আজকের পত্রিকা ডেস্ক
মামুন মাহমুদের কথা অনেকেই জানেন না। তিনি ছিলেন শামসুন নাহার মাহমুদের বড় ছেলে। অনেকেরই মনে পড়ে যাবে, হবীবুল্লাহ বাহার ও শামসুন নাহারকে নিয়ে কবি নজরুল ইসলাম লিখেছিলেন কবিতা, তার প্রথম দুই পঙ্ক্তি ছিল:
‘কে তোমাদের ভালো?
বাহার আনে গুলশানে গুল, নাহার আনে আলো।’
মামুন মাহমুদ ৫ বছর ৬ মাস বয়সে একটা চিঠি লিখেছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে। তিনি তত দিনে রবীন্দ্রনাথের সহজপাঠ পড়ে ফেলেছেন। এ বই পড়েই রবীন্দ্রনাথকে চিঠি লেখার ইচ্ছে হয়েছিল তাঁর। ১৯৩৪ সালের ১০ আগস্ট মামুন লিখেছিলেন:
কবি,
আমি একটা ছোট ছেলে। বয়স সাড়ে পাঁচ। আমার মা ও বাবা ‘বুলবুল’ সম্পাদক। আমি তোমার ‘সহজপাঠ’ পড়েছি। বড় হলে তোমার সব বই পড়ব। তুমি নাকি ছোটদের খুব ভালোবাস? তাহলে আমার চিঠির জবাব দিও। আমি আর একটু বড় হলে শান্তিনিকেতনে তোমায় দেখতে আসব।
ইতি
মামুন মাহমুদ
১৭ আগস্টেই এ চিঠির জবাব দিয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথ। লিখেছিলেন:
বৎস
তুমি যখন আমার সহজপাঠ পড়েছ, তখন বিনা পরিচয়েই আমার সঙ্গে তোমার জানাশোনা হয়ে গেছে। তাই এখন থেকেই তোমাকে নিমন্ত্রণ করে রাখছি, বয়স হলে শান্তিনিকেতনে আমার সঙ্গে দেখা করতে এসো–হয়তো দেখা হতেও পারে–খুব শীঘ্র করে যদি বড় হতে পারো, তাহলে সাক্ষাৎ অসম্ভব হবে না। তাই বলছি খুব তাড়া করো। ইতি ১৭ আগস্ট, ১৯৩৪
শুভার্থী
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
মামুন খুব ভালো ছাত্র ছিলেন। ১৯৪২ সালে তিনি প্রবেশিকা এবং ১৯৪৪ সালে আইএ পাস করেন। এরপর ১৯৪৬ সালে বিএ ডিগ্রি পান আলিগড় কলেজ থেকে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএ করেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগে। ভাষা-আন্দোলনে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন। পাকিস্তান পুলিশ সার্ভিসে ডিআইজি পদে ছিলেন। স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রতি সহানুভূতি ও সমর্থন থাকায় মুক্তিযুদ্ধের সূচনায় ২৬ মার্চ তাঁর রাজশাহীর সরকারি বাসভবন থেকে পাকিস্তানি বাহিনীর এক ক্যাপ্টেন তাঁকে ডেকে নিয়ে যান। এরপর তিনি আর ফিরে আসেননি।
সূত্র: সেলিনা বাহার জামান, কয়েক ছত্র প্রাণের পত্র, পৃষ্ঠা: ৪৭-৪৮
মামুন মাহমুদের কথা অনেকেই জানেন না। তিনি ছিলেন শামসুন নাহার মাহমুদের বড় ছেলে। অনেকেরই মনে পড়ে যাবে, হবীবুল্লাহ বাহার ও শামসুন নাহারকে নিয়ে কবি নজরুল ইসলাম লিখেছিলেন কবিতা, তার প্রথম দুই পঙ্ক্তি ছিল:
‘কে তোমাদের ভালো?
