আজকের পত্রিকা ডেস্ক
তখন বলা হতো লিপ মুভমেন্ট। মানে, সিনেমায় গান গাইবেন একজন; কিন্তু ঠোঁট নাড়বেন অন্যজন। এ রকম ব্যাপার আগে ছিল না ভূ-ভারতে। এ রকম কিছু যে হতে পারে, সেটাও ছিল ভাবনার অতীত। সুদূর বোম্বে থেকে লিপ মুভমেন্টের অনুরোধ নিয়ে তিন ভদ্রলোক এসেছিলেন প্রতিভা বসুদের কলকাতার বাড়িতে। আসার সময় বড় মেহনত করতে হয়েছিল। এর আগে একবার খোঁজ করেছিলেন; কিন্তু সে সময় প্রতিভা বসু কলকাতায় ছিলেন না। এবার ট্রাংক কল করে, নিশ্চিত হয়ে তারা এসেছেন তাঁদের অনুরোধ নিয়ে।
বুদ্ধদেব বসু এরই মধ্যে প্রতিভার পাণিপ্রার্থী হয়েছেন। সে সময়কার ঘটনা এটি। সিনেমায় যিনি অভিনয় করবেন, তাঁর একই সঙ্গে সংলাপ বলা, গান গাওয়া, ক্রীড়াবিদ হওয়া ইত্যাদি রাজ্যের গুণাগুণ দরকার ছিল। কিন্তু সব সময় সবকিছু দুইয়ে দুইয়ে চার হবে—সেটা ভাবলে তো মুশকিল। তাই সুন্দর চেহারার সুন্দর সংলাপ বলা নায়ক-নায়িকা হয়তো পাওয়া গেল; কিন্তু তাদের গানের গলা শুনলে দর্শক হল ছেড়ে জঙ্গলে পালাবে। এ কারণেই উৎপাদন হলো লিপ মুভমেন্ট। প্রতিভার গানের গলা ভালো, রবীন্দ্রনাথও তাঁর গান পছন্দ করেন, সুতরাং অনায়াসেই অনুরোধ নিয়ে এলেন এই তিনজন। লিপসিং করলে যে টাকা পাওয়া যাবে, তা তখনকার মধ্যবিত্ত একটি মেয়ের জন্য বিশাল এক অঙ্ক। প্রতিভার তখন মাত্র ১৮ বছর বয়স। এই বয়সে কাঁড়ি কাঁড়ি টাকার প্রলোভন ফেলনা নয়। বাড়িতে প্রতিভার বাধানিষেধ ছিল কম। এমনকি তবলার সঙ্গে মার্গ সংগীত রেওয়াজ করার সময় তাদের বাড়ির ছাদে ঢিল পড়েছিল। বাবা মেয়ের গান থামিয়ে দেননি, বাড়ি বদলে ছিলেন। কেন প্রতিভার সিনেমার লিপ মুভমেন্ট করতে পারেননি, সেটা বোঝা যাবে সিনেমা বিষয়ে তৎকালীন মধ্যবিত্তের মনোভঙ্গির কথা জানতে পারলে। যখনই বিষয়টা নিয়ে আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে কথা হলো, তখনই বোঝা গেল, সিনেমার গান গাওয়া বলতে তাঁরা বোঝেন সিনেমায় নামা।
তাঁদের মতে, এর চেয়ে বড় কলঙ্ক আর কিছু হতে পারে না। কেউ কেউ বললেন, বাইজিদের মতো টাকা নিয়ে সিনেমায় নামবে মেয়ে? তাহলে সেসব মেয়ের সঙ্গে তোমার মেয়ের তফাত রইল কোথায়? আরও বললেন, সিনেমায় নামলে এই মেয়ের আর কখনো বিয়ে হবে না। বিয়ে হলেও পরে কথাটা জানাজানি হলে বিয়ে টিকবে না। প্রতিভা সেই কথা জানিয়েছিলেন বুদ্ধদেব বসুকে।
ঘর ফাটিয়ে অট্টহাসি দিয়ে বিষয়টির রফা করেছিলেন বুদ্ধদেব। এবং বলেছিলেন, ‘ব্যাপারটা কিন্তু বেশ ইন্টারেস্টিং। ঠোঁট নাড়িয়ে একজনের গান গাইবে আরেকজন? তা রাজি হয়ে যাও না। একটা অভিজ্ঞতা হবে।’ প্রতিভা অবশ্য শেষ পর্যন্ত রাজি হতে পারেননি। সেই সময় বিয়ের তোড়জোড় এমনভাবে শুরু হয়েছিল যে, সিনেমায় লিপসিং করার সুযোগটা হাতছাড়া হয়ে যায় তাঁর।
সূত্র: প্রতিভা বসু, জীবনের জলছবি, পৃষ্ঠা: ১০১-১০৩
তখন বলা হতো লিপ মুভমেন্ট। মানে, সিনেমায় গান গাইবেন একজন; কিন্তু ঠোঁট নাড়বেন অন্যজন। এ রকম ব্যাপার আগে ছিল না ভূ-ভারতে। এ রকম কিছু যে হতে পারে, সেটাও ছিল ভাবনার অতীত। সুদূর বোম্বে থেকে লিপ মুভমেন্টের অনুরোধ নিয়ে তিন ভদ্রলোক এসেছিলেন প্রতিভা বসুদের কলকাতার বাড়িতে। আসার সময় বড় মেহনত করতে হয়েছিল। এর আগে একবার খোঁজ করেছিলেন; কিন্তু সে সময় প্রতিভা বসু কলকাতায় ছিলেন না। এবার ট্রাংক কল করে, নিশ্চিত হয়ে তারা এসেছেন তাঁদের অনুরোধ নিয়ে।
