সম্পাদকীয়
১৯৬০ সাল। ‘অপুর সংসার’ মুক্তি পেয়েছে এক বছর হলো। সত্যজিতের প্রথম দুই ছবি ‘পথের পাঁচালী’ আর ‘অপরাজিত’ দর্শক মন জয় করতে পারেনি। মানুষ সিনেমা হলে যায়নি। কিন্তু ‘অপুর সংসার’ মুক্তি পেতেই হল ভেঙে পড়ল দর্শকে। এই ছবিতে নায়ক-নায়িকা দুজনেই নবাগত। শর্মিলা ঠাকুর আর সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় দুজনেই ডেব্যু ফিল্মে করলেন অসাধারণ অভিনয়।
সেটা উত্তমময় সময়। উত্তমের রোমান্টিক অভিনয়ে বাংলা সিনেমা দর্শক পাচ্ছে। সেই সময়েই দীপার সঙ্গে বিয়ে হয়ে গেল সৌমিত্রের। তবে জানা দরকার পরিচয়পর্বটির কথা। দীপা ছিলেন সৌমিত্রের বোন খুকুর বন্ধু। ফোনেই প্রথম আলাপ। কণ্ঠ শোনার পর থেকেই প্রেম। মাঝে মাঝে দীপা ফোন করতেন, সৌমিত্র অনেকক্ষণ কথা বলে তার পরই দিতেন খুকুকে। কখনো কথা এত প্রলম্বিত হতো যে, খুকুকে আর দেওয়াই হতো না ফোনটা। সে রকমই এক সময়ে তাদের দেখা হয় ব্যারাকপুরের ধোবীঘাটে। তখনো দীপা স্কুলের ছাত্রী, ফ্রক ছাড়েননি। সৌমিত্র কলেজে। সদ্য শাড়ি পরা শিখেছেন দীপা। সে রকম জবুথবু হয়ে দুরু দুরু বুকে এসে হাজির হয়েছেন গঙ্গার তীরে। সৌমিত্র দীপার হাত ধরে বলেছিলেন, ‘তুমি কিন্তু আমাকে ছাড়া কাউকে বিয়ে কোরো না।’ টেলিফোন আলাপে অবশ্য তত দিনে সৌমিত্র জেনে গেছেন, বিএ পাস না করা পর্যন্ত বাবা-মা দীপাকে বিয়ে দেবেন না। তার পরও তাঁর ভয় কাটত না।
প্রেমপর্ব শেষে সৌমিত্র যখন রেডিওতে অ্যানাউন্সার হিসেবে কাজ করছেন, তখন দুই বাড়িতেই বেজেছিল সানাই। সৌমিত্র তখনো তারকা শিল্পী নন। বিয়ের দিন দীপা পরলেন আগুন রঙের বেনারসি। বাসররাতে কনে-বর দুজনেই গেয়েছিলেন গান। এ যেন গানে-আড্ডায় নতুন জীবনের মহরত। দীপা গেয়েছিলেন, ‘আমি তোমার সঙ্গে বেঁধেছি আমার প্রাণ’। আর সৌমিত্র গেয়েছিলেন, ‘ভালোবেসে সখী নিভৃতে যতনে আমার নামটি লিখো’।
ষাট বছর টিকেছিল এই সংসার। সৌমিত্র করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়ার আগপর্যন্ত তাঁদের মধ্যে ছাড়াছাড়ি হয়নি কখনো।
সূত্র: চণ্ডী মুখোপাধ্যায়, সৌমিত্র, পৃষ্ঠা ৫৪-৫৬
১৯৬০ সাল। ‘অপুর সংসার’ মুক্তি পেয়েছে এক বছর হলো। সত্যজিতের প্রথম দুই ছবি ‘পথের পাঁচালী’ আর ‘অপরাজিত’ দর্শক মন জয় করতে পারেনি। মানুষ সিনেমা হলে যায়নি। কিন্তু ‘অপুর সংসার’ মুক্তি পেতেই হল ভেঙে পড়ল দর্শকে। এই ছবিতে নায়ক-নায়িকা দুজনেই নবাগত। শর্মিলা ঠাকুর আর সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় দুজনেই ডেব্যু ফিল্মে করলেন অসাধারণ অভিনয়।
