সম্পাদকীয়
হায়াৎ মামুদ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করার সময় লেনিনগ্রাদে গিয়েছিলেন রুশ ভাষা শিখতে। ফেরার পথে যোগাযোগ হয়েছিল মস্কোর প্রগতি প্রকাশনের জ্যেষ্ঠ অনুবাদক ননী ভৌমিকের সঙ্গে। তিনি হায়াৎ মামুদকে প্রগতি প্রকাশনে যোগ দিতে বলেন। ১৯৭৩ সালে হায়াৎ মামুদ চলে গেলেন রাশিয়ায়। সেখানে গিয়ে তিনি প্রগতি প্রকাশনের বাংলা বিভাগের প্রধান রাইসা ভাসিলিয়েভনাকে বলেন দ্বিজেন শর্মাকে অনুবাদ বিভাগে নিয়ে আসার জন্য। রাইসা বাংলাদেশে এসে দ্বিজেন শর্মার হাতে দুটো ইংরেজি টেক্সট ধরিয়ে দিয়ে বলেন, এগুলোর বাংলা অনুবাদ করে তাঁর কাছে পৌঁছে দিতে। দ্বিজেন শর্মা সে কাজটি করলেন। কিছুদিনের মধ্যেই প্রগতি প্রকাশনের নিয়োগপত্র এসে হাজির!
এ সময় টেলিফোন, ‘হ্যালো, আমি কি দ্বিজেন শর্মা মহাশয়ের সঙ্গে কথা বলতে পারি?’
ফোন করেছেন খালেদ চৌধুরী। ঢাকার রুশ সংস্কৃতি কেন্দ্রে কাজ করেন। তিনিও মস্কো যাচ্ছেন অনুবাদের কাজে, সে কথা জানালেন।
খালেদের বন্ধুদের সহায়তায় পাসপোর্ট হয়ে গেল। ১৯৭৪ সালের ১৮ আগস্ট ঢাকা বিমানবন্দর থেকে অ্যারোফ্লোত উড়ল সোভিয়েত ইউনিয়নের দিকে। বোম্বে, তেহরান ও তাসখন্দে বিরতি নিয়ে প্লেন থামল মস্কোর শেরেমেতোভা বিমানবন্দরে। সেখানে হাজির হলেন হাসান হাফিজুর রহমান, আবদুল্লাহ আল মুতী, হায়াৎ মামুদেরা। প্রথম দুজন তখন মস্কোতে বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রেস ও শিক্ষা অ্যাটাশে। প্রগতি প্রকাশনে যাওয়ার পর দেখা হলো আরও অনেকের সঙ্গে।
দ্বিজেন শর্মাকে প্রথম অনুবাদ করতে দেওয়া হয় মিখাইল নেস্তুর্খের লেখা ‘রেসেস অব ম্যানকাইন্ড’ নামে নৃতত্ত্বের একটি বই। তিনি দ্রুত অনুবাদ করে ফেলেন। পরের বইটি প্রখ্যাত হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ নিকোলাই আমোসভের আত্মজীবনী ‘হৃদয় ও হৃৎপিণ্ড’ নামে।
এভাবেই শুরু হলো দ্বিজেন শর্মার প্রগতি প্রকাশনের সঙ্গে যোগাযোগ। দীর্ঘ রুশ জীবনে তিনি অনেক কিছুই দেখেছেন, যা লিখেও রেখে গেছেন তাঁর বইগুলোয়। আজ ১৫ সেপ্টেম্বর তাঁর মৃত্যুদিন।
সূত্র: দ্বিজেন শর্মা, জীবনস্মৃতি, মধুময় পৃথিবীর ধূলি, পৃষ্ঠা ১৬১-১৬৩
হায়াৎ মামুদ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করার সময় লেনিনগ্রাদে গিয়েছিলেন রুশ ভাষা শিখতে। ফেরার পথে যোগাযোগ হয়েছিল মস্কোর প্রগতি প্রকাশনের জ্যেষ্ঠ অনুবাদক ননী ভৌমিকের সঙ্গে। তিনি হায়াৎ মামুদকে প্রগতি প্রকাশনে যোগ দিতে বলেন। ১৯৭৩ সালে হায়াৎ মামুদ চলে গেলেন রাশিয়ায়। সেখানে গিয়ে তিনি প্রগতি প্রকাশনের বাংলা বিভাগের প্রধান রাইসা ভাসিলিয়েভনাকে বলেন দ্বিজেন শর্মাকে অনুবাদ বিভাগে নিয়ে আসার জন্য। রাইসা বাংলাদেশে এসে দ্বিজেন শর্মার হাতে দুটো ইংরেজি টেক্সট ধরিয়ে দিয়ে বলেন, এগুলোর বাংলা অনুবাদ করে তাঁর কাছে পৌঁছে দিতে। দ্বিজেন শর্মা সে কাজটি করলেন। কিছুদিনের মধ্যেই প্রগতি প্রকাশনের নিয়োগপত্র এসে হাজির!
