সম্পাদকীয়
আগাথা মেরি ক্লারিসা মিলার বললে কেউ তাঁকে চিনবেন না। বলতে হবে আগাথা ক্রিস্টি। ক্রিস্টি নামটা এসেছিল স্বামীর পদবি থেকে। ২২ বছর বয়সে এক পার্টিতে আর্চিব্যল ক্রিস্টির সঙ্গে পরিচয় হয় আগাথার। তাঁকে বিয়ে করেন তিনি। ১৯১৯ সালে তাঁদের সংসারে আসে কন্যা রোজালিন্ডা। লেখালেখিতেও ততদিনে নাম করেছেন আগাথা, তাই জীবনটা চলে যাবে মসৃণভাবে—এটাই ভেবেছিলেন।
ক্রিস্টি সাহেবের মন তত দিনে একটু একটু করে বদলে গেছে। ১৯২৬ সালে জানা গেল তিনি প্রেমে পড়েছেন, আগাথার সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ করতে চান।
এ রকম সংবাদে অন্য মেয়েরা কী করে? কাঁদে, হা-হুতাশ করে, স্বামীর মাথায় রান্নার প্যান দিয়ে আঘাত করে কিংবা চলে যায় মায়ের বাড়ি। গোয়েন্দা পুয়ারো আর মিস মার্পলের জন্মদাত্রী আগাথা কিন্তু ধরলেন অন্য পথ।
নিজের দুই আসনের মরিস গাড়িটায় চড়ে বসলেন। অজানার উদ্দেশে বেরিয়ে পড়লেন। পরদিন ভোরে সেই মরিসকে দেখা গেল সাইলেন্ট-পুল হ্রদের পাশে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। গাড়ির আসনে আগাথার ওভারকোট আর স্যুটকেস।
সাড়া পড়ে গেল পুলিশ বিভাগে। ক্রিস্টি সাহেব তো হতবাক! পুলিশ তাঁকে সন্দেহের চোখে দেখতে লাগল। প্রাইভেট ডিটেকটিভরাও তদন্তে নেমে গেল। হ্রদের পানিতে ফেলা হলো জাল। কিন্তু আগাথার কোনো চিহ্ন পাওয়া গেল না।
এ সময় পুলিশের কাছে খবর এল, হ্যারোগেট শহরের একটি হোটেলে মিস নেলি নামে আগাথার মতো দেখতে এক নারী উঠেছেন। তিনি নাকি এসেছেন কেপটাউন থেকে। পুলিশের গোয়েন্দারা ছুটল সেই শহরের দিকে। ছদ্মবেশে মিস নেলিকে অনুসরণ করতে লাগল, কিন্তু কাছে-ধারে গেল না। ডেইলি নিউজ পত্রিকার রিপোর্টার এসবের ধার ধারলেন না। সোজা হোটেলে গিয়ে মিস নেলির ঘরের দরজায় দিলেন ধাক্কা। দরজা খুললে জিজ্ঞেস করলেন, ‘আগাথা ক্রিস্টি?’
আগাথা বুঝলেন, আর লুকিয়ে থেকে লাভ নেই। স্বামী যে আঘাত করেছিলেন আগাথাকে, তার কষ্টটা স্বামীকে ফিরিয়ে দিতে পেরেছেন বুঝে ফিরে এসেই ক্রিস্টিকে ডিভোর্স দিলেন।
সূত্র: আইফাক্ত ডট রু
আগাথা মেরি ক্লারিসা মিলার বললে কেউ তাঁকে চিনবেন না। বলতে হবে আগাথা ক্রিস্টি। ক্রিস্টি নামটা এসেছিল স্বামীর পদবি থেকে। ২২ বছর বয়সে এক পার্টিতে আর্চিব্যল ক্রিস্টির সঙ্গে পরিচয় হয় আগাথার। তাঁকে বিয়ে করেন তিনি। ১৯১৯ সালে তাঁদের সংসারে আসে কন্যা রোজালিন্ডা। লেখালেখিতেও ততদিনে নাম করেছেন আগাথা, তাই জীবনটা চলে যাবে মসৃণভাবে—এটাই ভেবেছিলেন।
ক্রিস্টি সাহেবের মন তত দিনে একটু একটু করে বদলে গেছে। ১৯২৬ সালে জানা গেল তিনি প্রেমে পড়েছেন, আগাথার সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ করতে চান।
