সম্পাদকীয়
একজন লেখক তাঁর সৃষ্ট চরিত্রদের সঙ্গে উঠছেন, বসছেন, তাঁদের সঙ্গে বাস্তব ব্যবহার করছেন—এ রকম ঘটনা কতগুলো আছে, তা জানা নেই। কিন্তু শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায় যে তাঁর অমর সৃষ্টি ব্যোমকেশকে তাঁর চলন-বলনের মধ্যেই রাখতেন, সেটা জানা শক্ত নয়।
ইদানীং চলচ্চিত্রের কল্যাণে ব্যোমকেশ জনপ্রিয় হয়েছেন। কিন্তু এটাও সত্য, যখন ব্যোমকেশের গোয়েন্দাকাহিনি ছাপা হচ্ছিল, তখনো তা জনপ্রিয় ছিল। যাঁরা ব্যোমকেশের রহস্যকাহিনি পড়েছেন, তাঁরা জানেন যে একটা রহস্য ভেদ করতে গিয়েই সত্যবতীর সঙ্গে দেখা হয়েছিল ব্যোমকেশের। এরপর পরিণয়। বিখ্যাত গোয়েন্দা বা গুপ্তচরদের বিয়ে করতে নেই। শার্লক হোমস, এরকুল পুয়ারো, ফেলুদা, মাসুদ রানা—তাঁরা কেউই বিবাহিত নন। কিন্তু শরদিন্দুর ব্যোমকেশ সত্যবতীর স্বামী এবং তাঁদের পারিবারিক খুনসুটি কিংবা সত্যিকার ঝগড়াও ব্যোমকেশ সিরিজকে ব্যতিক্রমী করে তুলেছে।
ব্যোমকেশের আয় বেশি নয়। সচ্ছল তিনি নন। কলকাতায় যখন ট্যাক্সি পাওয়া কঠিন, তখন পাঠকদের অনেকের মনে হলো, সত্যবতী-ব্যোমকেশের একটা গাড়ি থাকা উচিত। নইলে ট্যাক্সির জন্য দাঁড়িয়ে থাকা কিংবা রিকশায় করে কোথাও যাওয়া—এ ধরনের ঘটনা পাঠককে খুব কষ্ট দিত।
একবার প্রতুলচন্দ্র গুপ্ত শরদিন্দুকে লিখলেন, ‘ওদের (ব্যোমকেশ ও সত্যবতী) নিশ্চয়ই খুব অসুবিধা হচ্ছে। আপনি যখন বাড়ি করে দিয়েছেন, এবার সত্যবতীকে একটা গাড়ি কিনে দিন। আমি দেখেছি, বিয়ের নিমন্ত্রণে যাবে বলে ওরা দুজনে গোলপার্কের কাছে দাঁড়িয়ে আছে। ট্যাক্সি ড্রাইভার অবহেলা করে চলে যাচ্ছে।’
উত্তরে শরদিন্দু লিখলেন, ‘সত্যবতীর ডিমান্ড ক্রমে বেড়ে চলেছে। বাড়ি পেয়েছে, তাতেও তৃপ্তি নেই। এখন গাড়ি চাই। বেচারা ব্যোমকেশ কোথা থেকে পায়, বলুন দেখি! সত্যবতীকে একটা অটোরিকশা কিনে দিলে হয় না? কথাটা বিবেচনা করে দেখবেন।’
প্রতুল বোঝানোর চেষ্টা করলেন, গোয়েন্দার বউ অটোরিকশার মালিক হলে সেটা ভালো দেখায় না। কিন্তু শরদিন্দু তাতে গললেন না। লিখলেন, ‘আমি ব্যোমকেশের হাত দেখেছি। তার বরাতে গাড়ি নেই।’
সূত্র: প্রফুল্ল চন্দ্র গুপ্ত, ব্যোমকেশ সমগ্র
একজন লেখক তাঁর সৃষ্ট চরিত্রদের সঙ্গে উঠছেন, বসছেন, তাঁদের সঙ্গে বাস্তব ব্যবহার করছেন—এ রকম ঘটনা কতগুলো আছে, তা জানা নেই। কিন্তু শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায় যে তাঁর অমর সৃষ্টি ব্যোমকেশকে তাঁর চলন-বলনের মধ্যেই রাখতেন, সেটা জানা শক্ত নয়।
