সম্পাদকীয়
বহু বিষয়েই আগ্রহ ছিল কাজী নজরুল ইসলামের। দাবা খেলা তার মধ্যে একটি। ড. কাজী মোতাহার হোসেনের সঙ্গে দাবা খেলতেন সময় পেলেই। ইংরেজি দৈনিক স্টেটসম্যান পত্রিকার দাবার আসরেও দেখা যেত নজরুলকে।
একদিন কবি মঈনুদ্দীন নজরুলের বাড়িতে গিয়ে দেখেন দোতলায় দাবার বোর্ড নিয়ে কবি নাড়াচাড়া করছেন। বিছানা এলোমেলো। চারদিকে সিগারেটের ছাই। শূন্য চায়ের কাপ। বোঝা যায়, আড্ডা ভেঙেছে কিছুক্ষণ আগে। যে যার পথে চলে গেছে। কবি একা।
মঈনুদ্দীন বললেন, ‘কী করছেন? দাবা হয়ে যাবে নাকি একহাত?’
কবি হেসে বললেন, ‘তুই দাবা খেলতে জানিস?’
‘একটু একটু জানি।’
ঘুঁটি সাজিয়ে খেলা শুরু হলো। মাত্র তিন-চার মিনিটের মধ্যে মঈনুদ্দীন কুপোকাত। নজরুল হেসে বললেন, ‘তুই তো দাবা খেলা জানিস না রে!’
দ্বিতীয়বার যখন খেলা শুরু হলো, তখন মঈনুদ্দীন মাত হলেন আরও কম সময়ে। তৃতীয়বার নজরুল শুধু রাজা আর বোড়ে নিয়ে খেললেন, মন্ত্রী, হাতি, ঘোড়া, নৌকা সব বাদ। এবং এবারও মঈনুদ্দীনকে হারিয়ে দিলেন। তারপর জিজ্ঞেস করলেন, ‘তুই দাবা খেলার কিছুই জানিস না, তার পরও খেলার সাহস করলি কেন?’
মঈনুদ্দীন জবাবে বললেন, ‘আমি ইউসুফ (রা.)-এর কিস্সাটা বলি। মিসরের বাজারে যখন তাঁকে বিক্রি করতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, তখন হাজার হাজার লোক উটের পিঠে আশরাফি বোঝাই করে তাঁকে কিনতে আসছিল। সেখানে এক বুড়ি দু-এক টাকা নিয়ে এসেছিল।
লোকেরা বলছিল, ‘বুড়ি, দুই-এক টাকা নিয়ে কোন সাহসে এসেছিস?’
বুড়ি বলল, ‘কিনতে না পারি, হজরত ইউসুফের ক্রেতার দলে আমার নাম তো থাকবে!’
এই গল্পটি বলে মঈনুদ্দীন নজরুলকে বললেন, ‘আমিও ওই বুড়ির মতো বলতে পারব, বিখ্যাত দাবাড়ু নজরুল ইসলামের সঙ্গে আমিও দাবা খেলেছি।’
ঘর ফাটিয়ে হাসলেন নজরুল এবং মঈনুদ্দীনের পিঠে বসিয়ে দিলেন দশাসই এক থাপ্পড়!
সূত্র: আহমাদ কাফিল, নজরুলসখা মঈনুদ্দীন, পৃষ্ঠা ১৩৩
বহু বিষয়েই আগ্রহ ছিল কাজী নজরুল ইসলামের। দাবা খেলা তার মধ্যে একটি। ড. কাজী মোতাহার হোসেনের সঙ্গে দাবা খেলতেন সময় পেলেই। ইংরেজি দৈনিক স্টেটসম্যান পত্রিকার দাবার আসরেও দেখা যেত নজরুলকে।
একদিন কবি মঈনুদ্দীন নজরুলের বাড়িতে গিয়ে দেখেন দোতলায় দাবার বোর্ড নিয়ে কবি নাড়াচাড়া করছেন। বিছানা এলোমেলো। চারদিকে সিগারেটের ছাই। শূন্য চায়ের কাপ। বোঝা যায়, আড্ডা ভেঙেছে কিছুক্ষণ আগে। যে যার পথে চলে গেছে। কবি একা।
মঈনুদ্দীন বললেন, ‘কী করছেন? দাবা হয়ে যাবে নাকি একহাত?’
কবি হেসে বললেন, ‘তুই দাবা খেলতে জানিস?’