এ রকম সংবাদে অন্য মেয়েরা কী করে? কাঁদে, হা-হুতাশ করে, স্বামীর মাথায় রান্নার প্যান দিয়ে আঘাত করে কিংবা চলে যায় মায়ের বাড়ি। গোয়েন্দা পুয়ারো আর মিস মার্পলের জন্মদাত্রী আগাথা কিন্তু ধরলেন অন্য পথ।
নিজের দুই আসনের মরিস গাড়িটায় চড়ে বসলেন। অজানার উদ্দেশে বেরিয়ে পড়লেন। পরদিন ভোরে সেই মরিসকে দেখা গেল সাইলেন্ট-পুল হ্রদের পাশে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। গাড়ির আসনে আগাথার ওভারকোট আর স্যুটকেস।
সাড়া পড়ে গেল পুলিশ বিভাগে। ক্রিস্টি সাহেব তো হতবাক! পুলিশ তাঁকে সন্দেহের চোখে দেখতে লাগল। প্রাইভেট ডিটেকটিভরাও তদন্তে নেমে গেল। হ্রদের পানিতে ফেলা হলো জাল। কিন্তু আগাথার কোনো চিহ্ন পাওয়া গেল না।
এ সময় পুলিশের কাছে খবর এল, হ্যারোগেট শহরের একটি হোটেলে মিস নেলি নামে আগাথার মতো দেখতে এক নারী উঠেছেন। তিনি নাকি এসেছেন কেপটাউন থেকে। পুলিশের গোয়েন্দারা ছুটল সেই শহরের দিকে। ছদ্মবেশে মিস নেলিকে অনুসরণ করতে লাগল, কিন্তু কাছে-ধারে গেল না। ডেইলি নিউজ পত্রিকার রিপোর্টার এসবের ধার ধারলেন না। সোজা হোটেলে গিয়ে মিস নেলির ঘরের দরজায় দিলেন ধাক্কা। দরজা খুললে জিজ্ঞেস করলেন, ‘আগাথা ক্রিস্টি?’
আগাথা বুঝলেন, আর লুকিয়ে থেকে লাভ নেই। স্বামী যে আঘাত করেছিলেন আগাথাকে, তার কষ্টটা স্বামীকে ফিরিয়ে দিতে পেরেছেন বুঝে ফিরে এসেই ক্রিস্টিকে ডিভোর্স দিলেন।
সূত্র: আইফাক্ত ডট রু
আধুনিক আফ্রিকান সাহিত্যের পুরোধা ব্যক্তিত্ব চিনুয়া আচেবের জন্ম ১৯৩০ সালের ১৬ নভেম্বর নাইজেরিয়ার দক্ষিণ-পূর্ব অঞ্চল ওগিদিতে। তিনি ইবাদান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম স্নাতকদের একজন। লেখাপড়া শেষে নাইজেরিয়ান ব্রডকাস্টিং করপোরেশনে রেডিও প্রযোজক ও এক্সটারনাল ব্রডকাস্টিংয়ের পরিচালক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
১৯ ঘণ্টা আগেবারী সিদ্দিকী সংগীতজীবনের প্রথম দিকে বংশীবাদক হিসেবে পরিচিত পেলেও পরবর্তী সময়ে তিনি একজন লোকসংগীতশিল্পী হিসেবে খ্যাতি লাভ করেন।
২ দিন আগেতিনি ছিলেন একজন আদর্শবান শিক্ষক—অজিতকুমার গুহর এটাই সবচেয়ে বড় পরিচয়। নিজের জাগতিক উন্নতিকে কখনো বড় করে দেখেননি তিনি। শিক্ষার্থীদের আদর্শ জীবন উপহার দেওয়াই ছিল তাঁর ব্রত। তিনি সক্রিয় ছিলেন ঢাকার প্রগতিশীল সাহিত্য-সাংস্কৃতিক পরিসরেও। সুবক্তা হিসেবে তাঁর খ্যাতির কমতি ছিল না।
৫ দিন আগেআব্দুল করিম খাঁ ছিলেন হিন্দুস্তানি ধ্রুপদি সংগীতের অন্যতম কিংবদন্তি। কিরানা ঘরানারও তিনি কিংবদন্তি ছিলেন। তাঁর সম্পর্কে প্রচলিত—তিনি গান গাওয়ার সময় এমনভাবে ধ্যানমগ্ন হয়ে যেতেন যে, শ্রোতারাও সেই সুরের মায়াজালে আচ্ছন্ন হয়ে পড়তেন।
৬ দিন আগে