ইদানীং চলচ্চিত্রের কল্যাণে ব্যোমকেশ জনপ্রিয় হয়েছেন। কিন্তু এটাও সত্য, যখন ব্যোমকেশের গোয়েন্দাকাহিনি ছাপা হচ্ছিল, তখনো তা জনপ্রিয় ছিল। যাঁরা ব্যোমকেশের রহস্যকাহিনি পড়েছেন, তাঁরা জানেন যে একটা রহস্য ভেদ করতে গিয়েই সত্যবতীর সঙ্গে দেখা হয়েছিল ব্যোমকেশের। এরপর পরিণয়। বিখ্যাত গোয়েন্দা বা গুপ্তচরদের বিয়ে করতে নেই। শার্লক হোমস, এরকুল পুয়ারো, ফেলুদা, মাসুদ রানা—তাঁরা কেউই বিবাহিত নন। কিন্তু শরদিন্দুর ব্যোমকেশ সত্যবতীর স্বামী এবং তাঁদের পারিবারিক খুনসুটি কিংবা সত্যিকার ঝগড়াও ব্যোমকেশ সিরিজকে ব্যতিক্রমী করে তুলেছে।
ব্যোমকেশের আয় বেশি নয়। সচ্ছল তিনি নন। কলকাতায় যখন ট্যাক্সি পাওয়া কঠিন, তখন পাঠকদের অনেকের মনে হলো, সত্যবতী-ব্যোমকেশের একটা গাড়ি থাকা উচিত। নইলে ট্যাক্সির জন্য দাঁড়িয়ে থাকা কিংবা রিকশায় করে কোথাও যাওয়া—এ ধরনের ঘটনা পাঠককে খুব কষ্ট দিত।
একবার প্রতুলচন্দ্র গুপ্ত শরদিন্দুকে লিখলেন, ‘ওদের (ব্যোমকেশ ও সত্যবতী) নিশ্চয়ই খুব অসুবিধা হচ্ছে। আপনি যখন বাড়ি করে দিয়েছেন, এবার সত্যবতীকে একটা গাড়ি কিনে দিন। আমি দেখেছি, বিয়ের নিমন্ত্রণে যাবে বলে ওরা দুজনে গোলপার্কের কাছে দাঁড়িয়ে আছে। ট্যাক্সি ড্রাইভার অবহেলা করে চলে যাচ্ছে।’
উত্তরে শরদিন্দু লিখলেন, ‘সত্যবতীর ডিমান্ড ক্রমে বেড়ে চলেছে। বাড়ি পেয়েছে, তাতেও তৃপ্তি নেই। এখন গাড়ি চাই। বেচারা ব্যোমকেশ কোথা থেকে পায়, বলুন দেখি! সত্যবতীকে একটা অটোরিকশা কিনে দিলে হয় না? কথাটা বিবেচনা করে দেখবেন।’
প্রতুল বোঝানোর চেষ্টা করলেন, গোয়েন্দার বউ অটোরিকশার মালিক হলে সেটা ভালো দেখায় না। কিন্তু শরদিন্দু তাতে গললেন না। লিখলেন, ‘আমি ব্যোমকেশের হাত দেখেছি। তার বরাতে গাড়ি নেই।’
সূত্র: প্রফুল্ল চন্দ্র গুপ্ত, ব্যোমকেশ সমগ্র
আধুনিক আফ্রিকান সাহিত্যের পুরোধা ব্যক্তিত্ব চিনুয়া আচেবের জন্ম ১৯৩০ সালের ১৬ নভেম্বর নাইজেরিয়ার দক্ষিণ-পূর্ব অঞ্চল ওগিদিতে। তিনি ইবাদান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম স্নাতকদের একজন। লেখাপড়া শেষে নাইজেরিয়ান ব্রডকাস্টিং করপোরেশনে রেডিও প্রযোজক ও এক্সটারনাল ব্রডকাস্টিংয়ের পরিচালক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
২১ ঘণ্টা আগেবারী সিদ্দিকী সংগীতজীবনের প্রথম দিকে বংশীবাদক হিসেবে পরিচিত পেলেও পরবর্তী সময়ে তিনি একজন লোকসংগীতশিল্পী হিসেবে খ্যাতি লাভ করেন।
২ দিন আগেতিনি ছিলেন একজন আদর্শবান শিক্ষক—অজিতকুমার গুহর এটাই সবচেয়ে বড় পরিচয়। নিজের জাগতিক উন্নতিকে কখনো বড় করে দেখেননি তিনি। শিক্ষার্থীদের আদর্শ জীবন উপহার দেওয়াই ছিল তাঁর ব্রত। তিনি সক্রিয় ছিলেন ঢাকার প্রগতিশীল সাহিত্য-সাংস্কৃতিক পরিসরেও। সুবক্তা হিসেবে তাঁর খ্যাতির কমতি ছিল না।
৫ দিন আগেআব্দুল করিম খাঁ ছিলেন হিন্দুস্তানি ধ্রুপদি সংগীতের অন্যতম কিংবদন্তি। কিরানা ঘরানারও তিনি কিংবদন্তি ছিলেন। তাঁর সম্পর্কে প্রচলিত—তিনি গান গাওয়ার সময় এমনভাবে ধ্যানমগ্ন হয়ে যেতেন যে, শ্রোতারাও সেই সুরের মায়াজালে আচ্ছন্ন হয়ে পড়তেন।
৬ দিন আগে