সম্পাদকীয়
ওস্তাদ বড়ে গুলাম আলী খাঁ দুটো জিনিসই জানতেন। দিনভর রেওয়াজ আর দমভোর খাওয়া। মসলাবিহীন ঘি-তেলবর্জিত রান্না খাওয়ার চেয়ে মৃত্যুই শ্রেয় বলে মনে করতেন। নিজ হাতে যে বিরিয়ানি রান্না করতেন, তা ধুর্জটিপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের ছেলে কুমারপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়কে রামপুরের নবাবের বাবুর্চিখানার কথা মনে করিয়ে দিত। শাস্ত্রীয় সংগীত নিয়ে তাঁর লেখালেখি ধ্রুপদি বলে আখ্যা পেয়েছে।
বড়ে গুলাম আলী খাঁর বাড়ির মেনুতে খাস আইটেম থাকত তাঁরই হাতের রান্না বিরিয়ানি। তাতে থাকত বাদাম, আখরোট, জায়ফল। ঘি আসত লুধিয়ানা থেকে।
খাওয়া আর ঘুমানো ছাড়া যে সময়টা, তার সবটাতেই তাঁর হাতে থাকত স্বরমণ্ডল। সামনে যা কিছু দেখতেন, তা গানের উপমা দিয়ে ব্যাখ্যা করতে পারতেন।
মুম্বাইয়ে যখন থাকতেন, তখন নিয়মিত চৌপাটিতে গিয়ে পানের দোকানের সামনের বেঞ্চে বসে সূর্যাস্ত দেখতেন। দেওধর সাহেবের সঙ্গে দেখা হলে অবধারিতভাবে গানের কথা উঠত। সুর সাধলে জমা হয়ে যেত গোটা তিরিশেক মানুষ। তখন খাঁ সাহেব বলতেন, ‘যারা আমাদের গান আর কথাবার্তা শুনছে, তারা তো কেউ এই পানওয়ালার কাছ থেকে কিছু কিনছে না। পানওয়ালার লোকসান হয়ে যাচ্ছে।’ বলে নিজেই তিরিশ-চল্লিশজনের পানের অর্ডার করে খাইয়ে দিতেন।
অ্যাকুয়ারিয়ামে ছোট ছোট লাল মাছ লেজ নেড়ে ভাসছে দেখে তিনি বলে উঠলেন: ‘দেখো, দেখো, বিলকুল দেশি তোড়ি, মপ-রেগ-সারে-নিসা।’
হায়দরাবাদে মৃত্যুর রাতে তাঁর ছেলে মুনব্বর ছিলেন শয্যাপাশে। গভীর রাতে দূরে কোথাও নেড়ি কুকুর ডেকে উঠেছিল। বড়ে গুলাম আলী খাঁ মুনব্বরকে বললেন, ‘শোনো, শোনো, এই টেব্লফ্যানের আওয়াজকে ষড়জ ধরলে কুকুরের ডাকে তোড়ির রেখাব গান্ধার পাওয়া যাচ্ছে।’
আল্লাহর নাম নিয়ে চোখ বোজার আগে এটাই ছিল ওস্তাদ বড়ে গুলাম আলী খাঁর শেষ কথা।
সূত্র: কুমারপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়, ম্যহ্ফিল, পৃষ্ঠা: ৪১-৪৪
ওস্তাদ বড়ে গুলাম আলী খাঁ দুটো জিনিসই জানতেন। দিনভর রেওয়াজ আর দমভোর খাওয়া। মসলাবিহীন ঘি-তেলবর্জিত রান্না খাওয়ার চেয়ে মৃত্যুই শ্রেয় বলে মনে করতেন। নিজ হাতে যে বিরিয়ানি রান্না করতেন, তা ধুর্জটিপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের ছেলে কুমারপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়কে রামপুরের নবাবের বাবুর্চিখানার কথা মনে করিয়ে দিত। শাস্ত্রীয় সংগীত নিয়ে তাঁর লেখালেখি ধ্রুপদি বলে আখ্যা পেয়েছে।
বড়ে গুলাম আলী খাঁর বাড়ির মেনুতে খাস আইটেম থাকত তাঁরই হাতের রান্না বিরিয়ানি। তাতে থাকত বাদাম, আখরোট, জায়ফল। ঘি আসত লুধিয়ানা থেকে।