সেটা উত্তমময় সময়। উত্তমের রোমান্টিক অভিনয়ে বাংলা সিনেমা দর্শক পাচ্ছে। সেই সময়েই দীপার সঙ্গে বিয়ে হয়ে গেল সৌমিত্রের। তবে জানা দরকার পরিচয়পর্বটির কথা। দীপা ছিলেন সৌমিত্রের বোন খুকুর বন্ধু। ফোনেই প্রথম আলাপ। কণ্ঠ শোনার পর থেকেই প্রেম। মাঝে মাঝে দীপা ফোন করতেন, সৌমিত্র অনেকক্ষণ কথা বলে তার পরই দিতেন খুকুকে। কখনো কথা এত প্রলম্বিত হতো যে, খুকুকে আর দেওয়াই হতো না ফোনটা। সে রকমই এক সময়ে তাদের দেখা হয় ব্যারাকপুরের ধোবীঘাটে। তখনো দীপা স্কুলের ছাত্রী, ফ্রক ছাড়েননি। সৌমিত্র কলেজে। সদ্য শাড়ি পরা শিখেছেন দীপা। সে রকম জবুথবু হয়ে দুরু দুরু বুকে এসে হাজির হয়েছেন গঙ্গার তীরে। সৌমিত্র দীপার হাত ধরে বলেছিলেন, ‘তুমি কিন্তু আমাকে ছাড়া কাউকে বিয়ে কোরো না।’ টেলিফোন আলাপে অবশ্য তত দিনে সৌমিত্র জেনে গেছেন, বিএ পাস না করা পর্যন্ত বাবা-মা দীপাকে বিয়ে দেবেন না। তার পরও তাঁর ভয় কাটত না।
প্রেমপর্ব শেষে সৌমিত্র যখন রেডিওতে অ্যানাউন্সার হিসেবে কাজ করছেন, তখন দুই বাড়িতেই বেজেছিল সানাই। সৌমিত্র তখনো তারকা শিল্পী নন। বিয়ের দিন দীপা পরলেন আগুন রঙের বেনারসি। বাসররাতে কনে-বর দুজনেই গেয়েছিলেন গান। এ যেন গানে-আড্ডায় নতুন জীবনের মহরত। দীপা গেয়েছিলেন, ‘আমি তোমার সঙ্গে বেঁধেছি আমার প্রাণ’। আর সৌমিত্র গেয়েছিলেন, ‘ভালোবেসে সখী নিভৃতে যতনে আমার নামটি লিখো’।
ষাট বছর টিকেছিল এই সংসার। সৌমিত্র করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়ার আগপর্যন্ত তাঁদের মধ্যে ছাড়াছাড়ি হয়নি কখনো।
সূত্র: চণ্ডী মুখোপাধ্যায়, সৌমিত্র, পৃষ্ঠা ৫৪-৫৬
আধুনিক আফ্রিকান সাহিত্যের পুরোধা ব্যক্তিত্ব চিনুয়া আচেবের জন্ম ১৯৩০ সালের ১৬ নভেম্বর নাইজেরিয়ার দক্ষিণ-পূর্ব অঞ্চল ওগিদিতে। তিনি ইবাদান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম স্নাতকদের একজন। লেখাপড়া শেষে নাইজেরিয়ান ব্রডকাস্টিং করপোরেশনে রেডিও প্রযোজক ও এক্সটারনাল ব্রডকাস্টিংয়ের পরিচালক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
১৪ ঘণ্টা আগেবারী সিদ্দিকী সংগীতজীবনের প্রথম দিকে বংশীবাদক হিসেবে পরিচিত পেলেও পরবর্তী সময়ে তিনি একজন লোকসংগীতশিল্পী হিসেবে খ্যাতি লাভ করেন।
২ দিন আগেতিনি ছিলেন একজন আদর্শবান শিক্ষক—অজিতকুমার গুহর এটাই সবচেয়ে বড় পরিচয়। নিজের জাগতিক উন্নতিকে কখনো বড় করে দেখেননি তিনি। শিক্ষার্থীদের আদর্শ জীবন উপহার দেওয়াই ছিল তাঁর ব্রত। তিনি সক্রিয় ছিলেন ঢাকার প্রগতিশীল সাহিত্য-সাংস্কৃতিক পরিসরেও। সুবক্তা হিসেবে তাঁর খ্যাতির কমতি ছিল না।
৫ দিন আগেআব্দুল করিম খাঁ ছিলেন হিন্দুস্তানি ধ্রুপদি সংগীতের অন্যতম কিংবদন্তি। কিরানা ঘরানারও তিনি কিংবদন্তি ছিলেন। তাঁর সম্পর্কে প্রচলিত—তিনি গান গাওয়ার সময় এমনভাবে ধ্যানমগ্ন হয়ে যেতেন যে, শ্রোতারাও সেই সুরের মায়াজালে আচ্ছন্ন হয়ে পড়তেন।
৬ দিন আগে