বুদ্ধদেব বসু এরই মধ্যে প্রতিভার পাণিপ্রার্থী হয়েছেন। সে সময়কার ঘটনা এটি। সিনেমায় যিনি অভিনয় করবেন, তাঁর একই সঙ্গে সংলাপ বলা, গান গাওয়া, ক্রীড়াবিদ হওয়া ইত্যাদি রাজ্যের গুণাগুণ দরকার ছিল। কিন্তু সব সময় সবকিছু দুইয়ে দুইয়ে চার হবে—সেটা ভাবলে তো মুশকিল। তাই সুন্দর চেহারার সুন্দর সংলাপ বলা নায়ক-নায়িকা হয়তো পাওয়া গেল; কিন্তু তাদের গানের গলা শুনলে দর্শক হল ছেড়ে জঙ্গলে পালাবে। এ কারণেই উৎপাদন হলো লিপ মুভমেন্ট। প্রতিভার গানের গলা ভালো, রবীন্দ্রনাথও তাঁর গান পছন্দ করেন, সুতরাং অনায়াসেই অনুরোধ নিয়ে এলেন এই তিনজন। লিপসিং করলে যে টাকা পাওয়া যাবে, তা তখনকার মধ্যবিত্ত একটি মেয়ের জন্য বিশাল এক অঙ্ক। প্রতিভার তখন মাত্র ১৮ বছর বয়স। এই বয়সে কাঁড়ি কাঁড়ি টাকার প্রলোভন ফেলনা নয়। বাড়িতে প্রতিভার বাধানিষেধ ছিল কম। এমনকি তবলার সঙ্গে মার্গ সংগীত রেওয়াজ করার সময় তাদের বাড়ির ছাদে ঢিল পড়েছিল। বাবা মেয়ের গান থামিয়ে দেননি, বাড়ি বদলে ছিলেন। কেন প্রতিভার সিনেমার লিপ মুভমেন্ট করতে পারেননি, সেটা বোঝা যাবে সিনেমা বিষয়ে তৎকালীন মধ্যবিত্তের মনোভঙ্গির কথা জানতে পারলে। যখনই বিষয়টা নিয়ে আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে কথা হলো, তখনই বোঝা গেল, সিনেমার গান গাওয়া বলতে তাঁরা বোঝেন সিনেমায় নামা।
তাঁদের মতে, এর চেয়ে বড় কলঙ্ক আর কিছু হতে পারে না। কেউ কেউ বললেন, বাইজিদের মতো টাকা নিয়ে সিনেমায় নামবে মেয়ে? তাহলে সেসব মেয়ের সঙ্গে তোমার মেয়ের তফাত রইল কোথায়? আরও বললেন, সিনেমায় নামলে এই মেয়ের আর কখনো বিয়ে হবে না। বিয়ে হলেও পরে কথাটা জানাজানি হলে বিয়ে টিকবে না। প্রতিভা সেই কথা জানিয়েছিলেন বুদ্ধদেব বসুকে।
ঘর ফাটিয়ে অট্টহাসি দিয়ে বিষয়টির রফা করেছিলেন বুদ্ধদেব। এবং বলেছিলেন, ‘ব্যাপারটা কিন্তু বেশ ইন্টারেস্টিং। ঠোঁট নাড়িয়ে একজনের গান গাইবে আরেকজন? তা রাজি হয়ে যাও না। একটা অভিজ্ঞতা হবে।’ প্রতিভা অবশ্য শেষ পর্যন্ত রাজি হতে পারেননি। সেই সময় বিয়ের তোড়জোড় এমনভাবে শুরু হয়েছিল যে, সিনেমায় লিপসিং করার সুযোগটা হাতছাড়া হয়ে যায় তাঁর।
সূত্র: প্রতিভা বসু, জীবনের জলছবি, পৃষ্ঠা: ১০১-১০৩
জিয়া হায়দারের পুরো নাম শেখ ফয়সাল আব্দুর রউফ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন হায়দার। কবি হিসেবে পরিচিতি পেলেও তিনি বাংলাদেশের নাট্য আন্দোলনের বড় সারথি ছিলেন।
১ ঘণ্টা আগেতারাপদ রায় দুই বাংলার প্রতিষ্ঠিত কবি হলেও তাঁর জন্ম ও শৈশব-কৈশোরের দিনগুলো কেটেছে বাংলাদেশের টাঙ্গাইল শহরে। তিনি ১৯৩৬ সালের ১৭ নভেম্বর টাঙ্গাইল শহরের পূর্ব আদালতপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। বাবা ছিলেন টাঙ্গাইল জজকোর্টের আইনজীবী।
১ দিন আগেআধুনিক আফ্রিকান সাহিত্যের পুরোধা ব্যক্তিত্ব চিনুয়া আচেবের জন্ম ১৯৩০ সালের ১৬ নভেম্বর নাইজেরিয়ার দক্ষিণ-পূর্ব অঞ্চল ওগিদিতে। তিনি ইবাদান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম স্নাতকদের একজন। লেখাপড়া শেষে নাইজেরিয়ান ব্রডকাস্টিং করপোরেশনে রেডিও প্রযোজক ও এক্সটারনাল ব্রডকাস্টিংয়ের পরিচালক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
২ দিন আগেবারী সিদ্দিকী সংগীতজীবনের প্রথম দিকে বংশীবাদক হিসেবে পরিচিত পেলেও পরবর্তী সময়ে তিনি একজন লোকসংগীতশিল্পী হিসেবে খ্যাতি লাভ করেন।
৩ দিন আগে