খাওয়া আর ঘুমানো ছাড়া যে সময়টা, তার সবটাতেই তাঁর হাতে থাকত স্বরমণ্ডল। সামনে যা কিছু দেখতেন, তা গানের উপমা দিয়ে ব্যাখ্যা করতে পারতেন।
মুম্বাইয়ে যখন থাকতেন, তখন নিয়মিত চৌপাটিতে গিয়ে পানের দোকানের সামনের বেঞ্চে বসে সূর্যাস্ত দেখতেন। দেওধর সাহেবের সঙ্গে দেখা হলে অবধারিতভাবে গানের কথা উঠত। সুর সাধলে জমা হয়ে যেত গোটা তিরিশেক মানুষ। তখন খাঁ সাহেব বলতেন, ‘যারা আমাদের গান আর কথাবার্তা শুনছে, তারা তো কেউ এই পানওয়ালার কাছ থেকে কিছু কিনছে না। পানওয়ালার লোকসান হয়ে যাচ্ছে।’ বলে নিজেই তিরিশ-চল্লিশজনের পানের অর্ডার করে খাইয়ে দিতেন।
অ্যাকুয়ারিয়ামে ছোট ছোট লাল মাছ লেজ নেড়ে ভাসছে দেখে তিনি বলে উঠলেন: ‘দেখো, দেখো, বিলকুল দেশি তোড়ি, মপ-রেগ-সারে-নিসা।’
হায়দরাবাদে মৃত্যুর রাতে তাঁর ছেলে মুনব্বর ছিলেন শয্যাপাশে। গভীর রাতে দূরে কোথাও নেড়ি কুকুর ডেকে উঠেছিল। বড়ে গুলাম আলী খাঁ মুনব্বরকে বললেন, ‘শোনো, শোনো, এই টেব্লফ্যানের আওয়াজকে ষড়জ ধরলে কুকুরের ডাকে তোড়ির রেখাব গান্ধার পাওয়া যাচ্ছে।’
আল্লাহর নাম নিয়ে চোখ বোজার আগে এটাই ছিল ওস্তাদ বড়ে গুলাম আলী খাঁর শেষ কথা।
সূত্র: কুমারপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়, ম্যহ্ফিল, পৃষ্ঠা: ৪১-৪৪
তারাপদ রায় দুই বাংলার প্রতিষ্ঠিত কবি হলেও তাঁর জন্ম ও শৈশব-কৈশোরের দিনগুলো কেটেছে বাংলাদেশের টাঙ্গাইল শহরে। তিনি ১৯৩৬ সালের ১৭ নভেম্বর টাঙ্গাইল শহরের পূর্ব আদালতপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। বাবা ছিলেন টাঙ্গাইল জজকোর্টের আইনজীবী।
১৬ ঘণ্টা আগেআধুনিক আফ্রিকান সাহিত্যের পুরোধা ব্যক্তিত্ব চিনুয়া আচেবের জন্ম ১৯৩০ সালের ১৬ নভেম্বর নাইজেরিয়ার দক্ষিণ-পূর্ব অঞ্চল ওগিদিতে। তিনি ইবাদান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম স্নাতকদের একজন। লেখাপড়া শেষে নাইজেরিয়ান ব্রডকাস্টিং করপোরেশনে রেডিও প্রযোজক ও এক্সটারনাল ব্রডকাস্টিংয়ের পরিচালক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
২ দিন আগেবারী সিদ্দিকী সংগীতজীবনের প্রথম দিকে বংশীবাদক হিসেবে পরিচিত পেলেও পরবর্তী সময়ে তিনি একজন লোকসংগীতশিল্পী হিসেবে খ্যাতি লাভ করেন।
৩ দিন আগেতিনি ছিলেন একজন আদর্শবান শিক্ষক—অজিতকুমার গুহর এটাই সবচেয়ে বড় পরিচয়। নিজের জাগতিক উন্নতিকে কখনো বড় করে দেখেননি তিনি। শিক্ষার্থীদের আদর্শ জীবন উপহার দেওয়াই ছিল তাঁর ব্রত। তিনি সক্রিয় ছিলেন ঢাকার প্রগতিশীল সাহিত্য-সাংস্কৃতিক পরিসরেও। সুবক্তা হিসেবে তাঁর খ্যাতির কমতি ছিল না।
৬ দিন আগে