বাহার আনে গুলশানে গুল, নাহার আনে আলো।’
মামুন মাহমুদ ৫ বছর ৬ মাস বয়সে একটা চিঠি লিখেছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে। তিনি তত দিনে রবীন্দ্রনাথের সহজপাঠ পড়ে ফেলেছেন। এ বই পড়েই রবীন্দ্রনাথকে চিঠি লেখার ইচ্ছে হয়েছিল তাঁর। ১৯৩৪ সালের ১০ আগস্ট মামুন লিখেছিলেন:
কবি,
আমি একটা ছোট ছেলে। বয়স সাড়ে পাঁচ। আমার মা ও বাবা ‘বুলবুল’ সম্পাদক। আমি তোমার ‘সহজপাঠ’ পড়েছি। বড় হলে তোমার সব বই পড়ব। তুমি নাকি ছোটদের খুব ভালোবাস? তাহলে আমার চিঠির জবাব দিও। আমি আর একটু বড় হলে শান্তিনিকেতনে তোমায় দেখতে আসব।
ইতি
মামুন মাহমুদ
১৭ আগস্টেই এ চিঠির জবাব দিয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথ। লিখেছিলেন:
বৎস
তুমি যখন আমার সহজপাঠ পড়েছ, তখন বিনা পরিচয়েই আমার সঙ্গে তোমার জানাশোনা হয়ে গেছে। তাই এখন থেকেই তোমাকে নিমন্ত্রণ করে রাখছি, বয়স হলে শান্তিনিকেতনে আমার সঙ্গে দেখা করতে এসো–হয়তো দেখা হতেও পারে–খুব শীঘ্র করে যদি বড় হতে পারো, তাহলে সাক্ষাৎ অসম্ভব হবে না। তাই বলছি খুব তাড়া করো। ইতি ১৭ আগস্ট, ১৯৩৪
শুভার্থী
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
মামুন খুব ভালো ছাত্র ছিলেন। ১৯৪২ সালে তিনি প্রবেশিকা এবং ১৯৪৪ সালে আইএ পাস করেন। এরপর ১৯৪৬ সালে বিএ ডিগ্রি পান আলিগড় কলেজ থেকে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএ করেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগে। ভাষা-আন্দোলনে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন। পাকিস্তান পুলিশ সার্ভিসে ডিআইজি পদে ছিলেন। স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রতি সহানুভূতি ও সমর্থন থাকায় মুক্তিযুদ্ধের সূচনায় ২৬ মার্চ তাঁর রাজশাহীর সরকারি বাসভবন থেকে পাকিস্তানি বাহিনীর এক ক্যাপ্টেন তাঁকে ডেকে নিয়ে যান। এরপর তিনি আর ফিরে আসেননি।
সূত্র: সেলিনা বাহার জামান, কয়েক ছত্র প্রাণের পত্র, পৃষ্ঠা: ৪৭-৪৮
তারাপদ রায় দুই বাংলার প্রতিষ্ঠিত কবি হলেও তাঁর জন্ম ও শৈশব-কৈশোরের দিনগুলো কেটেছে বাংলাদেশের টাঙ্গাইল শহরে। তিনি ১৯৩৬ সালের ১৭ নভেম্বর টাঙ্গাইল শহরের পূর্ব আদালতপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। বাবা ছিলেন টাঙ্গাইল জজকোর্টের আইনজীবী।
১ দিন আগেআধুনিক আফ্রিকান সাহিত্যের পুরোধা ব্যক্তিত্ব চিনুয়া আচেবের জন্ম ১৯৩০ সালের ১৬ নভেম্বর নাইজেরিয়ার দক্ষিণ-পূর্ব অঞ্চল ওগিদিতে। তিনি ইবাদান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম স্নাতকদের একজন। লেখাপড়া শেষে নাইজেরিয়ান ব্রডকাস্টিং করপোরেশনে রেডিও প্রযোজক ও এক্সটারনাল ব্রডকাস্টিংয়ের পরিচালক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
২ দিন আগেবারী সিদ্দিকী সংগীতজীবনের প্রথম দিকে বংশীবাদক হিসেবে পরিচিত পেলেও পরবর্তী সময়ে তিনি একজন লোকসংগীতশিল্পী হিসেবে খ্যাতি লাভ করেন।
৩ দিন আগেতিনি ছিলেন একজন আদর্শবান শিক্ষক—অজিতকুমার গুহর এটাই সবচেয়ে বড় পরিচয়। নিজের জাগতিক উন্নতিকে কখনো বড় করে দেখেননি তিনি। শিক্ষার্থীদের আদর্শ জীবন উপহার দেওয়াই ছিল তাঁর ব্রত। তিনি সক্রিয় ছিলেন ঢাকার প্রগতিশীল সাহিত্য-সাংস্কৃতিক পরিসরেও। সুবক্তা হিসেবে তাঁর খ্যাতির কমতি ছিল না।
৬ দিন আগে