‘একটু একটু জানি।’
ঘুঁটি সাজিয়ে খেলা শুরু হলো। মাত্র তিন-চার মিনিটের মধ্যে মঈনুদ্দীন কুপোকাত। নজরুল হেসে বললেন, ‘তুই তো দাবা খেলা জানিস না রে!’
দ্বিতীয়বার যখন খেলা শুরু হলো, তখন মঈনুদ্দীন মাত হলেন আরও কম সময়ে। তৃতীয়বার নজরুল শুধু রাজা আর বোড়ে নিয়ে খেললেন, মন্ত্রী, হাতি, ঘোড়া, নৌকা সব বাদ। এবং এবারও মঈনুদ্দীনকে হারিয়ে দিলেন। তারপর জিজ্ঞেস করলেন, ‘তুই দাবা খেলার কিছুই জানিস না, তার পরও খেলার সাহস করলি কেন?’
মঈনুদ্দীন জবাবে বললেন, ‘আমি ইউসুফ (রা.)-এর কিস্সাটা বলি। মিসরের বাজারে যখন তাঁকে বিক্রি করতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, তখন হাজার হাজার লোক উটের পিঠে আশরাফি বোঝাই করে তাঁকে কিনতে আসছিল। সেখানে এক বুড়ি দু-এক টাকা নিয়ে এসেছিল।
লোকেরা বলছিল, ‘বুড়ি, দুই-এক টাকা নিয়ে কোন সাহসে এসেছিস?’
বুড়ি বলল, ‘কিনতে না পারি, হজরত ইউসুফের ক্রেতার দলে আমার নাম তো থাকবে!’
এই গল্পটি বলে মঈনুদ্দীন নজরুলকে বললেন, ‘আমিও ওই বুড়ির মতো বলতে পারব, বিখ্যাত দাবাড়ু নজরুল ইসলামের সঙ্গে আমিও দাবা খেলেছি।’
ঘর ফাটিয়ে হাসলেন নজরুল এবং মঈনুদ্দীনের পিঠে বসিয়ে দিলেন দশাসই এক থাপ্পড়!
সূত্র: আহমাদ কাফিল, নজরুলসখা মঈনুদ্দীন, পৃষ্ঠা ১৩৩
আধুনিক আফ্রিকান সাহিত্যের পুরোধা ব্যক্তিত্ব চিনুয়া আচেবের জন্ম ১৯৩০ সালের ১৬ নভেম্বর নাইজেরিয়ার দক্ষিণ-পূর্ব অঞ্চল ওগিদিতে। তিনি ইবাদান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম স্নাতকদের একজন। লেখাপড়া শেষে নাইজেরিয়ান ব্রডকাস্টিং করপোরেশনে রেডিও প্রযোজক ও এক্সটারনাল ব্রডকাস্টিংয়ের পরিচালক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
১৭ ঘণ্টা আগেবারী সিদ্দিকী সংগীতজীবনের প্রথম দিকে বংশীবাদক হিসেবে পরিচিত পেলেও পরবর্তী সময়ে তিনি একজন লোকসংগীতশিল্পী হিসেবে খ্যাতি লাভ করেন।
২ দিন আগেতিনি ছিলেন একজন আদর্শবান শিক্ষক—অজিতকুমার গুহর এটাই সবচেয়ে বড় পরিচয়। নিজের জাগতিক উন্নতিকে কখনো বড় করে দেখেননি তিনি। শিক্ষার্থীদের আদর্শ জীবন উপহার দেওয়াই ছিল তাঁর ব্রত। তিনি সক্রিয় ছিলেন ঢাকার প্রগতিশীল সাহিত্য-সাংস্কৃতিক পরিসরেও। সুবক্তা হিসেবে তাঁর খ্যাতির কমতি ছিল না।
৫ দিন আগেআব্দুল করিম খাঁ ছিলেন হিন্দুস্তানি ধ্রুপদি সংগীতের অন্যতম কিংবদন্তি। কিরানা ঘরানারও তিনি কিংবদন্তি ছিলেন। তাঁর সম্পর্কে প্রচলিত—তিনি গান গাওয়ার সময় এমনভাবে ধ্যানমগ্ন হয়ে যেতেন যে, শ্রোতারাও সেই সুরের মায়াজালে আচ্ছন্ন হয়ে পড়তেন।
৬ দিন আগে