবেশে সীমান্ত অতিক্রম করতে গিয়ে ইলা মিত্র ধরা পড়েন পুলিশের হাতে। টানা চার দিন অকথ্য নির্যাতন চলে তাঁর ওপর। বন্দুকের বাঁট দিয়ে মাথায় আঘাত, দুই পায়ের মাঝে লাঠি রেখে চাপ দেওয়া, যৌনাঙ্গে গরম ডিম ঢুকিয়ে দেওয়া, গোড়ালিতে লোহার পেরেক পুঁতে দেওয়া থেকে বাদ যায়নি ধর্ষণও। পুলিশি অত্যাচারে গুরুতর অসুস্থ ইলা মিত্র চিকিৎসার প্রয়োজনে প্যারোলে মুক্তি নিয়ে কলকাতায় চলে যান। আর দেশে ফিরে না এলেও তিনি আমৃত্যু রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের পক্ষে জনমত গড়ে তুলতে ইলা মিত্রের ছিল সক্রিয় ভূমিকা।
প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও টিকে থাকার অদম্য মনোবল ও সংগ্রামী মানসিকতার অধিকারী ইলা মিত্রের জন্ম ১৯২৫ সালের ১৮ অক্টোবর, মারা যান ২০০২ সালের ১৩ অক্টোবর।
কিছু মানুষ থাকেন, যাঁদের ভেতরে যে আগুনের ফুলকি থাকে, তার প্রকাশ ঘটে শৈশবেই। ইলা মিত্র নামের যে নারী এখন অন্যায়ের বিরুদ্ধে ন্যায্য অধিকার আদায়ের সংগ্রামে অসংখ্য মানুষের কাছে অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে আছেন, তিনিও ছোটবেলা থেকেই ছিলেন ভিন্ন প্রকৃতির। পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধুলায়ও ছিলেন সেরা। ১৫ বছর বয়সে প্রথম বাঙালি মেয়ে হিসেবে অলিম্পিকের জন্য নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি। কলকাতার বেথুন কলেজের ছাত্রী থাকাকালীন নিজেকে সম্পৃক্ত করেন ‘মহিলা আত্মরক্ষা সমিতি’ নামের সংগঠনের সঙ্গে। সেখানে নারীদের অধিকার নিয়ে শুরু হয় তাঁর আন্দোলন এবং খুব দ্রুতই ভারতীয় কমিউনিস্ট পার্টির সক্রিয় কর্মী হয়ে ওঠেন।
১৯৪৫ সালে কমিউনিস্ট রমেন্দ্র (রমেন) মিত্রের সঙ্গে বিবাহের সূত্রে রাজশাহী অঞ্চলের জমিদার পরিবারের পুত্রবধূ হন ইলা মিত্র। মেয়েদের একটি স্কুলে শিক্ষকতার মাধ্যমে এলাকাবাসীর সঙ্গে পরিচিত হন। জড়িয়ে পড়েন ‘তেভাগা আন্দোলনে’। অচিরেই এলাকার কৃষক ও দরিদ্র জনগোষ্ঠীর কাছে তিনি হয়ে ওঠেন তাঁদের ‘রাণীমা’।
তেভাগা আন্দোলন দমনে পাকিস্তানি রাষ্ট্রযন্ত্র মরিয়া হয়ে উঠলে অন্য অনেক নেতার মতো ইলা মিত্রকেও আত্মগোপনে চলে যেতে হয়। ১৯৫০ সালের ৭ জানুয়ারি সাঁওতাল রমণীর ছদ্মবেশে সীমান্ত অতিক্রম করতে গিয়ে ইলা মিত্র ধরা পড়েন পুলিশের হাতে। টানা চার দিন অকথ্য নির্যাতন চলে তাঁর ওপর। বন্দুকের বাঁট দিয়ে মাথায় আঘাত, দুই পায়ের মাঝে লাঠি রেখে চাপ দেওয়া, যৌনাঙ্গে গরম ডিম ঢুকিয়ে দেওয়া, গোড়ালিতে লোহার পেরেক পুঁতে দেওয়া থেকে বাদ যায়নি ধর্ষণও। পুলিশি অত্যাচারে গুরুতর অসুস্থ ইলা মিত্র চিকিৎসার প্রয়োজনে প্যারোলে মুক্তি নিয়ে কলকাতায় চলে যান। আর দেশে ফিরে না এলেও তিনি আমৃত্যু রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের পক্ষে জনমত গড়ে তুলতে ইলা মিত্রের ছিল সক্রিয় ভূমিকা।
প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও টিকে থাকার অদম্য মনোবল ও সংগ্রামী মানসিকতার অধিকারী ইলা মিত্রের জন্ম ১৯২৫ সালের ১৮ অক্টোবর, মারা যান ২০০২ সালের ১৩ অক্টোবর।
আধুনিক আফ্রিকান সাহিত্যের পুরোধা ব্যক্তিত্ব চিনুয়া আচেবের জন্ম ১৯৩০ সালের ১৬ নভেম্বর নাইজেরিয়ার দক্ষিণ-পূর্ব অঞ্চল ওগিদিতে। তিনি ইবাদান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম স্নাতকদের একজন। লেখাপড়া শেষে নাইজেরিয়ান ব্রডকাস্টিং করপোরেশনে রেডিও প্রযোজক ও এক্সটারনাল ব্রডকাস্টিংয়ের পরিচালক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
৬ ঘণ্টা আগেবারী সিদ্দিকী সংগীতজীবনের প্রথম দিকে বংশীবাদক হিসেবে পরিচিত পেলেও পরবর্তী সময়ে তিনি একজন লোকসংগীতশিল্পী হিসেবে খ্যাতি লাভ করেন।
১ দিন আগেতিনি ছিলেন একজন আদর্শবান শিক্ষক—অজিতকুমার গুহর এটাই সবচেয়ে বড় পরিচয়। নিজের জাগতিক উন্নতিকে কখনো বড় করে দেখেননি তিনি। শিক্ষার্থীদের আদর্শ জীবন উপহার দেওয়াই ছিল তাঁর ব্রত। তিনি সক্রিয় ছিলেন ঢাকার প্রগতিশীল সাহিত্য-সাংস্কৃতিক পরিসরেও। সুবক্তা হিসেবে তাঁর খ্যাতির কমতি ছিল না।
৪ দিন আগেআব্দুল করিম খাঁ ছিলেন হিন্দুস্তানি ধ্রুপদি সংগীতের অন্যতম কিংবদন্তি। কিরানা ঘরানারও তিনি কিংবদন্তি ছিলেন। তাঁর সম্পর্কে প্রচলিত—তিনি গান গাওয়ার সময় এমনভাবে ধ্যানমগ্ন হয়ে যেতেন যে, শ্রোতারাও সেই সুরের মায়াজালে আচ্ছন্ন হয়ে পড়তেন।
৫ দিন আগে