এ সময় টেলিফোন, ‘হ্যালো, আমি কি দ্বিজেন শর্মা মহাশয়ের সঙ্গে কথা বলতে পারি?’
ফোন করেছেন খালেদ চৌধুরী। ঢাকার রুশ সংস্কৃতি কেন্দ্রে কাজ করেন। তিনিও মস্কো যাচ্ছেন অনুবাদের কাজে, সে কথা জানালেন।
খালেদের বন্ধুদের সহায়তায় পাসপোর্ট হয়ে গেল। ১৯৭৪ সালের ১৮ আগস্ট ঢাকা বিমানবন্দর থেকে অ্যারোফ্লোত উড়ল সোভিয়েত ইউনিয়নের দিকে। বোম্বে, তেহরান ও তাসখন্দে বিরতি নিয়ে প্লেন থামল মস্কোর শেরেমেতোভা বিমানবন্দরে। সেখানে হাজির হলেন হাসান হাফিজুর রহমান, আবদুল্লাহ আল মুতী, হায়াৎ মামুদেরা। প্রথম দুজন তখন মস্কোতে বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রেস ও শিক্ষা অ্যাটাশে। প্রগতি প্রকাশনে যাওয়ার পর দেখা হলো আরও অনেকের সঙ্গে।
দ্বিজেন শর্মাকে প্রথম অনুবাদ করতে দেওয়া হয় মিখাইল নেস্তুর্খের লেখা ‘রেসেস অব ম্যানকাইন্ড’ নামে নৃতত্ত্বের একটি বই। তিনি দ্রুত অনুবাদ করে ফেলেন। পরের বইটি প্রখ্যাত হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ নিকোলাই আমোসভের আত্মজীবনী ‘হৃদয় ও হৃৎপিণ্ড’ নামে।
এভাবেই শুরু হলো দ্বিজেন শর্মার প্রগতি প্রকাশনের সঙ্গে যোগাযোগ। দীর্ঘ রুশ জীবনে তিনি অনেক কিছুই দেখেছেন, যা লিখেও রেখে গেছেন তাঁর বইগুলোয়। আজ ১৫ সেপ্টেম্বর তাঁর মৃত্যুদিন।
সূত্র: দ্বিজেন শর্মা, জীবনস্মৃতি, মধুময় পৃথিবীর ধূলি, পৃষ্ঠা ১৬১-১৬৩
তারাপদ রায় দুই বাংলার প্রতিষ্ঠিত কবি হলেও তাঁর জন্ম ও শৈশব-কৈশোরের দিনগুলো কেটেছে বাংলাদেশের টাঙ্গাইল শহরে। তিনি ১৯৩৬ সালের ১৭ নভেম্বর টাঙ্গাইল শহরের পূর্ব আদালতপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। বাবা ছিলেন টাঙ্গাইল জজকোর্টের আইনজীবী।
১৬ ঘণ্টা আগেআধুনিক আফ্রিকান সাহিত্যের পুরোধা ব্যক্তিত্ব চিনুয়া আচেবের জন্ম ১৯৩০ সালের ১৬ নভেম্বর নাইজেরিয়ার দক্ষিণ-পূর্ব অঞ্চল ওগিদিতে। তিনি ইবাদান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম স্নাতকদের একজন। লেখাপড়া শেষে নাইজেরিয়ান ব্রডকাস্টিং করপোরেশনে রেডিও প্রযোজক ও এক্সটারনাল ব্রডকাস্টিংয়ের পরিচালক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
২ দিন আগেবারী সিদ্দিকী সংগীতজীবনের প্রথম দিকে বংশীবাদক হিসেবে পরিচিত পেলেও পরবর্তী সময়ে তিনি একজন লোকসংগীতশিল্পী হিসেবে খ্যাতি লাভ করেন।
৩ দিন আগেতিনি ছিলেন একজন আদর্শবান শিক্ষক—অজিতকুমার গুহর এটাই সবচেয়ে বড় পরিচয়। নিজের জাগতিক উন্নতিকে কখনো বড় করে দেখেননি তিনি। শিক্ষার্থীদের আদর্শ জীবন উপহার দেওয়াই ছিল তাঁর ব্রত। তিনি সক্রিয় ছিলেন ঢাকার প্রগতিশীল সাহিত্য-সাংস্কৃতিক পরিসরেও। সুবক্তা হিসেবে তাঁর খ্যাতির কমতি ছিল না।
৬ দিন আগে